রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৭ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন: লাভ-ক্ষতির রাজনীতিতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলসমূহ

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ এখনও ঘোষণা করা হয়নি। কিন্তু নির্বাচন পদ্ধতির পরিবর্তন, বিশেষত সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের বিষয়টি ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক আলোচনায় উঠে এসেছে। আনুপাতিক নির্বাচনের পক্ষে ইসলামী দলসহ বিভিন্ন ছোট-বড় রাজনৈতিক দল থাকলেও বিএনপি এর বিরোধিতায় অটল রয়েছে। এ বিষয়ে দলগুলোর ভিন্নমত থাকার পাশাপাশি তাদের নিজ নিজ ভোটের কৌশল ও লাভ-ক্ষতির হিসাব কষছেন অনেকে। প্রশ্ন হলো, নতুন এই পদ্ধতিতে কোন দল লাভবান হবে আর কোন দল ক্ষতিগ্রস্ত হবে?

আনুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতি কী?
বর্তমানে বাংলাদেশে ৩০০ আসনের জন্য ভোটাররা সরাসরি প্রার্থী নির্বাচন করেন। কিন্তু সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে একটি দল মোট ভোটের অনুপাতে আসন পাবে। অর্থাৎ, জনগণের সরাসরি ভোটে কোনো প্রার্থী নির্বাচিত হবেন না। যদি একটি দল ৪০ শতাংশ ভোট পায়, তবে তারা সংসদে ৩০০ আসনের মধ্যে ৪০ শতাংশ আসন পাবে। অনেকের মতে, এটি গণতন্ত্রের প্রকৃত প্রতিফলন ঘটাবে, কিন্তু তাতে বিজয়ী দলের আসন সংখ্যা কমে আসবে এবং ছোট দলগুলো তুলনামূলকভাবে বেশি আসন পাবে।

আওয়ামী লীগ-বিএনপির সম্ভাব্য ক্ষতি: পাশ্চাত্যের উদাহরণে সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন বড় দলগুলোর আসন সংখ্যা কমায়। বাংলাদেশের বড় দুটি দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রচলিত নির্বাচনী পদ্ধতিতে ভোটের তুলনায় বেশি আসন পেয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ২০০১ সালে বিএনপি ৪০.৮৬ শতাংশ ভোট পেয়ে সংসদে ১৯৩টি আসন পেয়েছিল। কিন্তু সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে তাদের আসন সংখ্যা ১২৩-এ নেমে আসত, এবং আওয়ামী লীগ প্রায় সমান আসন পেত। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই পরিবর্তন বড় দলগুলোর জন্য এককভাবে সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া কঠিন করে তুলবে।

জামায়াত ও ইসলামি দলগুলোর আশা: সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির সবচেয়ে জোরালো সমর্থন এসেছে জামায়াতে ইসলামী থেকে। দলটির আমির ড. শফিকুর রহমান বলেন, "সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন দেশের জনগণের প্রকৃত প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করবে। এটি কোনো নির্দিষ্ট দলের জন্য নয় বরং জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।" অনেকে মনে করছেন, সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে জামায়াত ও অন্যান্য ইসলামি দলগুলোর ভোটের অনুপাতে সংসদে আসন পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে, যা তাদের রাজনৈতিক অবস্থান সুদৃঢ় করতে পারে।

ছোট দলগুলোর চ্যালেঞ্জ ও সুবিধা: অনেক ছোট দল, যেমন সিপিবি, গণসংহতি আন্দোলন, এবি পার্টি এবং গণঅধিকার পরিষদ সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের সমর্থন দিচ্ছে। ছোট দলগুলোর আঞ্চলিক প্রভাব থাকলেও জাতীয় পর্যায়ে ভোট কম হওয়ায় বর্তমান পদ্ধতিতে তাদের সফলতা কম। গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক বলেন, “সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সহায়ক হবে। এতে সরকার এককভাবে কর্তৃত্বপরায়ণ হতে পারবে না।”

বিএনপির বিরোধিতার কারণ: বিএনপি বলছে, বাংলাদেশে সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক সংস্কৃতি নেই। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন চালু করতে হলে পুরো রাষ্ট্রীয় কাঠামো ও রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিবর্তন আনতে হবে।” তিনি আরও যোগ করেন যে, এর মাধ্যমে দেশের শাসনক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া জটিল হয়ে উঠতে পারে এবং উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হতে পারে।

আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ এবং অন্যান্য দলগুলোর দৃষ্টিভঙ্গি: আওয়ামী লীগ তাদের ভোট ব্যাংক নিয়ে আত্মবিশ্বাসী থাকলেও সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে অংশ নিলে লাভ-ক্ষতির হিসাব মেলাতে হবে। গণ অধিকার পরিষদ এবং জামায়াতের মতানুসারে, আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করাই উত্তম। তারা মনে করেন, দেশের বর্তমান অবস্থা অনুযায়ী সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন একটি গণতান্ত্রিক সমাধান হতে পারে।

সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতবিরোধ স্পষ্ট। নতুন নির্বাচন পদ্ধতি চালু হলে ছোট দলগুলো সুবিধা পাবে বলে ধারণা করা হলেও বিএনপির মতো দল এর বিরোধিতা করছে। গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি এবং রাজনৈতিক কাঠামো নিয়ে মতভেদ থাকা সত্ত্বেও জনগণের প্রকৃত ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের পক্ষের দাবি বেশ শক্তিশালী। তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এ প্রস্তাব বাস্তবায়নে কতটা আগ্রহী, সেটি এখনও নিশ্চিত নয়। সূত্র: বিবিসি বাংলা

Header Ad
Header Ad

ভারতের কাছে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ

ছবি: সংগৃহীত

দারুণ সব জয়ে নারী অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে ফাইনালে উঠেছিলও বাংলাদেশ। একমাত্র হারটি ছিলো ভারতের কাছে। সেই ভারতকে ফাইনালে পেয়ে প্রতিশোধ নিতে পারেনি সুমাইয়া আক্তারের দল। কুয়ালালামপুরে ভারত আজ ৪১ রানের জয়ে বাংলাদেশের স্বপ্ন ভেঙ্গে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।

বেউয়েমাস ওভালের ফাইনালে বাংলাদেশের বোলাররা ভারতকে আটকে রেখেছিলেন নাগালের মধ্যে। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ১১৭ রানের পূঁজি পায় ভারত।

সর্বোচ্চ ৫২ রান করেন গঙ্গাদি তৃষা। বল হাতে ফারজানা ইয়াসমিন ৩১ রানে চার উইকেট নিয়ে সবচেয়ে সফল ছিলেন। ১১৮ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। রানের খাতা খুলতে পারেননি মোসাম্মত ইভা। দলীয় ৮ রানে ওপেনিং জুটি ভাঙ্গার পর সুমাইয়া আক্তারকে নিয়ে ১৬ ও জুয়াইরা ফেরদৌসের সঙ্গে ২০ রানের জুটি গড়েন ফাহমিদা ছোয়া। এই ওপেনার ২৪ বলে ১৮ করে আউট হতেই ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ। ১৮ ওভার তিন বল পর্যন্ত টিকে থেকে ৭৬ রানে অলআউট হয় তারা।

৪১ রানের জয়োৎসবে মাতে ভারতীয় মেয়েরা। বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে সর্বোচ্চ ২২ রান করেন জুয়াইরা। এই দুজন ছাড়া আর কেউ দুই অঙ্কের ঘরে রান করতে পারেননি। ভারতের বোলিংয়ে আয়ুশি শুক্লা ১৭ রানে তিন উইকেট নেন। দুটি করে উইকেট পান পারুনিকা সিসোদিয়া ও সোনাম যাদব।

Header Ad
Header Ad

এক দশক পর ফিরলো ‘আমার দেশ’ পত্রিকা

পুণঃযাত্রায় রবিবার পত্রিকাটির প্রথম সংখ্যা বের হয়। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় দৈনিক ‘আমার দেশ’ প্রায় এক দশক পর আবার প্রকাশিত হয়েছে। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বন্ধ করে দেওয়া হয় এ পত্রিকাটি।

রবিবার (২২ ডিসেম্বর) পত্রিকাটির প্রথম সংখ্যা হাতে পেয়েছেন পাঠকরা। সাপ্লিমেন্টসহ ৪৮ পৃষ্ঠার এই কাগজ ভোর থেকে পাঠকের হাতে পৌঁছাতে শুরু করে।

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালে বাজারে আসে ‘আমার দেশ’। পরে আওয়ামী লীগ সরকারের রোষানলে পড়ে পত্রিকাটি ২০১৩ সালে বন্ধ হয়ে যায়। এর আগে, ২০১০ সালের জুনেও ১০ দিনের জন্য পত্রিকাটি বন্ধ করে দিয়েছিল শেখ হাসিনার সরকার।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে প্রায় দেড় মাস পর সাড়ে পাঁচ বছরের নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে পত্রিকাটির সম্পাদক ও প্রকাশক মাহমুদুর রহমান দেশে ফেরেন। তার নেতৃত্বে কারওয়ান বাজারের নতুন কার্যালয় থেকে এখন আবার ‘আমার দেশ’ পত্রিকা বেরুচ্ছে।

মাহমুদুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “শূন্য থেকে শুরু করে দুই মাসের মধ্যে জাতীয় পত্রিকা বের করা প্রায় অসম্ভব ছিল। পুনঃপ্রকাশের এই নতুন যাত্রায় পত্রিকাটি জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ করবে। পত্রিকাটি সঠিক খবর তুলে ধরার চেষ্টা করবে। মতপ্রকাশের জন্য আওয়াজ তুলবে ‘আমার দেশ’। ”

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের এপ্রিলে পত্রিকাটির সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে তার কার্যালয় থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর থেকে ‘আমার দেশ’র প্রকাশনা বন্ধ করে দেওয়া হয়।

Header Ad
Header Ad

৩০০ মিলিয়ন ডলার পাচার: হাসিনা ও জয়ের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু দুদকের

হাসিনা ও জয়। ছবি: সংগৃহীত

নিউইয়র্ক ও লন্ডনে ৩০০ মিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক।

রোববার (২২ ডিসেম্বর) সকালে দুদক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তাদের বিরুদ্ধে গত ১৫ বছরে বিভিন্ন মেগা প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে। অনুসন্ধানে পাঁচ সদস্যের টিম গঠন করেছে দুদক। শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা ও জয়সহ তাদের পরিবারের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলাকালে ব্যাংক হিসাব-সম্পদ জব্দ বা ক্রোক করতে পারবে এই কমিটি।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুকেন্দ্র থেকে ৫৯ হাজার কোটি টাকা’সহ বিভিন্ন প্রকল্পে ওঠা ৮০ হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। এছাড়া, আশ্রয়ণসহ ৮টি প্রকল্পে দুর্নীতির তথ্য আমলে নিয়েছে দুদক।

গত ৩ সেপ্টেম্বর, শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের এসব দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ। শুনানি নিয়ে এসব অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদকের নিষ্ক্রিয়তা কেনো অবৈধ ঘোষণা করা হবে না?– তা জানতে চেয়ে গত ১৫ ডিসেম্বর রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ভারতের কাছে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ
এক দশক পর ফিরলো ‘আমার দেশ’ পত্রিকা
৩০০ মিলিয়ন ডলার পাচার: হাসিনা ও জয়ের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু দুদকের
ইয়েমেনে হুথিদের লক্ষ্যবস্তুতে মার্কিন বিমান হামলা
লোকসানের মিথ্যা গল্প শোনাচ্ছে ব্রিডার ফার্মগুলো
একজন ঢাকা অন্যজন কলকাতায় সংসার ভাঙছে মিথিলার
আইনজীবী আলিফ হত্যা: তদন্ত কমিটির সব সদস্যের পদত্যাগ
যে কোন সময় বাংলাদেশের পাশে নতুন দেশ
গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রীর মৃত্যু
বাংলাদেশে ইসলামি চরমপন্থা আসবে না: ড. ইউনূস
  সংকট কাটছে, মেট্রোর যাত্রীদের সুখবর দিল ডিএমটিসিএল
ভারতের বিপক্ষে ১১৮ রান করলেই এশিয়া কাপ ঘরে উঠবে বাংলাদেশ
বিরামপুরে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ
টাঙ্গাইলে আ.লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম আটক
শেখ হাসিনা নিজ হাতে তার বাবাকে দ্বিতীয়বার হত্যা করেছে: গয়েশ্বর
চুয়াডাঙ্গায় অবৈধ যানবাহন বন্ধ না হলে গণপরিবহন বন্ধের ঘোষণা
জুমার দিনে ফিলিস্তিনের মসজিদে আগুন দিল ইসরায়েলিরা
গাইবান্ধায় বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষ, আহত অন্তত ১০
আশ্বস্ত করছি বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দেবে না: প্রধান উপদেষ্টা
সত্যি কি থাপ্পড় মেরেছিলেন শাহরুখ, ৯ বছর পর মুখ খুললেন হানি সিং