স্বৈরাচারী নিজের ইচ্ছায় সরে যায় না: ড. মোশাররফ
স্বৈরাচারী নিজের ইচ্ছায় সরে যায় না; বলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। শনিবার (২২ জানুয়ারি-২০২২) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে জিয়াউর রহমানের ৮৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
পদত্যাগ না করলে অতীতের মতো স্বৈরাচারী সরকারকে বিদায় করতে হবে, দেশের চলমান সংকট সমাধানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটাতে হবে। দেশের মানুষকে মুক্ত করতে হবে; যোগ করেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
আওয়ামী লীগের অধীনে কোনো নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'ইসি গঠন নিয়ে নাটক শুরু করেছে সরকার।'
তিনি আরও বলেন, 'আজকে নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে সরকার যে আইন করেছে তা জাতির সাথে আরেকটি নাটক। প্রধানমন্ত্রী যে লিস্ট দেবেন সার্চ কমিটি সেই লিস্ট রাষ্ট্রপতিকে দেবেন তখন রাষ্ট্রপতি সে লিস্ট অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন। তাই আমরা বলেছি আওয়ামী লীগের অধীন ও তাদের গঠিত নির্বাচন কমিশনের অধীনে বিএনপি কখনও কোনো নির্বাচনে যাবে না।'
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, 'আজকে অনেকেই জিয়াউর রহমানকে হিংসা করেন। তার নাম মুছে ফেলার জন্য এমন কোনো কাজ নেই যে, তারা করছেন না। অথচ যারা জিয়াউর রহমানের অবদান স্বীকার করেন না, তারা মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাস করে না। অন্যরা তো তখন ভারতে গিয়ে আশ্রয় নিয়ে ছিলেন। কেউ ইচ্ছা করলে ইতিহাস মুছে দিতে পারে না।'
শহীদ জিয়া দেশের হারানো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'আওয়ামী লীগ বার বার গণতন্ত্র হত্যা করেছে, আর বিএনপি তা বার বার পুনরুদ্ধার করেছে। এগুলো ইতিহাস। চাইলেই মুছে ফেলা যাবেনা। তেমনি আজকে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করতে গিয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আজ কারাবন্দী।'
সরকারের সমালোচা করে মোশাররফ বলেন, '২০১৮ সালের নির্বাচনে দিনের ভোট রাতে করে তারা সরকার গঠন করেছে। তারা বলে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছে। আসলে প্রধানমন্ত্রী নির্লজ্জ। আজকে আমেরিকার গণতান্ত্রিক সম্মেলনে বাংলাদেশ দাওয়াত পায়নি। কারণ বহির্বিশ্ব সবাই জানে বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই। যে দেশে গনতন্ত্র থাকে না, সে দেশে মানবাধিকার থাকে না। আওয়ামী লীগ আজ ১২ বছর ধরে গুম-খুন ও মানবাধিকার লংঘন করে চলেছে। এটা হচ্ছে ফ্যাসিবাদী স্বৈরাচারী সরকারের বৈশিষ্ট্য।'
এমএইচ/কেএফ/