গণমাধ্যমকে অসহায় আত্মসমর্পন করতে হচ্ছে: বাংলাদেশ ন্যাপ
দুঃখজনক হলেও সত্য বাংলাদেশের গণমাধ্যম আজো মুক্ত নয় বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।
তারা বলেন, শাসকগোষ্ঠীর রক্তচক্ষুর কাছে গণমাধ্যমকে অসহায় আত্মসমর্পন করতে হচ্ছে। শাসকগোষ্ঠী মুখে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা বললেও প্রকৃত অর্থে তারাই গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে পদদলীত করছে বার বার। শাসকগোষ্ঠী সব সময়ই নিজেদের স্বার্থে গণমাধ্যমকেই টার্গেট করে বার বার।
বুধবার (৩ মে) ‘বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস’ উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা এ কথা বলেন।
নেতারা বলেন, স্বাধীন ৫২ বছরে বহুবার গণমাধ্যম শাসকগোষ্ঠীর আক্রমণের শিকার হয়েছে। এমন আক্রমণের শিকার হয়েছে যা সব কিছুই মুক্ত গণমাধ্যম নীতির পরিপন্থি। সরকারের সমালোচনা করায় এবং বিরোধী সংবাদ পরিবেশনের কারণে এই সরকারের আমলে টিভি চ্যানেল বন্ধ হয়েছে। সম্পাদক-পরিচালক কারাবন্দি হয়েছে, জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে সরকারের প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী ও সরকারি দলের সিনিয়র সদস্যদের চরম সমালোচনার শিকার হয়েছে সংবাদপত্র, সম্পাদক ও সাংবাদিকরা।
তারা আরও বলেন, সাংবাদিক সাগর-রুনির নির্মম হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনেও চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে বর্তমান সরকার। সব মিলিয়ে বর্তমানে বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা শাসকগোষ্ঠী কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। ফলে গণতন্ত্র বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, এমনকি ভবিষ্যতে গণতন্ত্র বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কায় রয়েছে দেশবাসী। বর্তমানে দেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র সংকোচিত হয়ে সরকারের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। যা একটি রাষ্ট্রের জন্য কল্যাণকর হতে পারে না।
নেতারা বলেন, বাংলাদেশের গণমাধ্যম এখন ইতিহাসের সবচাইতে ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। নগ্ন থাবায় সংবাদমাধ্যম পুরোপুরি শৃঙ্খলিত। সবার মনে রাখতে হবে গণতন্ত্র ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা একে অপরের পরিপূরক। গণতন্ত্র না থাকলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা থাকে না, তেমনই মুক্ত গণমাধ্যম ছাড়া গণতন্ত্র টিকে থাকতে পারে না।
এমএইচ/আরএ/