সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১০ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

আস্থা-অনাস্থার দোলাচলে মহাজোট

বাংলাদেশের রাজনীতিতে দুটি ধারা বহমান। একটি অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী, আরেকটি জাতীয়বাদে বিশ্বাসী। দুই চেতনার রাজনীতির মূল লক্ষ্য থাকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থেকে দেশের উন্নয়ন করা। তবে এই দুই চেতনার দুই জোটের নিয়ন্ত্রণ সবসময় থাকে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির হাতে। জোটে অন্য দল থাকলেও নির্বাচনী মাঠে তাদের ভূমিকা খুবই সামান্য। অনেক দল আছে তাদের ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার সক্ষমতাও নেই। শুধু জোটে যুক্ত থেকে নিজেদের পরিচয়টা টিকিয়ে রাখেন। বিগত দুটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ১৪ দলীয় জোট ও মহাজোটের রূপরেখায় ভোটের মাঠে দাপট দেখিয়েছে। আবারও জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে, তাই জোট-মহাজোটের হিসাব-নিকাশ কষার সময় চলে এসেছে। আগামী বছরের শেষে বা ২০২৪ সালের প্রথম দিকেই দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন হতে পারে। তাই কোন জোটে কে থাকবে না থাকবে তা নিয়ে এখন থেকেই শুরু হয়েছে জল্পনা-কল্পনা।

এরইমধ্যে মহাজোটের অন্যতম শরিক জাতীয় পার্টি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে এককভাবে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছে। অন্যদিকে, ১৪ দলীয় জোটের কোনো কোনো দল জোটে থাকলেও নিজেদের প্রতীকে নির্বাচন করার আগ্রহের কথা জানিয়েছে। আবার কোনো কোনো দল নানা ইস্যুতে আওয়ামী লীগের সঙ্গে মতানৈক্যে পৌঁছতে পারছে না বলে নিজেদের গুটিয়ে নেওয়ার চিন্তা-ভাবনা করছে। তবে নির্বাচনে ভূমিকা না রাখতে পারলেও আদর্শিক যে জোট, সেটা অব্যাহত রাখার পক্ষে অনেক দলই ঐকমত্য।

জোট-মহাজোটের এই রূপরেখায় দেখা দিয়েছে আস্থা-অনাস্থার দোলাচল। মহাজোটের বড় শরিক জাতীয় পার্টি মনে করছে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটবদ্ধ থাকায় নিজেদের অস্তিত্ব বিলীন হতে যাচ্ছে। অন্যদিকে, ওয়ার্কার্স পার্টি মনে করছে, নিজেদের যে একটি প্রতীক রয়েছে, সেটাই মানুষ ভুলতে বসেছে। তাই জোটে থাকলেও নিজেদের প্রতীকেই নির্বাচন করতে চান। আবার আওয়ামী লীগ মনে করে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও নিজেদের আদর্শিক জোট টিকে থাকবে, পাশাপাশি অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির সঙ্গে জোট সম্প্রসারণ হতে পারে।

জোট-মহাজোটের এই খেলায় শেষ পর্যন্ত কি হয় বলা মুশকিল। তবে চাওয়ার পাওয়ার হিসাব মেলাতে গেলে অনেকেই নির্বাচনে শেষ মুহূর্তে কোন দলের ক্ষমতায় আসার সম্ভবনা বেশি সেই জোটের দিকে ঝুঁকে পড়তে পারে অনেক দল। আওয়ামী লীগ টানা তিনটি সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ায় জোটের শরিকদের প্রত্যাশা অনেক বেশি। তারা মনে করে তাদের ব্যবহার করেই ক্ষমতায় আওয়ামী লীগ।

তবে ওইসব দল রাষ্ট্র ক্ষমতায় সেভাবে ভূমিকা রাখতে পারছে না। বিশেষ করে একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর শরিক দল থেকে কাউকে মন্ত্রিসভায় ঠাঁই না দেওয়ায় মনোকষ্টে ভুগছেন অনেক নেতা। তবে আওয়ামী লীগ মনে করছে, জোটে যারা আছে তাদের উপর থেকে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছায়া সরে গেলে অনেকেই টিকে থাকতে পারবে না।

জোট-মহাজোটে এখন কারা আছেন

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দল আদর্শিক জোট। ২৩ দফার ভিত্তিতে এই জোট গঠিত হয়। আওয়ামী লীগ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), গণফোরাম, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) ও ১১ দলীয় জোট মিলে এই জোট গঠিত হয়। জোট গঠনের পরপরই ১৪ দল থেকে বেরিয়ে যায় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) ও গণফোরামসহ কয়েকটি ছোট দল। তবে জোটটি ১৪ দল নামেই এখনও সক্রিয় আছে।

বর্তমানে জোটে আছে ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ (ইনু), জাসদ (আম্বিয়া), গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টি, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল, গণতন্ত্রী পার্টি, তরিকত ফেডারেশন, কমিউনিস্ট কেন্দ্র, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ন্যাপ, বাসদ, জাতীয় পার্টি-জেপি (মঞ্জু) ও গণআজাদী লীগ। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জোট হলো মহাজোট। ১৪ দলের শরিকদের পাশাপাশি এ জোটে আছে জাতীয় পার্টি ও ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্ট।

নির্বাচনী এই জোট একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর অনেকটাই যার যার মতো হয়ে গেছে। আগামী নির্বাচনের আগে সেই জোট থাকবে, না কি অন্য জোটে চলে যাবে–সেটি এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে রাজনৈতিক নেতারা মনে করেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গে আদর্শগত যে জোট, সেটি ভাঙার সুযোগ কম। কেননা বিএনপির সঙ্গে জামায়াত থাকায় অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী দলগুলো সেই জোটে ভেড়ার সম্ভাবনা কম।

জোট বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘জোট তো বাড়তে পারেই। যেহেতু রাজনীতি করি জোটের রাজনীতিতে আমরা বিশ্বাস করি। জোট বাড়তে পারে। কিন্তু যাদের সঙ্গে জোট হবে তাদের স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি হতে হবে, অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক শক্তি হতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে সেই শক্তিকে নিয়েই আমরা জোট সম্প্রসারণ করতে পারি। সেই সম্ভাবনা আছে।’

নির্বাচনী জোট ও ১৪ দলের জোটের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘জোট আমাদের আছে, থাকবে। তবে ১৪ দলের যে আদর্শিক জোট সেখানে আমরা অনেক ক্ষেত্রেই ভূমিকা রাখতে পারছি না। গেল কয়েকটি ইস্যুতে আমরা সেভাবে ভূমিকা রাখতে পারিনি। শুধু বিভিন্ন দিবসকেন্দ্রিক কিছু প্রোগ্রাম হয়। এ ছাড়া জাতীয় ইস্যুতে আমরা ভূমিকা রাখতে পারছি না। নির্বাচনী যে জোট সেটা থাকবে, তবে আমাদের দাবি থাকবে এবার নিজেদের প্রতীকে নির্বাচন করা।’

জোট প্রসঙ্গে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, জোট আছে, জোট থাকবে। মহাজোট নিয়ে কোনো কথা হয়নি আমাদের মধ্যে। আগামী নির্বাচনে কারা থাকবে না থাকবে, সে বিষয়ে কারও সঙ্গে আলোচনা হয়নি। একটা জোটে দশ জন থাকলে দশ রকম মত থাকতে পারে। তবে জোটে কোনো সমস্যা নেই। আমাদের জোটে কোনো দূরত্ব তৈরি হয়নি।

জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘আমরা একটা অবস্থার প্রেক্ষিতে জোটে গেছি। একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর আমরা আর মহাজোটের কেউ না, মহাজোট বলতে কিছু নেই। আমরা জাতীয় পার্টি সংসদে বিরোধী দল। আমাদের নিজস্ব রাজনীতি আছে, আমরা আমাদের নিজস্ব রাজনীতি করছি। জাতীয় পার্টি কোনো জোট নিয়ে ভাবছে না। আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য তিন শ আসনেই প্রার্থীতা চুড়ান্ত করার কাজ করছে জাতীয় পার্টি।’

এ বিষয়ে সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া বলেন, ‘১৪ দল তো আছেই, আমরা ১৪ দলেই আছি। নির্বাচন তো এখনও দুই বছর বাকি। যখন নির্বাচনের ঘোষনা আসবে, তখন দেখা যাবে কোন দিকে কে থাকে। আমাদের কোনো দূরত্ব নেই।’

জাসদ সভাপতি শরীফ নূরুল আম্বিয়া ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘১৪ দলীয় জোট আছে কি না আদৌ সেটা ঠিক জানি না। আমরা ১৪ দলে থাকব কি না সেটি সময়ই বলে দেবে। এখন জোটের কোনো কার্যকারিতা নেই। জোটের কোনো ইতিবাচক ভূমিকা নেই। আওয়ামী লীগের বড় শরিকদের সরকার আছে। তারা সব লুটপাট অনাচারে ব্যস্ত আছে। আওয়ামী লীগও সেটিকে সাপোর্ট করছে। জোটে মাঝে মাঝে বিভিন্ন দিন উদযাপন করে, যা আমরা দলের মধ্য থেকেই করি।’

বাসদের একাংশের আহ্বায়ক রেজাউর রশীদ খান ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘১৪ দলীয় জোট আছে, কার্যক্রম আছে। ভার্চুয়ালি কার্যক্রম চলছে। আদর্শিক কারণে আমরা জোট করেছিলাম, সেটা ঠিক আছে। কিছু সংঘাত আছে। ১৪ দলীয় জোট আরও শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে হবে আগামীদিনে।’

এসএম/কেএফ/এসএ/

Header Ad
Header Ad

চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রদলের ওপর ছাত্রশিবিরের হামলা

ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম কলেজ প্রাঙ্গণে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শেরেবাংলা হলের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ছাত্রদলের অন্তত চারজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তবে ছাত্রশিবির এ হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

আহতদের মধ্যে রয়েছেন ওমর ফারুক সাগর, রেদোয়ান ইসলাম, জাহিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ কাইফ ও মোরশেদুল ইসলাম। তারা বর্তমানে চট্টগ্রামের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এ ঘটনায় চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সচিব ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ওমর ফারুক সাগর বলেন, “চট্টগ্রাম কলেজে আজ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ছিল। আমন্ত্রণ পেয়ে আমরা সেখানে যাই। কিন্তু শেরেবাংলা হলের সামনে পৌঁছানোর পর ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা আচমকা আমাদের ওপর হামলা চালায়। তারা আমাকে উদ্দেশ্য করে বলে, ‘ছাত্রদল নেতা ফারুক চট্টগ্রাম কলেজে থাকতে পারবে না।’ এরপর আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়।”

তিনি আরও বলেন, "হামলাকারীরা শিবির নেতা শামীম আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে ৩০-৩৫ জন কর্মী নিয়ে হামলায় অংশ নেয়। তারা আমাদের মারধর করে এবং কলেজে ছাত্রদলের উপস্থিতি নিষিদ্ধ করার হুমকি দেয়। বিষয়টি আমরা চকবাজার থানার ওসি ও বিএনপির সিনিয়র নেতাদের জানিয়েছি। তারা যে নির্দেশনা দেবেন, আমরা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।”

তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রশিবিরের সভাপতি তানভীর হোসেন জুয়েল। তিনি বলেন, “আপনারা জানেন, চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ। তাই আমরা কোনো গ্যাদারিং করিনি এবং কলেজের বাইরে সংগঠনের কার্যক্রম চালাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, “সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমরা দেখেছি, ছাত্রদল বহিরাগতদের নিয়ে কলেজে ফরম বিতরণ করছিল। তাদের কোনো কলেজ ড্রেস বা আইডি কার্ড ছিল না। তখন কিছু সাধারণ শিক্ষার্থী তাদের বাধা দেয় এবং জানায় যে এখানে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ। তখনই উভয়পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। কিন্তু এটি রাজনৈতিক হামলা নয়। যদি ছাত্রশিবির হামলা করত, তাহলে তাদের নাম ও পদ-পদবি প্রকাশ করা হোক।”

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোজাহেদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, "ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা আমার কাছে বিচার দিয়েছে যে, তারা লিফলেট বিতরণ করার সময় কিছু ছেলে এসে তাদের টানাহেঁচড়া করেছে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, আমি তাদের ডেকে জিজ্ঞাসা করেছি। তারা জানিয়েছে, বার্ষিক ক্রীড়ার সময় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা এসে জটলা করছিল এবং তারা বহিরাগত। এরপর আমি উভয়পক্ষকে কিছুক্ষণ কাউন্সেলিং করেছি।”

এই ঘটনায় কলেজ ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে, যাতে পরবর্তী কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়।

Header Ad
Header Ad

সেমিফাইনালের পথে ভারত, কোহলির সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানের হার

বিরাট কোহলি। ছবি: সংগৃহীত

দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির হাই-ভোল্টেজ ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে আধিপত্য বিস্তার করে জয় পেয়েছে ভারত। বিরাট কোহলির দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে ২৪২ রানের লক্ষ্য সহজেই পার করেছে রোহিত শর্মার দল।

টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। ভারতীয় বোলারদের দাপটে ব্যাটিংয়ে সুবিধা করতে পারেনি বাবর আজমের দল। সৌদ শাকিলের ৬২, মোহাম্মদ রিজওয়ানের ৪২ এবং খুশদিল শাহের ৩৮ রানের ইনিংসে ভর করে পাকিস্তান ২৪১ রান সংগ্রহ করে। ভারতের পক্ষে কুলদীপ যাদব, হার্দিক পান্ডিয়া ও মোহাম্মদ শামির বোলিং ছিল প্রশংসনীয়।

২৪২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ভারতীয় ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুবমান গিল ভালো শুরু করেন। উদ্বোধনী জুটিতে স্কোরবোর্ডে ৩১ রান যোগ করেন তারা। তবে পঞ্চম ওভারে শাহিন আফ্রিদির দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে ফিরে যান রোহিত শর্মা। এরপর ক্রিজে আসেন বিরাট কোহলি এবং শুবমান গিলের সঙ্গে ৬৯ রানের জুটি গড়েন। ৫২ বলে ৪৬ রান করে গিল আউট হলে কোহলির সঙ্গী হন শ্রেয়াস আইয়ার।

কোহলি ও আইয়ারের ১১৪ রানের জুটি ভারতের জয়ের ভিত গড়ে দেয়। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ফিফটি তুলে নেন আইয়ার। তবে ৫৬ রানে খুশদিল শাহের বলে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে যান তিনি। অন্যদিকে কোহলি ছিলেন অবিচল। ৪২.৩ ওভারে চার মেরে দলের জয় নিশ্চিত করার পাশাপাশি নিজের সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ভারতীয় এই ব্যাটসম্যান। তিনি ১১১ বলে ১০০ রানে অপরাজিত থাকেন।

এর আগে পাকিস্তানের ব্যাটিং ইনিংসে বাবর আজম ও ইমাম-উল-হক ধীরে শুরু করলেও বড় ইনিংস গড়তে পারেননি। বাবর ২৬ বলে ২৩ রান করে হার্দিক পান্ডিয়ার বলে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। অন্যদিকে রান আউট হয়ে ২৬ বলে মাত্র ১০ রান করে ফেরেন ইমাম। এরপর রিজওয়ান ও শাকিল ১০৪ রানের পার্টনারশিপ গড়ে দলকে শক্ত অবস্থানে নেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু অক্ষর প্যাটেলের বলে বোল্ড হয়ে ৭৭ বলে ৪৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন রিজওয়ান।

রিজওয়ান ফিরে গেলে পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ ভেঙে পড়ে। ৬২ রান করে শাকিলও বিদায় নেন। এরপর শেষ দিকে খুশদিল শাহ ৩৯ বলে ৩৮ রানের ইনিংস খেলে দলের সংগ্রহ ২৪১ রানে নিয়ে যান। ভারতের বোলারদের মধ্যে কুলদীপ, শামি ও হার্দিক পান্ডিয়া গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেন।

বিরাট কোহলির অসাধারণ ব্যাটিং ও দলের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের সুবাদে ৬ উইকেটের জয় তুলে নিয়ে সেমিফাইনালের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেল ভারত।

Header Ad
Header Ad

নাহিদের পদত্যাগ নিয়ে যা জানা গেল

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম জানিয়েছেন, তিনি এখনও পদত্যাগ করেননি। রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে, সন্ধ্যায় তার পদত্যাগের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়লে গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, "আমি পদত্যাগ করিনি। যে খবর ছড়িয়েছে, সেটা গুজব।"

এর আগে, গত মঙ্গলবার নাহিদ ইসলাম জানিয়েছিলেন, উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ এবং নতুন রাজনৈতিক দলে যোগদানের বিষয়ে তিনি সপ্তাহের শেষ দিকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের একটি সূত্র জানিয়েছে, উপদেষ্টা পরিষদের সাপ্তাহিক সভায় নাহিদ ইসলাম পদত্যাগ করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রদলের ওপর ছাত্রশিবিরের হামলা
সেমিফাইনালের পথে ভারত, কোহলির সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানের হার
নাহিদের পদত্যাগ নিয়ে যা জানা গেল
দুর্ঘটনায় আহত ছেলেকে হাসপাতালে দেখতে যাওয়ার পথে সড়কে প্রাণ গেল মায়ের
অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা দ্রুত মৃত্যু ডেকে আনে!
জীবন থাকতে কোনো স্থানীয় নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না: ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক
২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা, সরকারি ছুটি নিয়ে যা জানা গেল!
ঢাবির মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রশিবিরের সংবাদ সম্মেলন, ছাত্রদলের নিন্দা
ভারতে ৫ বছর ধরে নিকটজনদের কাছে ধর্ষণের শিকার কিশোরী
ইলন মাস্ককে বাংলাদেশ সফর ও স্টারলিংক চালুর আমন্ত্রণ প্রধান উপদেষ্টার
পাঁচ দফা দাবিতে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, একাডেমিক শাটডাউন ও লংমার্চের ঘোষণা
নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের দুটি সময়সীমা নির্ধারণ: সিইসি
নিজ বাড়িতে গুলিবিদ্ধ অভিনেতা আজাদ, আহত মা ও স্ত্রী
আহতদের চিকিৎসা বন্ধে ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’ শেখ হাসিনার নির্দেশ ছিলো
এস আলম পরিবারের ৮,১৩৩ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধের নির্দেশ
প্রথমবার বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি বাণিজ্য চালু
৪ ডিআইজিকে বাধ্যতামূলক অবসর, জানা গেল নাম
পুলিশ প্রজাতন্ত্রের স্বাধীন কর্মচারী, কোনো দলের নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ধর্ষণের প্রতিবাদে আসাদ গেটে ছাত্র-জনতার সড়ক অবরোধ
স্ত্রীর সামনে বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ২