শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

আস্থা-অনাস্থার দোলাচলে মহাজোট

বাংলাদেশের রাজনীতিতে দুটি ধারা বহমান। একটি অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী, আরেকটি জাতীয়বাদে বিশ্বাসী। দুই চেতনার রাজনীতির মূল লক্ষ্য থাকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থেকে দেশের উন্নয়ন করা। তবে এই দুই চেতনার দুই জোটের নিয়ন্ত্রণ সবসময় থাকে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির হাতে। জোটে অন্য দল থাকলেও নির্বাচনী মাঠে তাদের ভূমিকা খুবই সামান্য। অনেক দল আছে তাদের ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার সক্ষমতাও নেই। শুধু জোটে যুক্ত থেকে নিজেদের পরিচয়টা টিকিয়ে রাখেন। বিগত দুটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ১৪ দলীয় জোট ও মহাজোটের রূপরেখায় ভোটের মাঠে দাপট দেখিয়েছে। আবারও জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে, তাই জোট-মহাজোটের হিসাব-নিকাশ কষার সময় চলে এসেছে। আগামী বছরের শেষে বা ২০২৪ সালের প্রথম দিকেই দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন হতে পারে। তাই কোন জোটে কে থাকবে না থাকবে তা নিয়ে এখন থেকেই শুরু হয়েছে জল্পনা-কল্পনা।

এরইমধ্যে মহাজোটের অন্যতম শরিক জাতীয় পার্টি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে এককভাবে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছে। অন্যদিকে, ১৪ দলীয় জোটের কোনো কোনো দল জোটে থাকলেও নিজেদের প্রতীকে নির্বাচন করার আগ্রহের কথা জানিয়েছে। আবার কোনো কোনো দল নানা ইস্যুতে আওয়ামী লীগের সঙ্গে মতানৈক্যে পৌঁছতে পারছে না বলে নিজেদের গুটিয়ে নেওয়ার চিন্তা-ভাবনা করছে। তবে নির্বাচনে ভূমিকা না রাখতে পারলেও আদর্শিক যে জোট, সেটা অব্যাহত রাখার পক্ষে অনেক দলই ঐকমত্য।

জোট-মহাজোটের এই রূপরেখায় দেখা দিয়েছে আস্থা-অনাস্থার দোলাচল। মহাজোটের বড় শরিক জাতীয় পার্টি মনে করছে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটবদ্ধ থাকায় নিজেদের অস্তিত্ব বিলীন হতে যাচ্ছে। অন্যদিকে, ওয়ার্কার্স পার্টি মনে করছে, নিজেদের যে একটি প্রতীক রয়েছে, সেটাই মানুষ ভুলতে বসেছে। তাই জোটে থাকলেও নিজেদের প্রতীকেই নির্বাচন করতে চান। আবার আওয়ামী লীগ মনে করে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও নিজেদের আদর্শিক জোট টিকে থাকবে, পাশাপাশি অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির সঙ্গে জোট সম্প্রসারণ হতে পারে।

জোট-মহাজোটের এই খেলায় শেষ পর্যন্ত কি হয় বলা মুশকিল। তবে চাওয়ার পাওয়ার হিসাব মেলাতে গেলে অনেকেই নির্বাচনে শেষ মুহূর্তে কোন দলের ক্ষমতায় আসার সম্ভবনা বেশি সেই জোটের দিকে ঝুঁকে পড়তে পারে অনেক দল। আওয়ামী লীগ টানা তিনটি সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ায় জোটের শরিকদের প্রত্যাশা অনেক বেশি। তারা মনে করে তাদের ব্যবহার করেই ক্ষমতায় আওয়ামী লীগ।

তবে ওইসব দল রাষ্ট্র ক্ষমতায় সেভাবে ভূমিকা রাখতে পারছে না। বিশেষ করে একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর শরিক দল থেকে কাউকে মন্ত্রিসভায় ঠাঁই না দেওয়ায় মনোকষ্টে ভুগছেন অনেক নেতা। তবে আওয়ামী লীগ মনে করছে, জোটে যারা আছে তাদের উপর থেকে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছায়া সরে গেলে অনেকেই টিকে থাকতে পারবে না।

জোট-মহাজোটে এখন কারা আছেন

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দল আদর্শিক জোট। ২৩ দফার ভিত্তিতে এই জোট গঠিত হয়। আওয়ামী লীগ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), গণফোরাম, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) ও ১১ দলীয় জোট মিলে এই জোট গঠিত হয়। জোট গঠনের পরপরই ১৪ দল থেকে বেরিয়ে যায় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) ও গণফোরামসহ কয়েকটি ছোট দল। তবে জোটটি ১৪ দল নামেই এখনও সক্রিয় আছে।

বর্তমানে জোটে আছে ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ (ইনু), জাসদ (আম্বিয়া), গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টি, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল, গণতন্ত্রী পার্টি, তরিকত ফেডারেশন, কমিউনিস্ট কেন্দ্র, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ন্যাপ, বাসদ, জাতীয় পার্টি-জেপি (মঞ্জু) ও গণআজাদী লীগ। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জোট হলো মহাজোট। ১৪ দলের শরিকদের পাশাপাশি এ জোটে আছে জাতীয় পার্টি ও ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্ট।

নির্বাচনী এই জোট একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর অনেকটাই যার যার মতো হয়ে গেছে। আগামী নির্বাচনের আগে সেই জোট থাকবে, না কি অন্য জোটে চলে যাবে–সেটি এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে রাজনৈতিক নেতারা মনে করেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গে আদর্শগত যে জোট, সেটি ভাঙার সুযোগ কম। কেননা বিএনপির সঙ্গে জামায়াত থাকায় অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী দলগুলো সেই জোটে ভেড়ার সম্ভাবনা কম।

জোট বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘জোট তো বাড়তে পারেই। যেহেতু রাজনীতি করি জোটের রাজনীতিতে আমরা বিশ্বাস করি। জোট বাড়তে পারে। কিন্তু যাদের সঙ্গে জোট হবে তাদের স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি হতে হবে, অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক শক্তি হতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে সেই শক্তিকে নিয়েই আমরা জোট সম্প্রসারণ করতে পারি। সেই সম্ভাবনা আছে।’

নির্বাচনী জোট ও ১৪ দলের জোটের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘জোট আমাদের আছে, থাকবে। তবে ১৪ দলের যে আদর্শিক জোট সেখানে আমরা অনেক ক্ষেত্রেই ভূমিকা রাখতে পারছি না। গেল কয়েকটি ইস্যুতে আমরা সেভাবে ভূমিকা রাখতে পারিনি। শুধু বিভিন্ন দিবসকেন্দ্রিক কিছু প্রোগ্রাম হয়। এ ছাড়া জাতীয় ইস্যুতে আমরা ভূমিকা রাখতে পারছি না। নির্বাচনী যে জোট সেটা থাকবে, তবে আমাদের দাবি থাকবে এবার নিজেদের প্রতীকে নির্বাচন করা।’

জোট প্রসঙ্গে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, জোট আছে, জোট থাকবে। মহাজোট নিয়ে কোনো কথা হয়নি আমাদের মধ্যে। আগামী নির্বাচনে কারা থাকবে না থাকবে, সে বিষয়ে কারও সঙ্গে আলোচনা হয়নি। একটা জোটে দশ জন থাকলে দশ রকম মত থাকতে পারে। তবে জোটে কোনো সমস্যা নেই। আমাদের জোটে কোনো দূরত্ব তৈরি হয়নি।

জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘আমরা একটা অবস্থার প্রেক্ষিতে জোটে গেছি। একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর আমরা আর মহাজোটের কেউ না, মহাজোট বলতে কিছু নেই। আমরা জাতীয় পার্টি সংসদে বিরোধী দল। আমাদের নিজস্ব রাজনীতি আছে, আমরা আমাদের নিজস্ব রাজনীতি করছি। জাতীয় পার্টি কোনো জোট নিয়ে ভাবছে না। আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য তিন শ আসনেই প্রার্থীতা চুড়ান্ত করার কাজ করছে জাতীয় পার্টি।’

এ বিষয়ে সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া বলেন, ‘১৪ দল তো আছেই, আমরা ১৪ দলেই আছি। নির্বাচন তো এখনও দুই বছর বাকি। যখন নির্বাচনের ঘোষনা আসবে, তখন দেখা যাবে কোন দিকে কে থাকে। আমাদের কোনো দূরত্ব নেই।’

জাসদ সভাপতি শরীফ নূরুল আম্বিয়া ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘১৪ দলীয় জোট আছে কি না আদৌ সেটা ঠিক জানি না। আমরা ১৪ দলে থাকব কি না সেটি সময়ই বলে দেবে। এখন জোটের কোনো কার্যকারিতা নেই। জোটের কোনো ইতিবাচক ভূমিকা নেই। আওয়ামী লীগের বড় শরিকদের সরকার আছে। তারা সব লুটপাট অনাচারে ব্যস্ত আছে। আওয়ামী লীগও সেটিকে সাপোর্ট করছে। জোটে মাঝে মাঝে বিভিন্ন দিন উদযাপন করে, যা আমরা দলের মধ্য থেকেই করি।’

বাসদের একাংশের আহ্বায়ক রেজাউর রশীদ খান ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘১৪ দলীয় জোট আছে, কার্যক্রম আছে। ভার্চুয়ালি কার্যক্রম চলছে। আদর্শিক কারণে আমরা জোট করেছিলাম, সেটা ঠিক আছে। কিছু সংঘাত আছে। ১৪ দলীয় জোট আরও শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে হবে আগামীদিনে।’

এসএম/কেএফ/এসএ/

Header Ad

কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া

ছবি: সংগৃহীত

মিল্ক বিউটিখ্যাত দক্ষিনি অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়া নতুন বছরে তার জীবনের একটি বিশেষ অধ্যায়ে পা রাখতে যাচ্ছেন। খলচরিত্র করে আলোড়ন তোলা অভিনেতা বিজয় ভার্মার সঙ্গে তার প্রেমের গুঞ্জন চলছিল অনেক দিন ধরেই। তবে এ নিয়ে কেউই মুখ খোলেননি। এবার তাদের সম্পর্ক নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন তামান্না। এমনকি ২০২৫ সালে সাতপাকে বাঁধা পড়ার সম্ভাবনা আছে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন।

সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমের এক প্রোমোশনাল ইন্টারভিউতে তামান্না তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে জানান, প্রেমের সম্পর্কের জন্য জীবনে দুবার হৃদয় ভেঙেছে তার। সেই সময়টা তামান্নার জন্য খুবই ভয়াবহ ছিল।

তিনি আরও জানান, তিনি খুব কম বয়সে একজন ছেলের সঙ্গে প্রথম ভালোবাসায় জড়িয়েছিলেন এবং তার দ্বিতীয় সম্পর্কটি ছিল তার অভিনয় ক্যারিয়ারের শিখরে থাকা অবস্থায়। তবে সে সময় তিনি অনুভব করেন যে, সেই ছেলে তার সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের জন্য সঠিক ব্যক্তি নয়।

তবে এত কিছুর পরও বাহুবলিখ্যাত তামান্না প্রেমিকের নাম প্রকাশ করেননি। এর আগে গুঞ্জন ছিল যে, তিনি ভারতীয় অভিনেতা বিজয় ভার্মার সঙ্গে ডেট করছেন। পাপারাজ্জিদের ক্যামেরায় বহুবার ফ্রেমবন্দি হয়েছেন তারা। যদিও নিজেদের এ সম্পর্ক আড়ালে রাখতে বদ্ধপরিকর দুজনই। এখন দেখার অপেক্ষা তামান্না জীবনসঙ্গী হিসেবে কাকে বেছে নেন।

সবশেষ তামান্না ভাটিয়াকে আইটেম গার্ল হিসেবে দেখা যায় অমর কৌশিক পরিচালিত ‘স্ত্রী ২’ সিনেমায়। এ সিনেমায় আরও অভিনয় করেন রাজকুমার রাও, শ্রদ্ধা কাপুর, পঙ্ক ত্রিপাঠিসহ আরও অনেকে।

Header Ad

পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...

ছবি: সংগৃহীত

পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকার বিনিময়ে নয় মাসের শিশু সন্তানকে দত্তক দেন শরীফা খাতুন নামে মানসিক ভারস্যমহীন এক মা। বিষয়টি জানতে পেরে গতকাল শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ওই নবজাতককে উদ্ধার করে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিয়েছেন সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশের সহায়তায় ওই শিশুটিকে তার মায়ের কোলে ফেরত দেন।
মানসিক ভারসাম্যহীন নারী শরীফা খাতুন বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়নের জেমজুট মুসলিমবাগ এলাকায় তিন সন্তানকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে থাকেন। তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে সংসার চালান।

প্রতিবেশী ও পরিবারের সদস্যরা জানান, গত এক বছর আগে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় শরীফা খাতুনের। এর পর সন্তানদের নিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করে চলত তার পরিবার।

গত মঙ্গলবার নিজের ৯ মাসের কন্যা সন্তানকে পঞ্চগড় পৌরসভার দক্ষিণ তেলিপাড়া এলাকায় একটি হলুদ খেতে রেখে ভিক্ষা করতে যান শরীফা খাতুন। এ সময় শিশুটিকে দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে স্থানীয় রুনা আক্তার নামে এক নারী; একইসঙ্গে শরীফাকেও নিজ বাড়িতে নেন তিনি। রুনা নামে ওই নারীর নিজ সন্তান না থাকায় শিশুটিকে দত্তক নিতে চাইলে, ৫০০ টাকার বিনিময়ে রেখে চলে যান শরীফা।

এরপর চার দিন পর অবশেষে পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় নিজ পরিবারের কাছে ফিরেছে শিশুটি। বর্তমানে শিশুটিকে দেখভাল করছেন মানসিক ভারসামহীন শরীফার ১৬ বছরের বড় ছেলে নয়ন।

এ বিষয়ে শরীফার ছেলে নয়ন ইসলাম বলেন, গত চার দিন আগে মা বোনকে নিয়ে হঠাৎ পঞ্চগড়ে যান। পরে একসময় বাড়িতে একাই এসে ঘরে তালা লাগিয়ে বন্দি অবস্থায় থাকতে শুরু করেন। বোন কোথায় তা জানতে চাইলে কোনো কিছুই জানাচ্ছিলেন না।

পরে অনেক কৈশলে বোনের অবস্থান জানতে পারি। এরপর সেই বাড়িতে গিয়ে বোনকে ফেরত চাইলে তারা দিতে অস্বীকার করেন। আরও জানতে পারি মা বোনকে নেবেন না বললে তারা ৫০০ টাকা মাকে খেতে দিয়ে একটা কাগজে স্বাক্ষর করে নেন। শুক্রবার সাংবাদিক ও পুলিশ এসে তদন্ত করে আমার বোনকে আনতে নির্দেশ দিলে মাকে সঙ্গে নিয়ে বোনকে বাড়িতে নিয়ে আসি।

স্থানীয় মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অনেক আগে থেকে ওই নারীকে দেখছি। তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে পরিবার চালান। তবে কয়েকদিন আগে নিজের সন্তানকে মানুষের কাছে দিয়ে প্রায় পাগল হয়ে বেড়াচ্ছিলেন।

কাজলা নামে স্থানীয় এক নারী বলেন, সকালে শরিফা আমার কাছে এসে আমার পা জড়িয়ে ধরেছেন আর বলেছেন আপু যেভাবেই পারো আমার মেয়েকে এনে দাও।

প্রতিবেশীরা বলেন, স্বামী না থাকায় পরিবারটা চালাতে শরীফা খাতুন ভিক্ষা করতেন। এর মাঝে এমন কাণ্ড ঘটে তিনি পাগল হয়ে গেছেন। তার তিনটা সন্তান। একটা ছেলে ও দুটি মেয়ে। এদের কি হবে আমরা জানি না। তবে সরকারি সহায়তা পেলে তাদের গতি হতো।

এ বিষয়ে পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, আগের বিষয়টি আমাদের কেউ জানায়নি। খবর পাওয়ার পর পঞ্চগড় সদর থানার ওসিকে জানানো হয়। বিষয়টি পুলিশের হস্তক্ষেপে সুষ্ঠু সমাধান করে ভারসাম্যহীন নারীর কাছে তার বাচ্চা ফেরত দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, যেহেতু ওই নারীর বাড়ি বোদা উপজেলায়, সেখানকার ইউএনওকে জানিয়ে সরকারি সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে।

Header Ad

অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা

ছবি: সংগৃহীত

অ্যন্টিগার পেস সহায়ক উইকেটে নতুন বলের বাড়তি সুবিধা বেশ ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছিল বাংলাদেশ। দিনের প্রথম সেশনে দ্রুত দুই উইকেট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে চাপে ফেলেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সময় গড়াতেই বাংলাদেশের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায় দুই ক্যারিবিয়ান ব্যাটার মিকাইল লুইস ও আলিক অ্যাথানেজকে। জুটি গড়ে দুজনের ছুটতে থাকেন শতকের পথে। কিন্তু দুজনের কারও প্রত্যাশা পূরণ হতে দেয়নি বাংলাদেশ। দিনের শেষভাগে নার্ভাস নাইন্টিতে দুজনকে মাঠ ছাড়া করে প্রথম দিনের ইতি টানে বাংলাদেশ।

টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দিন শেষে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৫০ রান করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষ দিকে বৃষ্টি হানা দেয় ম্যাচে। বৃষ্টি থামার পর আলোক স্বল্পতায় ৮৪ ওভার হওয়ার পরই দিনের খেলা শেষ করেন আম্পায়াররা।

টস জিতে বোলিংয়ে নেমে মেডেন ওভারে শুরুটা ভালো করেন হাসান মাহমুদ। অন্যপ্রান্তে আরেক পেসার শরিফুল ইসলামও মেডেন ওভার নেন। উইকেটের দেখা না পেলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ওপেনার কার্লোস ব্রাথওয়েট ও লুইসকে বেশ কয়েকবার পরাস্ত করেন বাংলাদেশের দুই পেসার।

ইনিংসের অষ্টম ওভারে প্রথমবারের মতো বোলিংয়ে আনা হয় তাসকিন আহমেদকে। এই পেসারই প্রথম ব্রেকথ্রু দেন দলকে। ১৪তম ওভারে তাসকিনের অফ স্টাম্পে পড়ে একটু ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিতে ডিফেন্স করেছিলেন ব্রাথওয়েট। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়কের ব্যাটকে ফাঁকি দিয়ে বল আঘাত হানে পায়ে। বাংলাদেশের ফিল্ডারদের আবেদনে আম্পায়ার সাড়া দেন। যদিও তৎক্ষণাৎ রিভিউ নেন ব্রাথওয়েট। তবে সিদ্ধান্তের পরিবর্তন হয়নি।

তিনে নেমে টিকতে পারেননি কেসি কার্টি। ডানহাতি ব্যাটারকেও ফিরিয়েছেন তাসকিন। উইকেটে আসার পর থেকেই তাড়াহুড়ো করছিলেন তিনি। তাসকিনের মিডল এবং লেগ স্টাম্পের লেংথ ডেলিভারিতে ফ্লিক করার চেষ্টায় লিডিং এজ হয়ে মিড অনে থাকা তাইজুল ইসলামকে ক্যাচ দিয়েছেন কার্টি।

২৫ রানে দুই উইকেট হারানোর পর তৃতীয় উইকেট জুটিতে দলকে পথ দেখান লুইস ও কেভম হজ। তবে হজ ২৫ রান করে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফিরলে ভাঙে ৫৯ রানের তৃতীয় উইকেট জুটি।

এরপর বাংলাদেশকে বেশ ভুগিয়েছে লুইস ও আথানজে জুটি। দুজনেই সেঞ্চুরির পথে ছিলেন। তবে সম্ভাবনা জাগিয়েও কেউই মাইলফলক ছুঁতে পারেননি।

ইনিংসের ৭৫তম ওভারে মিরাজের বলে বেরিয়ে এসে ছক্কা মারতে গিয়ে টাইমিংয়ে ভুল করেন লুইস। ব্যাটের কানায় লেগে বল যায় স্লিপে। ক্যাচ নিতে ভুল করেননি শাহাদাত হোসেন দিপু। নব্বইয়ের ঘরে ২৬ বল আটকে থেকে আউট হন লুইস। ফলে ভেঙে যায় ২২১ বলে ১৪০ রানের জুটি। ২১৮ বলে এক ছক্কা ও নয় চারে ৯৭ রান করেন এই ওপেনার।

এর কিছুক্ষণ পরই ফিরেছেন আথানজেও। তাইজুলের অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারি স্কুপের মতো খেলেছিলেন আথানজে। যদিও তেমন গতি না থাকায় তার ব্যাটে লেগে বল উপরে উঠে যায়। সহজ ক্যাচ নেন উইকেটরক্ষক লিটন। দশটি চার ও একটি ছক্কায় ১৩০ বলে ৯০ রান আসে বাঁহাতি এই ব্যাটারের ব্যাটে। তিন রানের মধ্যে দুই সেট ব্যাটারকে ফিরিয়ে লড়াইয়ে ফেরার সম্ভাবনা জাগায় বাংলাদেশ।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি
উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী
ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ
জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা, ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু
পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
সাফজয়ী নারী ফুটবলার আইরিনকে নওগাঁয় সংবর্ধনা
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেবে পাকিস্তান
বেনাপোলে সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল উদ্ধার
পুলিশ-অটোরিকশা চালক সংঘর্ষ, ঢাকা-পদ্মা সেতু ট্রেন চলাচল বন্ধ
ভারতীয় সাবমেরিনের সঙ্গে মাছ ধরা নৌকার সংঘর্ষ, নিখোঁজ ২
সংসার ভাঙার দুদিন পরই সুখবর দিলেন এ আর রহমান
ঢাকায় পৌঁছেছেন বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি
আ.লীগকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ৮২ বাংলাদেশি