'বর্তমান সময় ও বাকশালের মধ্যে কোনো তফাৎ নেই'
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘আজকের দিন ও বাকশালের মধ্যে কোনো তফাৎ নেই। ১৯৭৫ সালে ২৫ জানুয়ারি বাকশাল প্রতিষ্ঠার মধ্যদিয়ে গণতন্ত্রের বস্ত্র হরণ করা হয়ছিল। জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে দেশকে গণতান্ত্রিক ধারায় ফেরানো সম্ভব হয়েছিল।'
তিনি বলেন, ‘বিলম্বে হলেও বিশ্ব বিবেক আমাদের দেশের সন্তান হারানো মায়ের কান্না, ভাই হারানো বোনোর কান্না শুনতে পেয়েছে। আজকের দিনে আমাদের নেতা তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমাদের প্রতিশ্রুতি হোক এই সরকার যে অবস্থায় দেশকে নিয়ে গেয়েছে, গণতন্ত্রহীন, মানবাধিকার হরণ, দুর্নীতি ইত্যাদি অপবাদ থেকে দেশকে রক্ষা করব। গণতন্ত্র ও মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করব।’
রবিবার (৩০ জানুয়ারি) বিকালে বাকশাল দিবস উপলক্ষ্যে এক ভার্চ্যুয়াল আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির পক্ষ থেকে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটি এ আলোচনার আয়োজন করে।
আলোচনা সভা পরিচালনা করেন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম।
স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস করে মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ করে রাজনীতিকে বদলে দিয়েছিল বাকশাল গঠন। পৃথিবীর ইতিহাস ও দেশের ইতিহাসে এমন নেতা খুজে পাওয়া যাবে না শেখ মুজিবুর রহমান যা করেছেন। তিনি গণআন্দোলনের মুখে যখন নেতৃত্ব দেওয়ার কথা তখন স্বেচ্ছায় বন্দিত্ব বরণ করেছেন। পক্ষান্তরে জিয়াউর রহমান মেজর পদে থেকে আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন, ঘোষণা দিয়েছেন যা কোনো রাজনৈতিক দল দিতে পারেনি, যা ইতিহাসে বিরল।’
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার পর দেশে প্রথম খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যা, নির্বাচনে কারচুপি, কালাকানুন আইন, দুর্ভিক্ষ, জরুরি আইন, একদলীয় বাকশাল সব কিছুই হয়েছে শেখ মুজিবুর রহমান যখন রাষ্ট্র পরিচালনায়।’
স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘স্বাধীনতার পর যে পরিস্থিতিতে শেখ মুজিব বাকশাল গঠন করেছিলেন একই অবস্থায় জিয়াউর রহমান দায়িত্ব পেয়ে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করে গণতান্ত্রিক অর্থনীতির সমস্যা সমাধান করেছেন। বহুদলীয় গণতন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে আওয়ামী লীগের পুনর্জন্ম দিয়েছেন। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে রাষ্ট্রের অধীনে নিয়োজিত করতে সক্ষম হয়েছিলেন। শেখ মুজিব যেখানে ব্যর্থ হয়েছে সেখানেই জিয়াউর রহমান সফলতার সাক্ষর রেখেছেন।’
এমএইচ/এমএমএ/