বিএনপির আন্দোলন দমনে সরকারের অস্ত্র করোনা: জাফরুল্লাহ
বিএনপির আন্দোলন দমনে সরকার করোনাকে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেছেন গণস্বাস্থ্য ট্রাস্টি বোর্ডের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘সরকার বিএনপির চলমান আন্দোলন দমন করতে দুটি অস্ত্র ব্যবহার করেছে–যার একটি করোনাভাইরাস, আরেকটি বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ প্রক্রিয়ার কথাবার্তা।’
শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ‘মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ও আমাদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আপনার বিদায়ের সময় এসেছে, আপনি পদত্যাগ করুন। জাতীয় সরকার প্রক্রিয়ার সুপারিশ মেনে নিন। ভয় পাচ্ছেন কেন? আজ খালেদা জিয়ার প্রতি যে অন্যায় করা হচ্ছে, তেমনিভাবে ভবিষ্যতে আপনি বিরোধীদলে গেলে কেউ যদি আপনার প্রতি অন্যায় করেন, তখন আপনার পক্ষে কেউ না থাকলেও আমি থাকবে। প্রতিবাদ করতে একা রাস্তায় নামবে। জনকল্যাণ বাংলাদেশ গঠনে শরিক হোন।’
তিনি আরও বলেন, ‘সুশাসন প্রতিষ্ঠায় দেশকে কয়েকটি প্রদেশে রূপান্তর করুন। আমলা দিয়ে সুশাসন হয় না।’
তারেক রহমানের সমালোচনা করে জাফরুল্লাহ বলেন, ‘বিএনপির কার্যক্রমের সমালোচনা করা মানে বিএনপির বিরুদ্ধে না। আপনাদের বোকামির সমালোচনা করি। আপনাদের বুদ্ধিমান হতে হবে। ভালো কাজ করলে একদিন আপনিও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন। তবে আপাতত বিদেশে থেকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে নাক গলানো বন্ধ করেন। আপনি পড়াশোনা করুন। আপনার মেয়ে জাইমা রহমানকে রাজনীতিতে নিয়ে আসেন, বয়সে ছোট অনেক জায়গায় সে দৌড়াতে পারবে। অন্য রাজনৈতিক দল ও দলের নেতাদের সম্মান করতে শিখুন। রাজনৈতিক দলগুলোর কাউকে ডেকে না পাঠিয়ে নিজেরা চলে যেতে শিখুন।’
তিনি আরও বলেন, ‘জনগণের সরকার বিএনপির পক্ষে একা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে না। সবার মতামত নিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত করা হবে। আপনারা রাস্তায় নামুন, সাফল্য আসবেই।’
মার্কিন নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমাদের এখনেই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। সকল অনিয়ম ও দুর্নীতির জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে, অপরাধীকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। অন্যথায় আরও নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে।’
ড রেজা কিবরিয়ার সভাপতিত্বে এ আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নূরুল হক নুর, নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক আমসা আমিন, ব্যারিস্টার সারোয়ার হোসেন প্রমুখ।
এমএইচ/এসএ/