প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে স্বতন্ত্র প্রার্থীকে জড়িয়ে ধরে কাঁদলেন আ.লীগ নেতা
প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে স্বতন্ত্র প্রার্থীকে জড়িয়ে ধরে কাঁদলেন আ.লীগ নেতা। ছবি: সংগৃহীত
কিশোরগঞ্জ-১ আসনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন জাতীয় নেতা শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম পরিবারের সদস্য সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু। সেই সঙ্গে আসনটিতে তার চাচাতো ভাই মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলামকে সমর্থন দিয়েছেন তিনি।
স্থানীয় সূত্র জানায়, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলামের ছেলে আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও মন্ত্রী প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের আসন ছিল এটি। এবারও তার বোন বর্তমান সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপিকে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছে আওয়ামী লীগ। লিপির বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন তার ভাই সৈয়দ সাফায়েতুল ও চাচাতো ভাই আশফাকুল। ফলে এবার ভাই ও বোনের মধ্যে এ আসনে লড়াই হবে।
রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকালে বড় ভাইকে সমর্থন দিয়ে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের আবেদন করেন সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু।
এরপর প্রার্থিতা প্রত্যাহার বিষয়ে শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে মতবিনিময় সভা করেন টিটু। সেখানে সাফায়েতকে সমর্থনের প্রেক্ষাপট ব্যাখ্যা করতে গিয়ে এক পর্যায়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। পরে সাফায়েত ও টিটু পরস্পরকে জড়িয়ে ধরেন। এ সময় ডুকরে কাঁদতে থাকেন টিটু। সান্ত্বনা দিতে তার গাল ও কপালে চুমু দেন সাফায়েত।
এরপর অনুসারীদের উদ্দেশে আশফাকুল বলেন, ‘আমরা নৌকার বিরুদ্ধে নই। আমরা পরিবর্তন চাই, যোগ্য নেতৃত্ব চাই। স্বতন্ত্র রাখার মাধ্যমে নেত্রী সে সুযোগ করে দিয়েছেন। নিজেদের পরিবারের সুনাম রক্ষা ও কিশোরগঞ্জের মঙ্গলের জন্যই প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছি। আমাদের কর্মীদের অনুরোধ করবো, আপনারা সাফায়েতুলের পক্ষে কাজ করবেন। সাফায়েতুল আমাদের প্রার্থী।
বোন লিপির নানা অযোগ্যতা তুলে ধরে সভায় সাফায়েতুল বলেন, ‘সে কখনও নৌকার মাঝি ছিল না। নৌকার প্রার্থী হতে পারে না। বড় ভাই সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম যে উন্নয়নকাজ করে গেছেন, এরপর আর কিছুই হয়নি। বাবা ও ভাইয়ের সুনাম এবং সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্যই প্রার্থী হয়েছি। আমার বয়স ৬৮, বেশিদিন নেতৃত্ব দিতে পারবো না। এবার কিছু করতে চাই। আগামীতে এমপি হবে আশফাকুল। তাকে জেলার সাধারণ সম্পাদক বানাবো।’
সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আওলাদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও কর্শাকড়িয়াইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি শহীদুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় বিভিন্ন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা বক্তব্য দেন। সভা শেষে বিকাল ৩টায় রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়ন প্রত্যাহারের আবেদন জমা দেন আশফাকুল।