বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪ | ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

রাজধানীতে পদবঞ্চিত যুবদল নেতা-কর্মীদের বিক্ষোভ

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেছেন যুবদলের পদবঞ্চিতরা।

রবিবার (৫ মার্চ) বেলা ১১টায় এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।

যুবদলের নবগঠিত কমিটিতে সীমাহীন দুর্নীতি, পদ বাণিজ্য, নিষ্ক্রিয় অযোগ্যদের পদায়ন এবং ত্যাগী নেতাদের অবমূল্যায়ন ও পদ বঞ্চিত করার প্রতিবাদে আজকেও বিক্ষোভ করেছে দলটির নেতা-কর্মীরা।

এ সময় বিক্ষোভে কমিটি বাতিলের পক্ষে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেওয়া হয়। কমিটিতে বিভিন্ন অনিয়ম ও অসঙ্গতি তুলে ধরে নিষ্ক্রিয় ও আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে পদপ্রাপ্তদের পদ বাতিল করে ত্যাগী ও সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কর্মীদের মূল কমিটির অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানানো হয়। উল্লেখ্য, যে কমিটি ঘোষণার পর থেকেই তারা নিয়মিত বিক্ষোভ মিছিল করে আসছে।

কয়েকজনের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায় তারা সেই ছাত্র জীবন থেকে শুরু করে এখনো পর্যন্ত দলের ঘোষিত সকল কর্মসূচি নিয়মিতভাবে পালন করে আসছেন। যুবদল সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দলের এমন দুঃসময়ে সক্রিয় নেতা কর্মীদেরকে বাদ দিয়ে যারা টাকা দিয়েছে এবং অন্যান্য অনৈতিক সুবিধা দিয়েছে, বাসার বাজার করে দিয়েছে, কিংবা তাদের দোকানের কর্মচারী তাদেরকে পদ দিয়েছে। দলের এমন দুঃসময়ে যেখানে ত্যাগী, সাহসী ও যোগ্য কর্মীদের পদায়ন করা প্রয়োজন সেখানে ইচ্ছাকৃতভাবেই দলটিকে দুর্বল করে দিয়েছে বলে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দিকে অভিযোগ করছে নেতা-কর্মীরা।

বিক্ষোভে নেতা-কর্মীদের অভিযোগসহ সভাপতি মাহবুবুল হাসান ভুইয়া পিংকু, ইমাম হোসেন, নুরুজ্জামান লিটন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহমেদ দিপু, মাসুমুল হক মাসুম দলের রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয়। শুধুমাত্র অনৈতিক সুবিধার বিনিময়ে তাদের পদায়ন করা হয়েছে।

প্রয়াত আওয়ামীলীগ নেত্রী সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর ভাতিজা পিংকু ফরিদপুরে ‘মুজিব শতবর্ষে’ সকল অনুষ্ঠানে স্পন্সর করে প্রধান অতিথি হিসেব অংশগ্রহণ করার রেকর্ড রয়েছে।

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান নিষ্ক্রিয়। সভাপতির কাছের লোক হিসেবে তাকে পদ দেওয়া হয়েছে। সহসাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান মিশু বিগত আট বছর ধরে আমেরিকা প্রবাসী। তাকে অর্থের বিনিময়ে পদ দেওয়া হয়েছে। খনদকার মাহবুবুর রহমান মাহী সভাপতির ব্যক্তিগত কাজের লোক। এ কারণে তাকে পদ দেওয়া হয়েছে। সিলেট বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান মাহবুব ওরফে কসমেটিক্স মাহবুবকে বড় অঙ্কের আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে পদ দেওয়া হয়েছে।

তারা দাবি করেন ঘোষিত কমিটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক জাহিদ হাসান কোনোদিন কোনো পর্যায়ে রাজনীতির সঙ্গে জড়িত না থেকেও শুধুমাত্র আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে পদ প্রবাস থেকে এসেই পদ বাগিয়ে নিয়েছে। সামসুজ্জোহা সুমন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরির সামনে ক্যাফে ক্যাম্পাস নামে রেস্টুরেন্টের মালিক। ব্যবসার কাজে ১০ বছর যাবত দলীয় কর্মকাণ্ড করেন না। টুকু মুন্নার কমিটির পর সক্রিয় হয়েছে।

দীর্ঘদিন ধরে যেখানে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা ক্যাম্পাসে যেতে পারে না সেখানে সুমন ছাত্রলীগের সহযোগিতায় ব্যবসা করে আসছেন ১০ বছর ধরে। শুধুমাত্র টাকার বিনিময়ে তাকে কমিটিতে রাখা হয়েছে।

কাতার প্রবাসী মামুনকে বিশাল অঙ্কের টাকার বিনিময়েসহ সম্পাদক করা হয়েছে। স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক জোবায়দুর রহমান জনি বিগত এক যুগ ধরে দলের কর্মকাণ্ডের সাথে নেই। তাকেও আর্থিক সুবিধার কারনে পদ দেয়া হয়েছে।

কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ আইন, তানভির হাসান সোহেল, জিল্লুর রহমান দের অতীতে কোন রাজনৈতিক পরিচয় ছিল না। তাদের সরাসরি যুবদলে পদ দেয়া হয়েছে।

নাজমুল হুদা রাজু আব্দুল আউয়াল মিন্টুর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মাল্টিমুড গ্রুপের কর্মচারী। তাকেও পদ দেওয়া হয়েছে। জোবায়দুর রহমান জনি, গত ১০ বছরে বিএনপি বা কোনো অঙ্গসংগঠনের সঙ্গে জড়িত নয়। আমানুল্লাহ বিপুল অর্থের যোগানদার হওয়ায় তাকে পদ দেওয়া হয়েছে।

ইউনুস আলী রবি, কেন্দ্রীয় যুবদলেরসহ আইন সম্পাদক হয়েছেন। সে এখনো বরিশাল উত্তর জেলা ও মুলাদী উপজেলা বিএনপির সদস্য। তাকেও অর্থের বিনিময়ে পদ দেওয়া হয়েছে।

দলের পদপ্রাপ্ত নিষ্ক্রিয় নেতাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কামরুল হাসান তালুকদার সহ সাধারন সম্পাদক, খলিলুর রহমান সহ সাধারন সম্পাদক, এন এম আব্দুল্লা উজ্জ্বল, মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, আয়ুব খান, মুরাদ খান, শাখাওয়াত হোসেন চয়ন, মাইনুদ্দিন রুবেল, মিজানুর রহমান শিশির, জাহিদ হাসান, আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম, খন্দকার মাইনুদ্দিন খোকন, রফিক আহমেদ ডলার, রুহুল আমিন বাবলু, দুলাল হোসেন, মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন, মজিবুর রহমান সবুজ, সহ শতাধিক পদপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে।

সৈয়দ শহিদুল আলম টিটুকে সদস্য করা হয়েছে আশির দশকে সভাপতি টুকুর সঙ্গে ঢাবি ছাত্রদলের সদস্য ছিল। সভাপতির বন্ধু, এই বিশেষ পরিচয়ে তাকেও পদ দেওয়া হয়েছে। হুমায়ুন কবির শিপন নবগঠিত কমিটির সদস্য। অতীতে কোনোদিন রাজনীতি করেননি। সাধারণ সম্পাদক মুন্নার বন্ধুর ভাই। এ কারণে তাকে সদস্য করা হয়েছে। মাসুদুল হক নামের পাবনার এক ইউনিয়ন যুবদল কর্মীকে সদস্য করা হয়েছে অনৈতিক সুবিধার বিনিময়ে।

কামরুজ্জামান নান্নু, মো. জাহিদ হাসান নবগঠিত কমিটির সদস্য। অতীতে কোথাও কোনো পদ ছিল না। সভাপতির বাসার কাজে ফাই ফরমাস খাটে। তাদেরকেও পদ দেওয়া হয়েছে।

প্রিন্স আহমেদ এমরান যুবদল সেক্রেটারির মুন্নার কাজিন, সেই পরিচয়ে তাকে সহ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক করা হয়েছে। কেএম সানোয়ার আলম, সহ-কৃষি বিষয়ক সম্পাদক একটি পেস্টিসাইড কোম্পানি বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে খামার বাড়ি এলাকায় চাকরিরত। কয়েক লক্ষ টাকার বিনিময়ে পদ।

বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা বলেন, অনৈতিক ভাবে পদায়ন করা এ সকল অরাজনৈতিক ব্যাক্তিদের যুবদলের নতুন কমিটি থেকে বাদ দিয়ে দলের দীর্ঘদিনের রাজপথের পরিক্ষিত নেতা-কর্মীদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

আজকের বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন সাবেক যুবদল যুগ্ম সম্পাদক আলী আশরাফ, যুগ্ম সম্পাদক কামাল উদ্দিন, সহ সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান দুলাল, আতিকুর রহমান আতিক, সামসুর রহমান, মাহতাব আলম, যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ওমর তাহের বাবু, রিয়াদ হোসেন উজ্জ্বল, সাবেক সদস্য শাহজাহান কবির শাহীন, সৈয়দ আবেদিন প্রিন্স, রাসেল মিয়া।

ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি তারেক উজ জামান, জাকির হোসেন খান, আশরাফুর রহমান বাবু, শোয়েব খন্দকার, হুমায়ুন কবির, সাজ্জাদ হোসেন উজ্জ্বল।

যুগ্ম-সম্পাদক মিজানুর রহমান সোহাগ, এবিএম মহসিন বিশ্বাস। সাবেক সহ-সাধারণ আনোয়ার জাহিদ, সহ-সাধারণ সম্পাদক সুমন চৌধুরী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কোয়েল হোসেন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিবুল হাসান হাওলাদার, সাবেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক-ইয়াকুব রাজু, সাবেক সহ সম্পাদক খন্দকার রিয়াজ, মাজেদুল ইসলাম মাসুম, রবিউল হাসান আরিফ, জিল্লুর রহমান কাজল, এডঃ মশিউর রহমান রিয়াদ, অ্যাড. সাইদুর রহমান মামুন, আবু জাফর রিপন।

ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সদস্য নাজমুল হাই রায়হান, যুবদল ঢাকা মহানগর উত্তরের যুগ্ম সম্পাদক হাফিজুর রহমান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক ছাত্রনেতা খন্দকার কাকন, এবাদুল হক পারভেজসহ নেতা-কর্মীরা।

এমএইচ/এমএমএ/

 

Header Ad

স্বৈরাচার পালিয়েছে কিন্তু লেজ রেখে গেছে, তারা ষড়যন্ত্র করছে: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, পতিত স্বৈরাচারের সময়ে যারা নিজেদের স্বার্থ হাসিল করেছে তারা ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। আপনাদের সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। স্বৈরাচার পালিয়ে গেলেও তাদের লেজ রেখে গেছে এবং তারা ষড়যন্ত্র করছে, তারা কিন্তু বসে নেই।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দিনভর সিলেটে বিএনপির উদ্যোগে রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি বিষয়ক কর্মশালা শেষে বিকালে সমাপনী বক্তব্যে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, বিএনপি গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি, দেশের মানুষ বিএনপির সঙ্গে রয়েছেন। মানুষ মনে করে বিএনপির কাছে গণতন্ত্র ও বাক-স্বাধীনতা নিরাপদ। এজন্য মানুষ বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে। জনগণের এ আস্থাকে ধরে রাখার দায়িত্ব বিএনপি নেতাকর্মীদের।

তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষতিগ্রস্ত হলে দেশ ও গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে। দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি। দল কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে দেশ ও দেশের গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

তিনি আরও বলেন, আগামীতে বাংলাদেশকে কোনো হুমকি থেকে রক্ষা করতে হলে গণতন্ত্র টিকিয়ে রাখতে হবে।

সিলেট শিল্পকলা একাডেমিতে সকাল থেকে শুরু হওয়া রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি বিষয়ক কর্মশালায় অংশ নেন সিলেট বিভাগের পাঁচ ইউনিটের নেতারা।

কর্মশালায় জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক জিকে গউসের সভাপতিত্বে ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেনের সঞ্চালনায় দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রশিক্ষণ প্রদানকালে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য এম নাসের রহমান ও সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীসহ কয়েকজন নেতার ৩১ দফা কর্মসূচির ওপর বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

প্রশিক্ষণে প্যানেল আলোচক ছিলেন- ডা. মওদুদ আলমগীর, বিএনপি মিডিয়া সেলের আহবায়ক ডা. মহিউদ্দিন আলমগীর পাবেল, কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবা হাবিবা, সহ-ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নেওয়াজ হালিমা আলি, সহ-প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রেহানা আক্তার রানু।

কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, সহ-গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খন্দকার আনিসুর রহমান তালুকদার, নির্বাহী কমিটির সদস্য (দপ্তরের দায়িত্বে) আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন ও মিফতাহ্ সিদ্দিকী। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য তাহসিনা রুশদির লুনা, খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির ও ড. এনামুল হক চৌধুরী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, সহ-সম্পাদক শাম্মী আক্তার ও আব্দুর রাজ্জাক, নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী, মিজানুর রহমান চৌধুরী, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহবান ফজলুল হক ময়ুন, সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নজিবুর রহমান নজিব।

সমাপনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যের শুরুতেই ঢাকায় গত দুই দিনের পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, পতিত স্বৈরাচারের সময়ে যারা নিজেদের স্বার্থ হাসিল করেছে তারা ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। আপনাদের সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। স্বৈরাচার পালিয়ে গেলেও তাদের লেজ রেখে গেছে এবং তারা ষড়যন্ত্র করছে, তারা কিন্তু বসে নেই। আমরা গণতন্ত্রের পক্ষে শক্তি, দেশের মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছে। মানুষ মনে করে বিএনপির কাছে গণতন্ত্র ও বাক-স্বাধীনতা নিরাপদ। এজন্য মানুষ বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে।

নেতাকর্মীদের প্রতি তারেক রহমান বলেন, মানুষ বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে। মানুষের আস্থা ধরে রাখার দায়িত্ব তৃণমূলের নেতাকর্মীদের। জনগণের এ আস্থাকে ধরে রাখার দায়িত্ব আপনার।

তারেক রহমান বলেন, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আন্দোলন করা সব দলের পক্ষ থেকে ৩১ দফা ঘোষণা করা হয়েছে। এটির মধ্যে রাষ্ট্রকাঠামোর অধিকাংশই আছে। আরও যত প্রস্তাব আসবে তা যুক্তিসংগত হলে যুক্ত করা হবে। আজকে বিভাগ পর্যায়ে ৩১ দফা নিয়ে আলোচনার পর জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে সাধারণ মানুষের কাছে নিয়ে যেতে হবে। বইয়ে অনেক কিছু সুন্দরভাবে লিখা থাকে, কিন্তু তা বাস্তবায়ন করতে হয় মানুষকে। তাই ভালো নিয়ত নিয়ে ভালো নিয়ত থাকলে আমরা ভালো কিছু করতে পারব।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র চলার পথে বিভিন্নভাবে বাধাগ্রস্ত হয়েছে। বিগত ১৬ বছরে বহু মানুষ গুম ও খুনের শিকার হয়েছেন। জুলাই-আগস্টে দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ শহিদ হয়েছেন। জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারলে এ প্রস্তাবনা বাস্তবায়ন সম্ভব। গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতাকে বজায় রাখলে জবাবদিহিতা তৈরি হবে। এজন্য যেকোনো মূল্যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে অব্যাহত রাখব।

Header Ad

সহজেই বাংলাদেশকে হারাল উইন্ডিজ

ছবি: সংগৃহীত

পরাজয়ের মঞ্চ প্রস্তুত হয়েই ছিল। দেখার ছিল টেস্টের শেষ দিন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ঠিক কতটা অপেক্ষায় রাখতে পারে বাংলাদেশ। তবে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি ক্যারিবীয়দের। দ্রুতই সফরকারীদের গুটিয়ে বড় রনের জয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা।

অ্যান্টিগা টেস্টের শেষ দিনে আজ মঙ্গলবার মেহেদী হাসান মিরাজের দল হারের ব্যবধান কতোটা কমাতে পারে সেটাই ছিল দেখার। কিন্তু ৩ উইকেট নিয়ে লড়তেই পারলেন না ব্যাটাররা। দিনের খেলা শুরুর ৪০ মিনিটের মধ্যেই জয় নিশ্চিত করে ফেলে উইন্ডিজ।

অ্যান্টিগা টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিতল ২০১ রানে। একইসঙ্গে ২ ম্যাচ টেস্ট সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা। জ্যামাইকায় ৩০ নভেম্বর সিরিজের ২য় ও শেষ টেস্টে মুখোমুখি হবে এই দুই দল।

আগের দিন জয়ের জন্য ৩৩৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ১০৯ রানে চতুর্থ দিনের খেলা শেষ করে বাংলাদেশ। আর আজ ২ উইকেট হারাতেই শেষ হয়ে যায় ম্যাচ। শরিফুল ইসলাম চোটে থাকায় ব্যাট করতে করতে পারেন নি। রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে তিনি ড্রেসিংরুমে।

কাঁধে আঘাত পাওয়ার ব্যাটিং চালিয়ে যেতে পারেননি শরিফুল। তাতেই ৯ উইকেটে ১৩২ রানে থামল বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস। হাতে ১ উইকেট থাকলেও বাংলাদেশ হার মেনে নিয়ে মাঠ ছাড়ে। আগের দিন ১ উইকেট হাতে থাকলেও ১৮১ রানে পিছিয়ে থেকে ইনিংস ঘোষণা করেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

আজ টেস্টের প্রথম দিনে উইকেটে আসা-যাওয়ার দায়টুকু সারতেই যেন মাঠে নামল বাংলাদেশ ব্যাটাররা। ৪০ মিনিটের কম সময়ের মধ্যে শেষ ইনিংস। খেলতে পারল মাত্র ৭ ওভার। আগের দিনের রানের সঙ্গে যোগ করতে পারল মাত্র ২৩ রান।

জাকের আলি ফিরে গেলেন ৩১ রানে। আগের দিন মিরাজ করেন ৪৫ রান। এ নিয়ে টানা তিন সফরে অ্যান্টিগায় প্রথম টেস্টে হারল বাংলাদেশ দল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টানা পঞ্চম হার দেখল দলটি।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস: ৪৫০/৯ ডিক্লে.
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ২৬৯/৯ ডিক্লে.
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২য় ইনিংস: ১৫২/১০
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ৩৮ ওভারে ১৩২/১০ (জাকের ৩১, হাসান ০, তাসকিন ৪*, শরিফুল ১ আহত আউট; রোচ ৮-১-২০-৩, সিলস ১৩-৩-৪৫-৩, শামার জোসেফ ৬-১-২২-১, আলজারি জোসেফ ৮-১-৩২-২, গ্রেভস ৩-১-১২-০)
ফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২০১ রানে জয়ী
সিরিজ: ২ ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
পরবর্তী টেস্ট: ৩০ নভেম্বর, জ্যামাইকায়

Header Ad

আইনজীবী হত্যায় প্রধান উপদেষ্টার নিন্দা, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান

আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

বন্দরনগরী চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যার নিন্দা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ও যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

পোস্টে শফিকুল আলম লিখেছেন, চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যার নিন্দা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ও যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

তিনি লেখেন, জনগণকে শান্ত থাকার এবং অপ্রীতিকর কার্যকলাপে অংশ নেওয়া থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলিকে বন্দর নগরীসহ সমস্ত ঝুঁকিপূর্ণ আশেপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন।

যেকোনো মূল্যে অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিশ্চিত করতে ও সমুন্নত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও জানিয়েছেন ড. ইউনূস।

এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ সনাতনী জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবিতে সৃষ্ট সংঘর্ষে নিহত হন আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ। নিহত আলিফ (৩৫) সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি)। সাইফুল লোহাগাড়ার চুনতি এলাকার জামাল উদ্দিনের ছেলে।

জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম ষষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলামের আদালত চিন্ময়ের জামিন নামঞ্জুর করেন। পরে তার অনুসারীরা আদালত চত্বরে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় কয়েকজন আহত হন।

আহতদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা আহত শিক্ষানবিশ আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে মৃত ঘোষণা করেন।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

স্বৈরাচার পালিয়েছে কিন্তু লেজ রেখে গেছে, তারা ষড়যন্ত্র করছে: তারেক রহমান
সহজেই বাংলাদেশকে হারাল উইন্ডিজ
আইনজীবী হত্যায় প্রধান উপদেষ্টার নিন্দা, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান
এ আর রহমান আমার বাবার মতো: মোহিনী দে
ইসকন আন্দোলনে দেশি-বিদেশি ইন্ধন রয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
সাইম আইয়ুবের বিস্ফোরক সেঞ্চুরিতে সমতায় ফিরলো পাকিস্তান
কে এই চিন্ময় কৃষ্ণ দাস, তাকে গ্রেপ্তার নিয়ে কেন এত হইচই
ভারত থেকে আলু ও পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ, বেড়েছে দাম
৮০ বছর বয়সেও মডেলিং করবেন রুনা খান
চট্টগ্রামে চিন্ময়ের অনুসারীদের হামলায় আইনজীবী নিহত
গুলিবিদ্ধ হওয়ার ২২ দিন পর নওগাঁ যুবদল নেতার মৃত্যু
ঢাকা ও চট্টগ্রামে ১০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
চিন্ময় কৃষ্ণকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানিয়ে ভারতের বিবৃতি
সম্প্রদায়ের নেতা হিসেবে নয়, রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় গ্রেফতার: আসিফ মাহমুদ
সংবিধানের ৬২ জায়গায় সংশোধনের প্রস্তাব বিএনপির
বঙ্গবন্ধু রেল সেতুতে চলল পরীক্ষামূলক ট্রেন
শাপলা চত্বর গণহত্যায় শেখ হাসিনাসহ ৪৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ
এখনও দেশের প্রতিষ্ঠিত অনেক গণমাধ্যম ভুল সংবাদ ও গুজব প্রচার করছে : উপদেষ্টা নাহিদ
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে প্রেরণ
ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে উত্তাল পাকিস্তান, নিহত ছয়