শরিকদের ৬ ও জাপাকে ২৬টি ছাড় দিয়ে ২৬৩ আসনে আওয়ামী লীগ
ফাইল ছবি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চূড়ান্ত পর্যায়ে ১৪ দলীয় জোটের শরিকদের জন্য ছয়টি আসন ছেড়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টিকে ছাড় দেওয়া হয়েছে ২৬ আসনে। বাকি ২৬৩ আসনে নৌকা প্রতীকে লড়বেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা।
রোববার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে দলটির দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া এসব তথ্য জানিয়েছেন।
বিপ্লব বড়ুয়া জানান, আমরা ছয়টি আসনে আমাদের দীর্ঘ দিনের রাজনৈতিক মিত্র ১৪ দলের শরিক তিনটি রাজনৈতিক দলকে আমরা ছয়টি আসন দিয়েছি। সেখানে ওয়ার্কার্স পার্টির দুইটি, জাসদের তিনটি ও জেপি (মঞ্জু) একটি; মোট ছয়টি আসন আমরা ১৪ দলকে ছেড়ে দিয়েছি এবং এই ছয়টি আসনে আমরা আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
তিনি বলেন, জাতীয় পার্টির সঙ্গে আমরা ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে আমরা বিভিন্ন ইস্যুতে একসঙ্গে কাজ করেছি। জাতীয় পার্টির জন্য ২৬টি আসনে আমরা আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ২৬টি আসনে আমরা আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত আমরা নির্বাচন কমিশনকে জানাতে এসেছি।
তিনি আরও বলেন, সব মিলিয়ে আমরা জাতীয় পার্টির জন্য ২৬টি ও ১৪ দলের জন্য ছয়টি, মোট ৩২টি আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী প্রত্যাহারের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত আমরা জানাতে এসেছি।
১৪ দলের ছাড় পেয়েছেন যারা-
বগুড়া-৪ আসনে জাসদ প্রার্থী এ, কে, এম রেজাউল করিম তানসেন
রাজশাহী-২ আসনে বাংলাদেশ ওয়াকার্স পার্টির ফজলে হোসেন বাদশা
কুষ্টিয়া-২ আসনে জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু
বরিশাল-২ বাংলাদেশ ওয়াকার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন
পিরোজপুর-২ আসনে জাতীয় পার্টির (মঞ্জু) আনোয়ার হোসেন
লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে জাসদ প্রার্থী মোশারফ হোসেন।
জাপাকে ছাড় দেওয়া হয়েছে যেসব আসনে-
ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে হাফিজ উদ্দিন আহমেদ
কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে মো. মুজিবুল হক চুন্নু
রংপুর-১ আসনে হোসেন মকবুল শাহরিয়ার
রংপুর-৩ আসনে জি এম কাদের
নীলফামারী-৪ আসনে আহসান আদেলুর রহমান
কুড়িগ্রাম-১ আসনে মুস্তাফিজ
কুড়িগ্রাম-২ আসনে পনির উদ্দিন আহমেদ
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে সেলিম ওসমান
গাইবান্ধা-১ আসনে শামীম পাটোয়ারী
গাইবান্ধা-২ আসনে মো. আব্দুর রশিদ সরকার
সিলেট-৩ আসনে মো. আতিকুর রহমান
নীলফামারী-৩ আসনে রানা মোহাম্মদ সোহেল
বগুড়া-২ আসনে শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ
বগুড়া-৩ আসনে নুরুল ইসলাম তালুকদার
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে আব্দুল হামিদ
চট্টগ্রাম-৮ আসনে সুলেমান আলম শেঠ
পিরোজপুর-৩ আসনে মো. মাশরেকুল আজম রবি
হবিগঞ্জ-১ আসনে মো. আব্দুল মুনিম চৌধুরী
মানিকগঞ্জ-১ আসনে জহিরুল আলম রুবেল
বরিশাল-৩ আসনে গোলাম কিবরিয়া টিপু
সাতক্ষীরা-২ আসনে মো. আশরাফুজ্জামান
ফেনী-৩ আসনে মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী
চট্টগ্রাম-৫ আসনে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ
পটুয়াখালী-১ আসনে রুহুল আমিন হাওলাদার
ময়মনসিংহ-৫ আসনে সালাহ উদ্দিন আহমেদ মুক্তি
ময়মনসিংহ-৮ আসনে ফখরুল ইমাম।
তফসিল অনুযায়ী, ৭ জানুয়ারি হবে ভোটগ্রহণ। ১৭ ডিসেম্বর নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময়। চূড়ান্ত প্রার্থীদের মধ্যে ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ করা হবে। প্রতীক নিয়েই প্রার্থীরা ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ভোটের প্রচার চালাতে পারবনে।