খালেদার বাসায় ফেরার সিদ্ধান্ত দু-এক দিনের মধ্যে
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি কখনো হাসপাতালের আইসিইউতে, সিসিইউতে আবার কখনো কেবিনে ভর্তি থাকছেন।
গত ১৩ নভেম্বর এভারকেয়ার হাসপাতালের কেবিনে ভর্তি করা হয় খালেদা জিয়াকে। পরদিনই লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে দ্রুতই করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) তে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ৯ জানুয়ারি (রবিবার) রাতে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। তার কেবিন নম্বর ৭২০৫। বর্তমান তার শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মেডিকেল বোর্ডের একজন সদস্য জানান, শনিবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে খালেদা জিয়ার বেশকিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষাগুলো হচ্ছে-আল্ট্রাসনোগ্রাফি, ইসিজি, ব্লাড-সুগার, সোডিয়াম, হিমোগ্রোবিন,স্টুল, ইউরিন ও করোনাভাইরাস।
‘উক্ত পরীক্ষার ফলাফলের উপর ভিত্তি করে দু-এক দিনের মধ্যে হাসপাতাল থেকে বাসায় নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিবেন ১০ সদস্যবিশিষ্ট মেডিকেল বোর্ড,’ যোগ করেন তিনি।
গত ২৮ নভেম্বর খালেদা জিয়ার চিকিৎসক দলের সদস্যরা সংবাদ সম্মেলনে জানিয়ে ছিলেন, তিনি (খালেদা জিয়া) লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত। তার রক্তক্ষরণ হচ্ছে। জরুরি ভিত্তিতে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়া দরকার। তবে সরকার এবং আওয়ামী লীগ এ ব্যাপারে কোনো ইতিবাচক সিদ্ধান্তে পৌঁছায়নি।
বিএনপির একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়-স্বাস্থ্যগত পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফলাফল অনুকূলে আসলে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরতে চাচ্ছেন খালেদা জিয়া। হাসপাতাল নয় এবার বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে ইচ্ছুক তিনি। সে জন্য গুলশানে তার বাসভবন ‘ফিরোজা’ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে। হঠাৎ করে করোনাভাইরাস ফের বৃদ্ধি পাচ্ছে, হাসপাতাল থেকে বাসায় চলে যাওয়াটা অপেক্ষাকৃত ভালো বলে মনে করছেন দলটির হাইকমান্ড।
তা ছাড়া যেহেতু বিদেশে উন্নত চিকিৎসায় যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি অনিশ্চিত, হাসপাতালেও তার চিকিৎসার প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা নেই। তাই বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে চান তিনি। এমনকি উনি (খালেদা জিয়া) আর হাসপাতালে থাকতে চাচ্ছেন না বলেও জানায় সূত্রটি।
এমএইচ/এমএমএ/