প্রতিমন্ত্রী জাকির মনোনয়ন না পাওয়ায় রাজিবপুরে মিষ্টি বিতরণ
নিজস্ব ছবি : ঢাকা প্রকাশ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুড়িগ্রাম-৪ আসনে (রাজিবপুর, রৌমারী,চিলমারী) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন মনোনয়ন না পাওয়ায় রাজিবপুর উপজেলা আ'লীগের নেতারা মিষ্টি বিতরণ করেছেন।
আজ রোববার বিকেলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সভা শেষে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। প্রার্থীদের নাম ঘোষণার পরপরই উপজেলা শহরের বিভিন্ন সড়কে ও চায়ের দোকান গুলো উৎসব মুখর হয়ে উঠে।
রাজিবপুর উপজেলা আ'লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের ত্যাগী নেতাকর্মীরা এই মিষ্টি বিতরণ করেন।
কুড়িগ্রাম-৪ আসনে আ'লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছে তরুণ ছাত্রলীগ নেতা এ্যাডভোকেট বিপ্লব হাসান পলাশ।
রাজিবপুর উপজেলা আ'লীগ সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির ছক্কু বলেন, কুড়িগ্রাম ৪ আসনের জনগণ আজ মুক্ত হলো। এমপি হওয়ার পর জাকির হোসেন জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। স্থানীয় নেতাকর্মীদের কোন খোঁজ খবর নিত না। সবসময় তার পাশে কিছু সুবিধাভোগী নেতারা বিচরণ করত। তরুণ ছাত্রলীগ নেতা বিপ্লব হাসান পলাশ কে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ায় সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করে নৌকায় বিজয় নিশ্চিত করার আহবান জানান তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরও একাধিক নেতাকর্মী গণমাধ্যমকে বলেন, প্রতিমন্ত্রীর পদ পাওয়ার পরেই বদলে যান জাকির। দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের বাইরে রেখে নিজের সুবিধাজনক ব্যাক্তিদের নিয়ে চলাফেরা করতেন তিনি। নামে বেনামে অনেক সম্পদ করেছেন রাজিবপুর উপজেলার শহীদ মিনার সংলগ্ন একটি বাড়ি কিনেছেন প্রায় কোটি টাকা মূল্যের। উপজেলার পোস্ট অফিস সড়কে একটি দৃষ্টিনন্দন সরকারী ও মালিকানাধীন পুকুর ছিলো। প্রভাব খাটিয়ে নামমাত্র মূল্যে সেই পুকুর কিনে মাটি ভরাট করে দোকান ঘর নির্মান করেছে। উপজেলা প্রশাসন দোকান নির্মানে বাঁধা দিলেও পরে আবার ইউএনও এবং এসিল্যান্ডকে ম্যানেজ করে দোকান নির্মান করে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রৌমারী উপজেলার একাধিক নেতা বলেন, নিজ ছেলে মেয়েকে বিদেশে পড়ানোর নামে টাকা পাচার করেছে জাকির। তিনি এলাকায় আসলেও সরকারী ভাবে কোন দপ্তর জানতো না। আসার পর অবগত হতেন সবাই। এছাড়াও প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার কথা বলেও দেশের বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে টাকা নিয়েছে জাকির হোসেন।
তারা আরও বলেন, রৌমারী উপজেলার ত্যাগী আ'লীগ নেতাকর্মীরাও খুশি তাকে মনোনয়ন না দেওয়ায়।
সর্বশেষ উপজেলা আ'লীগের দলীয় কমিটি গঠনেও বির্তক সৃষ্টি করেন জাকির হোসন। কেন্দ্রীয় ও বিভাগীয় নেতাদের ভুল বুঝিয়ে নিজের পছন্দের ব্যক্তিদের দিয়ে রাজিবপুর, রৌমারী, চিলমারী উপজেলা আওয়ামিলীগের কমিটি গঠন করেন তিনি।