সাখাওয়াত হোসেনকে সিইসি করার প্রস্তাব জাফরুল্লাহর
মওলানা ভাসানীর ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা
সাবেক নির্বাচন কমিশনার সাখাওয়াত হোসেনকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার করার প্রস্তাব করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত স্বাধীনতা ও মুক্তি সংগ্রামের অবিসংবাদিত নেতা মওলানা ভাসানীর ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলন দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ প্রস্তাব করেন।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘সার্চ কমিটির পকেটে কী কাগজ আছে, নির্বাচন কমিশনার কারা হবে? আজকে যদি প্রকৃত নির্বাচন করতে হয়, গণতন্ত্র ফেরত দিতে হয়, জনগণকে ভোটের অধিকার ফেরত দিতে হয়, তাহলে শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন দরকার। বর্তমান আইনে সেই ব্যবস্থা নেই। এমন অবস্থায় অনেক রাজনৈতিক দলই সার্চ কমিটির কাছে কারও নাম প্রস্তাব করেনি। তবে কয়েকটা নাম আপনারা বিবেচনায় আনতে পারেন, সাখাওয়াত হোসেন আগে নির্বাচন কমিশনার ছিলেন। তাকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার করা হলে তিনি পথ-ঘাট চেনেন, উনি শক্তভাবে কাজগুলো করতে পারবেন। তার সঙ্গে সাবেক সেনা কর্মকর্তা ইকবাল করিম ভূঁইয়া, তিনি আজিজ নন, সজ্জন ব্যক্তি হিসেবে তার সুনাম আছে। বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি নাজমুন আরা, সুলতানা কামালের মত সত্যিকারে সজ্জন ও সাহসী লোকজনদের কমিশনে নিয়ে আসা হলে কমিশন কিছুটা বিতর্ক মুক্ত থাকবে।’
সার্চ কমিটিতে যাদের নাম এসেছে তারা তাদের সম্পদের হিসাব দেয়নি। তাদের উপরে মানুষের আস্থা থাকবে কি করে? তাদের পকেটে কি কাগজ আছে? বক্তব্যে এমন প্রশ্ন তোলেন ডা. জাফরুল্লাহ।
সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশকে ১৭টি প্রদেশে বিভক্ত করার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, জাতীয় সরকার, সর্বদলীয় সরকার কিংবা নির্দলীয় সরকার যেটাই করুন না কেন, অন্ততপক্ষে তাদের দু’বছর সময় দিতে হবে। তাহলে সংবিধানের যেসব ত্রুটিগুলো আছে সেগুলোর পরিবর্তন হবে। তবে মূল কথা হচ্ছে যে, এত কেন্দ্রিকতা দিয়ে আসলে দেশ চলতে পারে না। ১৮ কোটি মানুষের বাংলাদেশ, এটাকে অন্তত ১৭টি প্রদেশে বিভক্ত করতে হবে। তাহলে শত ফুল ফুটবে। আপনাদের অনেকেই মুখ্যমন্ত্রী হবেন, মন্ত্রী হবেন। কোনো প্রদেশের মন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রী বলবে আমরা শিক্ষার দিকে নজর দেব, কেউ বলবে আমরা কৃষক ও শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করব।
বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রেখে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় উল্লেখ করে জাফরুল্লাহ বলেন, জালেম কখনো ক্ষমতা ছাড়ে না, তাদের ক্ষমতা ছাড়াইতে হয়। আজকে বিএনপি তাদের অফিসে কোনো সভা সমাবেশ করতে পারছে না। সেখান থেকে তাদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে। কাজেই তাদের (বিএনপির) উচিৎ যেদিন ধরে নিয়ে যাবে তার পরের দিনে আরও বড় পরিসরে আন্দোলনের ডাক দেওয়া। কারণ যারা জালেম তারা কখনো ক্ষমতা ছাড়তে চায় না। জালেমদের ক্ষমতা ছাড়াইতে হয়। আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে তাদের পতন হয়।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন- জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) সভাপতি মোস্তফা জামাল হায়দার, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর প্রমুখ।
এমএইচ/আরএ