বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪ | ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

কর্মসূচিতে মাঠে নামছে বিএনপি, শান্তি সমাবেশ আওয়ামী লীগের

তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা ও সরকারের পদত্যাগ দাবিতে মহানগরের থানায় থানায় পদযাত্রা কর্মসূচিতে মাঠে নামছে বিএনপি ও সরকারবিরোধী সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো। চূড়ান্ত আন্দোলনে যেতে এবার পদযাত্রা কর্মসূচিতে শোডাউনের মাধ্যমে ১৩ সাংগঠনিক মহানগরের সক্ষমতা যাচাই করতে উদ্যোগ নিয়েছে বিএনপির হাইকমান্ড। অন্যদিকে এদিন ‘শান্তি সমাবেশের’ পাশাপাশি ব্যাপক মহড়ার প্রস্তুতি নিয়েছে আওয়ামী লীগ।

আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, মহানগরের থানায় থানায় পদযাত্রা কর্মসূচির নামে বিএনপি বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে পারে দাবি করে তা মোকাবিলায় এ শান্তি সমাবেশ কর্মসূচি পালন করা হবে।

রাজধানীতে শান্তি সমাবেশে ব্যাপক মহড়া দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে ক্ষমতাসীন দলটি। একই সঙ্গে দেশের অন্য মহানগরেও এই কর্মসূচি পালন করবে দলটি। সেখানে নগর ও কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত থাকবেন।

নেতারা বলছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন পর্যন্ত তাদের এমন কর্মসূচি চলমান থাকবে। এগুলো কোনো দলের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি নয় বলেও দাবি তাদের।

শান্তি সমাবেশের মূল লক্ষ্য হচ্ছে, দেশের স্থিতিশীলতা বজায় রাখা-দাবি করে আওয়ামী লীগের রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেন, যারা অস্থিতিশীলতা তৈরি করবে, তাদের বিরুদ্ধে জনমত তৈরি করাই মূল লক্ষ্য।

জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, আমাদের প্রতিটি থানা-ওয়ার্ডের নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে শান্তি সমাবেশে যোগ দেবেন। তবে আমরা কারও কর্মসূচিতে বাধা দেব না। আমরা শান্তি বজায় রাখার জন্য আমাদের কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকব।’

এদিকে আগামীকাল শনিবার ৪ মার্চ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণসহ নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, রংপুর, সিলেট, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর ও কুমিল্লা মহানগরের থানায় থানায় একযোগে পদযাত্রা কর্মসূচি নির্ধারণ করা আছে বিএনপির।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব আমিনুল হক ঢাকাপ্রকাশ-কে জানান, আমাদের সর্বাত্মক প্রস্ততি রয়েছে মহানগরে বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি সফল বাস্তবায়নে। বিএনপি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বিশ্বাস করে। আওয়ামী লীগকে বারবার আহ্বায়ন জানিয়েছেন আমাদের দলের মহাসচিব যাতে বিএনপির কর্মসূচির দিন তারা যেন কর্মসূচি না দেয়। তারা কোনো কর্ণপাত করেননি। কিন্তু বিএনপি কোনো উসকানিতে পা দেবে না। আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করব।

গ্যাস, বিদ্যুৎসহ নিত্যপণ্যের দাম কমানো, দমন-নিপীড়ন বন্ধ, খালেদা জিয়াসহ কারাবন্দী নেতা-কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি এবং গণবিরোধী সরকারের পদত্যাগ, অবৈধ সংসদ বাতিল, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিসহ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ১০ দফা দাবিতে হবে এই পদযাত্রা।

বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, শনিবার ৪ মার্চ বিকাল ৩টা থেকে একযোগে মহানগরের ৯৯ থানা এবং ৮ স্থানে পদযাত্রা করা হবে। এর মধ্যে ঢাকা মহানগর উত্তরে ২৬ থানায়, দক্ষিণে ২৪, নারায়ণগঞ্জে ৩, গাজীপুরে ৮, চট্টগ্রামে ১৫, রাজশাহীতে ৪, খুলনায় ৫, বরিশালে ৩, রংপুরে ৬ ও সিলেট মহানগরের ৫ থানায় পালন করা হবে এ কর্মসূচি। তবে ৩ মহানগরে থানা না থাকায় বিভিন্ন ওয়ার্ড মিলে ৮ স্থানে এ কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর মধ্যে ময়মনসিংহে ৩৩ ওয়ার্ড মিলে ৫ স্থানে, ফরিদপুরে ২৭ ওয়ার্ড মিলে ১ স্থানে ও কুমিল্লা মহানগরের ২৭ ওয়ার্ড মিলে দুই স্থানে পদযাত্রা কর্মসূচি বের করবে। পদযাত্রা কর্মসূচি সফল করতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রধান করে গঠন করা হয়েছে সমন্বয় টিম। পদযাত্রা কর্মসূচি থেকে সাধারণ জনগণের দাবিকে সামনে রেখে আগামী ১১ মার্চ নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, আমার মনে হয় এখন কারও মুক্তির দাবি, কিংবা মামলা প্রত্যাহারে দাবি করা আমাদের কাছে মুখ্য নয়। এই সরকারকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা থেকে প্রত্যাহার করতে হবে। সেই দাবিটাই আমাদের মুখ্য হওয়া দরকার। এই সরকারকে সরাতে হবে। তারপর একটি সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের প্রতিনিধির সমন্বয়ে একটি সরকার দেশের জন্য অপরিহার্য।

এদিকে পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণসহ বড় মহানগরের উপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ঢাকা মহানগরের দিকে বেশি নজর দলের হাইকমান্ডের। যদিও সম্প্রতি কয়েকটি কর্মসূচিতে ঢাকা মহানগর তাদের শক্তি দেখিয়েছে। এবার থানায় থানায় সক্ষমতা দেখাবে বলে প্রত্যাশা করেন নীতিনির্ধারকরা। পদযাত্রা কর্মসূচি সফল করতে দলীয় নেতা-কর্মীদের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

পদযাত্রার কর্মসূচি সফল করতে কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে সমন্বয় টিম গঠন করেছে বিএনপি। এ টিমে থাকা নেতারা মহানগরের কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। এ ছাড়া সমন্বয় টিমে সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকরা সমন্বয়কারী ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকরা সহকারী সমন্বয়কারী এবং মহানগর বিএনপির সভাপতি অথবা আহ্বায়ক, সাধারণ সম্পাদক অথবা ১ম যুগ্ম আহ্বায়ক অথবা সদস্যসচিব সদস্য হিসেবে থাকবেন। বিভাগ অথবা মহানগরের অধিবাসী জাতীয় নির্বাহী কমিটির নেতারা, সাবেক সংসদ সদস্য মহানগরের থানা পদযাত্রায় সম্পৃক্ত ও অংশগ্রহণ করার জন্য কেন্দ্র থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে শনিবার (৪ মার্চ) বিজয়নগর পানির ট্যাংক সংলগ্ন সড়ক থেকে শুরু হয়ে দৈনিক বাংলা মোড় ঘুরে কালভার্ট রোড হয়ে আবারও বিজয়নগর পানির ট্যাংকির সামনে পর্যন্ত ১২ দলীয় জোটের উদ্যোগে সরকারের দমন-পীড়ন, গণগ্রেপ্তার, খালেদা জিয়াসহ রাজবন্দীদের মুক্তির দাবিতে এবং বিদ্যুৎ, গ্যাস ও জ্বালানিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমানোসহ ১০ দফা দাবি বাস্তবায়নে পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা পদযাত্রা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন।

এদিন বিকাল ৩টার দিকে রাজধানীর পূর্ব পান্থপথের এফডিসি সংলগ্ন এলডিপির কার্যালয়সহ রাজধানীর আরও ৩টি স্থানে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করবে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)। ঢাকা মহানগর উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব ও পশ্চিম এলডিপির নেতৃত্বে পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে।

ঢাকা মহানগর উত্তর এলডিপির পদযাত্রা সুবাস্তু থেকে লিংক রোড, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের পদযাত্রা এলডিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে মগবাজার হয়ে পার্টি অফিস, ঢাকা মহানগর পূর্ব এলডিপির পদযাত্রা কাজলা ব্রিজ থেকে যাত্রাবাড়ী, ঢাকা মহানগর পশ্চিম আদাবর নবদয় হাউজিং কাঁচাবাজার থেকে চার রাস্তার মোড়। এ ছাড়া রাজশাহী, সিলেট, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ মহানগরে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করবে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)।

শনিবার (৪ মার্চ) বিরোধী মতের রাজনৈতিক নেতাদের দমন-পীড়ন ও দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন দামবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ও পদযাত্রা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে শুরু হবে। সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা।

এমএইচ/এসজি

Header Ad

স্বৈরাচার পালিয়েছে কিন্তু লেজ রেখে গেছে, তারা ষড়যন্ত্র করছে: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, পতিত স্বৈরাচারের সময়ে যারা নিজেদের স্বার্থ হাসিল করেছে তারা ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। আপনাদের সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। স্বৈরাচার পালিয়ে গেলেও তাদের লেজ রেখে গেছে এবং তারা ষড়যন্ত্র করছে, তারা কিন্তু বসে নেই।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দিনভর সিলেটে বিএনপির উদ্যোগে রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি বিষয়ক কর্মশালা শেষে বিকালে সমাপনী বক্তব্যে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, বিএনপি গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি, দেশের মানুষ বিএনপির সঙ্গে রয়েছেন। মানুষ মনে করে বিএনপির কাছে গণতন্ত্র ও বাক-স্বাধীনতা নিরাপদ। এজন্য মানুষ বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে। জনগণের এ আস্থাকে ধরে রাখার দায়িত্ব বিএনপি নেতাকর্মীদের।

তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষতিগ্রস্ত হলে দেশ ও গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে। দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি। দল কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে দেশ ও দেশের গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

তিনি আরও বলেন, আগামীতে বাংলাদেশকে কোনো হুমকি থেকে রক্ষা করতে হলে গণতন্ত্র টিকিয়ে রাখতে হবে।

সিলেট শিল্পকলা একাডেমিতে সকাল থেকে শুরু হওয়া রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি বিষয়ক কর্মশালায় অংশ নেন সিলেট বিভাগের পাঁচ ইউনিটের নেতারা।

কর্মশালায় জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক জিকে গউসের সভাপতিত্বে ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেনের সঞ্চালনায় দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রশিক্ষণ প্রদানকালে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য এম নাসের রহমান ও সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীসহ কয়েকজন নেতার ৩১ দফা কর্মসূচির ওপর বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

প্রশিক্ষণে প্যানেল আলোচক ছিলেন- ডা. মওদুদ আলমগীর, বিএনপি মিডিয়া সেলের আহবায়ক ডা. মহিউদ্দিন আলমগীর পাবেল, কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবা হাবিবা, সহ-ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নেওয়াজ হালিমা আলি, সহ-প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রেহানা আক্তার রানু।

কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, সহ-গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খন্দকার আনিসুর রহমান তালুকদার, নির্বাহী কমিটির সদস্য (দপ্তরের দায়িত্বে) আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন ও মিফতাহ্ সিদ্দিকী। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য তাহসিনা রুশদির লুনা, খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির ও ড. এনামুল হক চৌধুরী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, সহ-সম্পাদক শাম্মী আক্তার ও আব্দুর রাজ্জাক, নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী, মিজানুর রহমান চৌধুরী, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহবান ফজলুল হক ময়ুন, সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নজিবুর রহমান নজিব।

সমাপনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যের শুরুতেই ঢাকায় গত দুই দিনের পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, পতিত স্বৈরাচারের সময়ে যারা নিজেদের স্বার্থ হাসিল করেছে তারা ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। আপনাদের সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। স্বৈরাচার পালিয়ে গেলেও তাদের লেজ রেখে গেছে এবং তারা ষড়যন্ত্র করছে, তারা কিন্তু বসে নেই। আমরা গণতন্ত্রের পক্ষে শক্তি, দেশের মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছে। মানুষ মনে করে বিএনপির কাছে গণতন্ত্র ও বাক-স্বাধীনতা নিরাপদ। এজন্য মানুষ বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে।

নেতাকর্মীদের প্রতি তারেক রহমান বলেন, মানুষ বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে। মানুষের আস্থা ধরে রাখার দায়িত্ব তৃণমূলের নেতাকর্মীদের। জনগণের এ আস্থাকে ধরে রাখার দায়িত্ব আপনার।

তারেক রহমান বলেন, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আন্দোলন করা সব দলের পক্ষ থেকে ৩১ দফা ঘোষণা করা হয়েছে। এটির মধ্যে রাষ্ট্রকাঠামোর অধিকাংশই আছে। আরও যত প্রস্তাব আসবে তা যুক্তিসংগত হলে যুক্ত করা হবে। আজকে বিভাগ পর্যায়ে ৩১ দফা নিয়ে আলোচনার পর জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে সাধারণ মানুষের কাছে নিয়ে যেতে হবে। বইয়ে অনেক কিছু সুন্দরভাবে লিখা থাকে, কিন্তু তা বাস্তবায়ন করতে হয় মানুষকে। তাই ভালো নিয়ত নিয়ে ভালো নিয়ত থাকলে আমরা ভালো কিছু করতে পারব।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র চলার পথে বিভিন্নভাবে বাধাগ্রস্ত হয়েছে। বিগত ১৬ বছরে বহু মানুষ গুম ও খুনের শিকার হয়েছেন। জুলাই-আগস্টে দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ শহিদ হয়েছেন। জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারলে এ প্রস্তাবনা বাস্তবায়ন সম্ভব। গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতাকে বজায় রাখলে জবাবদিহিতা তৈরি হবে। এজন্য যেকোনো মূল্যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে অব্যাহত রাখব।

Header Ad

সহজেই বাংলাদেশকে হারাল উইন্ডিজ

ছবি: সংগৃহীত

পরাজয়ের মঞ্চ প্রস্তুত হয়েই ছিল। দেখার ছিল টেস্টের শেষ দিন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ঠিক কতটা অপেক্ষায় রাখতে পারে বাংলাদেশ। তবে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি ক্যারিবীয়দের। দ্রুতই সফরকারীদের গুটিয়ে বড় রনের জয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা।

অ্যান্টিগা টেস্টের শেষ দিনে আজ মঙ্গলবার মেহেদী হাসান মিরাজের দল হারের ব্যবধান কতোটা কমাতে পারে সেটাই ছিল দেখার। কিন্তু ৩ উইকেট নিয়ে লড়তেই পারলেন না ব্যাটাররা। দিনের খেলা শুরুর ৪০ মিনিটের মধ্যেই জয় নিশ্চিত করে ফেলে উইন্ডিজ।

অ্যান্টিগা টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিতল ২০১ রানে। একইসঙ্গে ২ ম্যাচ টেস্ট সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা। জ্যামাইকায় ৩০ নভেম্বর সিরিজের ২য় ও শেষ টেস্টে মুখোমুখি হবে এই দুই দল।

আগের দিন জয়ের জন্য ৩৩৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ১০৯ রানে চতুর্থ দিনের খেলা শেষ করে বাংলাদেশ। আর আজ ২ উইকেট হারাতেই শেষ হয়ে যায় ম্যাচ। শরিফুল ইসলাম চোটে থাকায় ব্যাট করতে করতে পারেন নি। রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে তিনি ড্রেসিংরুমে।

কাঁধে আঘাত পাওয়ার ব্যাটিং চালিয়ে যেতে পারেননি শরিফুল। তাতেই ৯ উইকেটে ১৩২ রানে থামল বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস। হাতে ১ উইকেট থাকলেও বাংলাদেশ হার মেনে নিয়ে মাঠ ছাড়ে। আগের দিন ১ উইকেট হাতে থাকলেও ১৮১ রানে পিছিয়ে থেকে ইনিংস ঘোষণা করেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

আজ টেস্টের প্রথম দিনে উইকেটে আসা-যাওয়ার দায়টুকু সারতেই যেন মাঠে নামল বাংলাদেশ ব্যাটাররা। ৪০ মিনিটের কম সময়ের মধ্যে শেষ ইনিংস। খেলতে পারল মাত্র ৭ ওভার। আগের দিনের রানের সঙ্গে যোগ করতে পারল মাত্র ২৩ রান।

জাকের আলি ফিরে গেলেন ৩১ রানে। আগের দিন মিরাজ করেন ৪৫ রান। এ নিয়ে টানা তিন সফরে অ্যান্টিগায় প্রথম টেস্টে হারল বাংলাদেশ দল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টানা পঞ্চম হার দেখল দলটি।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস: ৪৫০/৯ ডিক্লে.
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ২৬৯/৯ ডিক্লে.
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২য় ইনিংস: ১৫২/১০
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ৩৮ ওভারে ১৩২/১০ (জাকের ৩১, হাসান ০, তাসকিন ৪*, শরিফুল ১ আহত আউট; রোচ ৮-১-২০-৩, সিলস ১৩-৩-৪৫-৩, শামার জোসেফ ৬-১-২২-১, আলজারি জোসেফ ৮-১-৩২-২, গ্রেভস ৩-১-১২-০)
ফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২০১ রানে জয়ী
সিরিজ: ২ ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
পরবর্তী টেস্ট: ৩০ নভেম্বর, জ্যামাইকায়

Header Ad

আইনজীবী হত্যায় প্রধান উপদেষ্টার নিন্দা, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান

আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

বন্দরনগরী চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যার নিন্দা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ও যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

পোস্টে শফিকুল আলম লিখেছেন, চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যার নিন্দা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ও যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

তিনি লেখেন, জনগণকে শান্ত থাকার এবং অপ্রীতিকর কার্যকলাপে অংশ নেওয়া থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলিকে বন্দর নগরীসহ সমস্ত ঝুঁকিপূর্ণ আশেপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন।

যেকোনো মূল্যে অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিশ্চিত করতে ও সমুন্নত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও জানিয়েছেন ড. ইউনূস।

এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ সনাতনী জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবিতে সৃষ্ট সংঘর্ষে নিহত হন আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ। নিহত আলিফ (৩৫) সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি)। সাইফুল লোহাগাড়ার চুনতি এলাকার জামাল উদ্দিনের ছেলে।

জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম ষষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলামের আদালত চিন্ময়ের জামিন নামঞ্জুর করেন। পরে তার অনুসারীরা আদালত চত্বরে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় কয়েকজন আহত হন।

আহতদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা আহত শিক্ষানবিশ আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে মৃত ঘোষণা করেন।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

স্বৈরাচার পালিয়েছে কিন্তু লেজ রেখে গেছে, তারা ষড়যন্ত্র করছে: তারেক রহমান
সহজেই বাংলাদেশকে হারাল উইন্ডিজ
আইনজীবী হত্যায় প্রধান উপদেষ্টার নিন্দা, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান
এ আর রহমান আমার বাবার মতো: মোহিনী দে
ইসকন আন্দোলনে দেশি-বিদেশি ইন্ধন রয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
সাইম আইয়ুবের বিস্ফোরক সেঞ্চুরিতে সমতায় ফিরলো পাকিস্তান
কে এই চিন্ময় কৃষ্ণ দাস, তাকে গ্রেপ্তার নিয়ে কেন এত হইচই
ভারত থেকে আলু ও পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ, বেড়েছে দাম
৮০ বছর বয়সেও মডেলিং করবেন রুনা খান
চট্টগ্রামে চিন্ময়ের অনুসারীদের হামলায় আইনজীবী নিহত
গুলিবিদ্ধ হওয়ার ২২ দিন পর নওগাঁ যুবদল নেতার মৃত্যু
ঢাকা ও চট্টগ্রামে ১০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
চিন্ময় কৃষ্ণকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানিয়ে ভারতের বিবৃতি
সম্প্রদায়ের নেতা হিসেবে নয়, রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় গ্রেফতার: আসিফ মাহমুদ
সংবিধানের ৬২ জায়গায় সংশোধনের প্রস্তাব বিএনপির
বঙ্গবন্ধু রেল সেতুতে চলল পরীক্ষামূলক ট্রেন
শাপলা চত্বর গণহত্যায় শেখ হাসিনাসহ ৪৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ
এখনও দেশের প্রতিষ্ঠিত অনেক গণমাধ্যম ভুল সংবাদ ও গুজব প্রচার করছে : উপদেষ্টা নাহিদ
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে প্রেরণ
ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে উত্তাল পাকিস্তান, নিহত ছয়