‘ভোটাধিকারহীনতায় নারীরা ক্ষমতাহীন’
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, নারী অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত না হলে কোনো দেশ ও সমাজকে সভ্য ও গণতান্ত্রিক বলে দাবি করা চলে না। নারীর গণতান্ত্রিক ও মানবিক অধিকার ছাড়া দেশের অগ্রগতির কোনো সুযোগ নেই।
বুধবার (৮ মার্চ) আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে শ্রমজীবী নারী মৈত্রী আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, এদেশেও নারী বিবিধ শোষণ, বঞ্চনার শিকার। পুরুষতন্ত্র ও শ্রেণি শোষণ নারীর হাতে-পায়ে বেড়ির মতো। এই দুই শৃঙ্খল নারীকে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক করে রেখেছে। ভোটের অধিকার না থাকায় নারী আরও ক্ষমতাহীন হয়েছে। পুঁজিবাদী, ভোগবাদী সংস্কৃতি নারীকে পণ্য করে তুলেছে। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম নারীকে সুবিধা না দিয়ে উল্টো নানা দিক থেকে বিপদগ্রস্ত করে তুলেছে।
এসময় নারীর অধিকার ও মুক্তি নিশ্চিত করতে নারীবিদ্বেষী সব ধরনের প্রচারণা বন্ধের দাবি জানান। একইসঙ্গে নারীর পোশাক নিয়ে যাবতীয় কুরুচিপূর্ণ আচরণ ও প্রচারণা প্রতিরোধ করারও আহ্বান জানান সাইফুল হক।
শ্রমজীবী নারী মৈত্রীর সভাপতি বহ্নিশিখা জামালীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহ-সভাপতি রাশিদা বেগম, সাধারণ সম্পাদক স্নিগ্ধা সুলতানা ইভা, কেন্দ্রীয় নেতা ফারজানা ইয়াসমিন, সেলিনা বেগম, ফাতেমা খাতুন, সংহতি বক্তব্য রাখেন শ্রমিক নেতা মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক, সাইফুল ইসলাম, মীর রেজাউল আলম। অনুষ্ঠানে নারীমুক্তির গান পরিবেশন করেন এপোলো জামালী, কবিতা আবৃত্তি করেন তিথি সুবর্ণা, দূর রে মাকনুন নিধি।
সভাপতির বক্তব্যে বহ্নিশিখা জামালী বলেন, ঘরে, সড়কে, মহাসড়কে, কর্মস্থলে কোথাও নারীরা নিরাপদ নয়। গরিব ও শ্রমজীবী নারীরাই বেশি হত্যা-ধর্ষণের শিকার। গরিব বলে বেশিরভাগ নারীরা চরম অবিচার আর লাঞ্ছনার শিকার। অভিবাসী শ্রমজীবী নারীদের কোনো নিরাপত্তা নেই। প্রতিদিন গড়ে ১০ জন অভিবাসী নারীর লাশ আসছে। আর বাজারের আগুনে সবচেয়ে বেশি পুড়ে মরছে নারীরা।
এমএইচ/এসজি