খালেদা জিয়া বিএনপির অপরাজনীতির শিকার: কাদের
ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতার জন্য বিএনপিকেই দায়ী করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বেগম জিয়ার অসুস্থতা, তাদের অতি রাজনীতি ও ষড়যন্ত্রের শিকার। জনগণ মনে করে বিচার চলা কালে কেন তাদের বাঘা বাঘা আইনজীবীরা বছরের পর বছর বিচার বিলম্বিত করল? অনেকে মনে করে তাদের কালক্ষেপণের কারণেই বেগম জিয়ার অসুস্থতা।
সোমবার (০৬ ডিসেম্বর) সকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের সাথে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের (উত্তর-দক্ষিণ) দুই মেয়র ও কাউন্সিলরগণ এবং ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বেগম জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে একদিন দলের অভ্যন্তরে তাদের নেতাদের জবাবদিহি করতে হবে। নিশ্চই কর্মী সমর্থকরা বিএনপি নেতাদের অপরাজনীতি, অতি রাজনীতি, নেতিবাচক রাজনীতির জবাব চাইবে।
খালেদা জিয়া না থাকলে আওয়ামী লীগ থাকবে না বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, খালেদা জিয়া না থাকলে বিএনপি-ই থাকবে না। মির্জা ফখরুল আসলে একথাটিই বলতে চেয়েছিলেন। খেই হারিয়ে তিনি আওয়ামী লীগের কথা বলেছেন। বিএনপি’র বহুদলীয় গণতন্ত্র বহুদলীয় তামাশায় পরিণত হয়েছে। ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোটার বিহীন নির্বাচন তাদের বহুদলীয় গণতন্ত্রের নমুনা। সোয়া এক কোটি ভুয়া ভোটার সৃষ্টি তাদের অন্তসারশূন্য বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রতিচ্ছবি। দেশ আর বিএনপি’র মুখোশ পরা বর্ণচোরা গণতন্ত্রে ফিরে যাবে না।
তিনি বলেন, বিএনপি এখন আত্মবিশ্বাস হারানো পথ হারা একটি রাজনৈতিক দল। তাদের কাছে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা মানে বিচার তাদের পক্ষে যাওয়া।
বেগম জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে মির্জা ফখরুল সাহেব আরও একধাপ এগিয়ে বলেছেন বেগম জিয়াকে স্লো পয়েজনিং করা হয়েছে। নিশ্চয় তাদের ডাক্তার বা তার আশাপাশে যারা তারাই স্লো পয়েজনিং করেছে। তার আশাপাশে তো তাদেরই ডাক্তার, গৃহ পরিচারিক, তাদের লোকই থাকে। আওয়ামী লীগ কোথা থেকে গিয়ে স্লো পয়েজনিং করাবে? এটা আর একটা হাস্যকর মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল।
সভায় উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাববুউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, এসএম কামাল হোসেন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।