নাসিক নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক কম হয়েছে: বিএনপির হারুন
দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে বিএনপি প্রশ্ন তুললেও দলটির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন হয়েছে। তুলনামূলকভাবে নারায়ণগঞ্জের নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক কম হয়েছে। এখানে মাত্র ৫০ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে।’
সোমবার (১৭ জানুয়ারি) একাদশ জাতীয় সংসদের ১৬তম অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে ফ্লোর নিয়ে কথাগুলো বলেন বিএনপি দলীয় এই সংসদ সদস্য। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশন শুরু হয়। স্পিকারের অনুমতি নিয়ে পয়েন্ট অব অর্ডারে নিজ নির্বাচনী এলাকা পৌরসভার নির্বাচনের কথা তুলতে গিয়ে কথাগুলো বলেন।
হারুনুর রশীদ বলেন, ‘গত সংসদ অধিবেশনের পর আমার নির্বাচনী এলাকায় গত ৩০ নভেম্বর চাপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। তার আগে গত ৫ নভেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমি গত সংসদে আবেদন রেখেছিলাম–আমরা এই সংসদে আছি, অন্তত পক্ষে আমার নির্বাচনী এলাকায় যেন জনগণ ভোট দিতে পারে এই নিশ্চিয়তা চেয়েছিলাম। প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলাম এবং সরাসরি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলাম এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলেছিলাম। কিন্তু আমার এলাকায় নির্বাচন হয়নি। সেদিন কোন নির্বাচন হয়নি। ইভিএমে ভোট হয়েছে। ইভিএম কেন্দ্রগুলোতে অনেকে ব্যাচ লাগিয়ে ঘুরেছে, কেউ বলছে আমি ইভিএম মনিটর করছি, কেউ বলছে ইভিএমের টেকনিশিয়ান। আমি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে কথা বলেছি; কিন্তু কোনো উত্তর পাইনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘নাসিক নির্বাচন হয়েছে। তুলনামূলকভাবে নারায়ণগঞ্জের নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক কম হয়েছে। এখানে মাত্র ৫০ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে।’
হারুনুর রশীদ বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন নিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপ হচ্ছে। আসলে নির্বাচন কমিশনের ব্যাপারে জনগণের আগ্রহ, উৎসাহ একেবারেই নেই। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী তিন বছরপূর্তিতে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন। তিনি সুস্পষ্টভাবে বলেছেন, দুর্নীতিবাজ যে-ই হোক ছাড় দেওয়া হবে না। দুর্নীতির সংজ্ঞা হচ্ছে অসৎ উপায় অবলম্বন করা। আপনি অসৎ উপায়ে নির্বাচন করেন, নির্বাচিত হন, অসৎ উপায় অবলম্বন করে ভর্তি হন, নিয়োগ পান, অসৎ উপায়ে যে কোনো জায়গায় কোনো কর্ম বাস্তবায়ন করেন, সেটি ইসলামে নিষিদ্ধ রয়েছে।’
এ সময় সরকারি দলের সদস্যরা হৈ চৈ করলে তিনি স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে কথা বলতে থাকেন। তিনি বলেন, আমি বাংলাদেশের নির্বাচনের কথা বলব না। প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি করব। আমার এলাকায় পৌরসভায় যে নির্বাচন হয়েছে। সেই নির্বাচনে যে অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে, তার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন কি না? এটি আমার দাবি। না হলে কেন সংসদে থাকব?’
এসএম/এসএ/