খালেদার শারীরিক অবস্থার বিষয়ে জানা যাবে মঙ্গলবার
খালেদার শারীরিক অবস্থার বিষয়ে জানা যাবে মঙ্গলবার বলে জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্যে মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকদের পরামর্শক্রমে এভারকেয়ার হাসপাতালে ম্যাডাম গিয়েছিলেন। সেখানে বিভিন্ন ধরনে যেসব পরীক্ষা করা দরকার সেগুলো করা হয়েছে। ওই পরীক্ষার রিপোর্ট কালকে নাগাদ পাওয়া যেতে পারে। তারপরে চিকিৎসকরা বসে ম্যাডামের পরবর্তী চিকিৎসা বিষয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেবেন।’
সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’র গেইটের সামনে চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক জাহিদ হোসেন এ কথা জানান।
বর্তমানে বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা কেমন জানতে চাইলে তিনি বলেন, উনি আগের মতোই আছেন। শারীরিক অবস্থা পূর্বের ন্যায় আছে। অবস্থার তেমন কোনো পরিবর্তন হয় নাই।
এভারকেয়ার হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একদল চিকিৎসকের অধীনে খালেদা জিয়া চিকিৎসাধীন আছেন।
এদিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সোমবার ২৭ ফেব্রুয়ারি বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে খালেদা জিয়া স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে এভারকেয়ার হাসপাতালে পৌছান। তিনি সেখানে চিকিৎসকের পরামর্শে নিয়মিত স্বাস্থ্য সেবায় বিভিন্ন ধরণের পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষ করে সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে হাসপাতাল থেকে রওয়ানা দিয়ে রাত সোয়া ৮ টার দিকে গুলশানের বাসভবন ফিরোজা’য় ফিরে আসেন।
খালেদা জিয়া দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালে কারাগারে গিয়েছিলেন। দেশে করোনা মহামারি শুরুর পর পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ তাঁকে নির্বাহী আদেশে ‘সাময়িক মুক্তি’ দেয় সরকার। তারপর কয়েক দফা তাঁর দণ্ডাদেশ স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হয়।
এদিকে গত বছরের ২৮ আগস্ট খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। এর আগে ২২ আগস্ট স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাঁকে একই হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। এর আগে একটানা ১৩ দিন হাসপাতালে থাকার পর গত বছরের ২৪ জুন বাড়িতে ফিরেছিলেন খালেদা জিয়া। তখন হাসপাতালে অ্যানজিওগ্রাম করে তাঁর হৃদ্যন্ত্রে একটি রিং পরানো হয়েছিল। চিকিৎসকেরা তখন তাঁর হৃদ্যন্ত্রে আরও দুটি ব্লক ধরা পড়ার কথা জানিয়েছিলেন।
২০২১ সালের এপ্রিলে খালেদা জিয়া করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। এরপর একই বছরের জুন পর্যন্ত তাঁকে পাঁচ দফায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন।
এমএমএ/