খালেদার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন আইন মন্ত্রণালয়ে
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়াতে তার পরিবারের করা আবেদন স্বরাষ্ট্র থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে এসেছে। তবে তিনি (আনিসুল হক) এখনো এ বিষয়ে মতামত দেননি। কারণ, ফাইলটি এখনো তার কাছে উপস্থাপন করা হয়নি।
বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) সচিবালয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) ছয় দেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, প্রস্তাবিত উপাত্ত সুরক্ষা আইনসহ বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে কথা হয়েছে বলে জানান তিনি।
৬ মার্চ খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়াতে তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন।
এদিকে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান জানিয়েছেন, আবেদনটি তিনি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছেন। আইন মন্ত্রণালয় মতামত দেওয়ার পর আবেদনের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন।
সরকারের একাধিক সূত্রের ইঙ্গিত, আগের মতোই খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত রেখে তার মুক্তির মেয়াদ ছয় মাস বাড়ানো হতে পারে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে দুটি শর্তে সরকারের নির্বাহী আদেশে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল ২০২০ সালের ২৫ মার্চ। তখন করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে তার পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেওয়া হয়। এরপর থেকে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ছয় মাস অন্তর অন্তর তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়া ২০১৮ সালে ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রায় দুই বছর জেলে ছিলেন।
যে দুটি শর্তে নির্বাহী আদেশে সরকার খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়েছে, তার প্রথমটি হলো তাকে বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে হবে। দ্বিতীয় শর্তটি হলো তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না।
যদিও খালেদা জিয়ার পরিবার এবারের আবেদনেও শর্ত শিথিল করে তাকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার অনুমতি চেয়েছে।
এমএমএ/