মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫ | ১৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

‘পাহাড়ের সংকট রাজনৈতিক সমাধানের জন্যই জনসংহতি সমিতির জন্ম’

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, যারা এই দলটি গঠন করেছিল তারা আজ বয়সের ভারে নুহ্য। রাজনৈতিক সমাধানের লক্ষেই পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সৃষ্টি। কাপ্তাই বাঁধের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েই পাহাড়ের তৎকালীন তরুণরা সংগঠিত হয়েছিল। তারই ধারাবাহিকতায় পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি গঠন করে তারা। এই দলটি স্পষ্টভাবে ইঙ্গিত করেছে যে, বাংলাদেশে বাঙালি ভিন্ন অপরাপর আদিবাসীদের স্বীকৃতি চেয়েছেন এবং সেটা অনিয়মতান্ত্রিকভাবে নয়। তারা সংবিধানের আওতার মধ্য দিয়েই এই স্বীকৃতি চেয়েছেন।

পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি প্রতিষ্ঠার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন ও আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় সদস্য ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য সাধুরাম ত্রিপুরা। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন, লেখক ও সাংবাদিক আবু সাইদ খান, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, ঐক্য ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লাহ তারেক, বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সহ-সাধারণ সম্পাদক ডা. গজেন্দ্রনাথ মাহাত্বো। স্বাগত বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির তথ্য ও প্রচার বিভাগের সদস্য দীপায়ন খীসা। সংহতি বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ, ঢাকা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক জগদীশ চাকমা প্রমুখ।

রাশেদ খান মেনন বলেন, জিয়া যখন পাহাড়ের সমস্যাকে সামরিক সমাধানের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন তখনই জনসংহতি সমিতি সশস্ত্র আন্দোলনে গেল। বঙ্গবন্ধু পাহাড়ের সমস্যাকে সামরিক সমাধান চেয়েছেন এটা আমি মনে করি না। জিয়াউর রহমান পাহাড়ে কেবল ক্যান্টনমেন্ট বাড়াননি। বাঙালি অভিবাসীদেরকে পাহাড়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে সামরিক প্রশাসনের আওতার মধ্যে রেখেই বসবাস করিয়েছিলেন।

তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি সব সময় রাজনৈতিক সমাধানে সচেষ্ট ছিল। এমনকি জেনারেল এরশাদের সময়ও তারা আলোচনা অব্যাহত রেখেছিল। কাজেই এখানেও তারা রাজনৈতিক সমাধানের চেষ্টা চালিয়েছিল। সুতরাং পাহাড়ে সমস্যার পেছনে জনসংহতি সমিতির দিকে যে আঙুল তোলা হয় তা সঠিক নয়। এটাও জনসংহতি সমিতির প্রতি একটা অন্যায়।

জনসংহতি সমিতির লড়াই একার নয়, আমাদের সবার লড়াই দাবি করে সাম্প্রতিক সময়ের কুকি-চিন প্রসঙ্গে মেনন বলেন, সামরিক প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের নাকের ডগায় বসে (কুকি-চিন) কেএনএফ নামের সংগঠনটি জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে কেন হঠাৎ র‍্যাব, সামরিক বাহিনী এ বিষয়ে সচেতন হয়ে উঠল। তাহলে আগে নাইক্ষ্যংছড়িতে পাওয়া অস্ত্রের উৎস কোথায়? পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি চুক্তির ২৫ বছর ধরে চুক্তি বাস্তবায়নের আশা করছে এটাও তাদের রাজনৈতিক সমাধান খোঁজারই পন্থা। পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিকে জাতীয় দল হিসেবেও স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি করেন এই বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ। দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি একটি প্রাগ্রসর রাজনৈতিক দল।

প্রারম্ভিক বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি, তথ্য ও প্রচার বিভাগের সদস্য দীপায়ন খীসা বলেন, জনসংহতি সমিতির আন্দোলনকে বুঝতে হলে, পুরো পার্বত্য চট্টগ্রামের সমাজব্যবস্থাকে বুঝতে হবে। আজকের এই দিনটি জুম্ম জনগণের জন্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ একটি দিন। জনসংহতি সমিতি পাহাড়ের সর্বসাধারণের দল। আমরা দৃঢ় কণ্ঠে বলতে চাই, জুম্ম জনগণের অধিকার রক্ষার লড়াই থেকে জনসংহতি সমিতিকে শূন্য করা যাবে না। আমরা বহাল তবিয়তে থাকব। জনসংহতি সমিতি তার এই লড়াই চলমান রাখবে। সামনে দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়ার জন্য আমরা প্রস্তুত আছি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষক অধ্যাপক ড. মেসবাহ কামাল বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের একটি আত্মনিবেদিত রাজনৈতিক সংগঠন। এ দেশকে গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য যেসব বিষয়াবলি জাতীয় জীবনে এবং গণতন্ত্রের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ তা আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে এই দলটি। আমরা যখন সংবিধান প্রণয়নের কাজে হাত দিলাম তখনই আমরা দেখলাম, আমরা জাতীয়বাদের আতিশয্যে এমন একটা পদক্ষেপ নিলাম, যে পদক্ষেপ আমাদের গণতন্ত্রের ভিত্তিকে ভেঙে চুরমার করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। সংবিধানে বলা হলো, এ দেশের জনগণ জাতিতে বাঙালি। আমাদের ৭২-এর সংবিধান সে কথাই বলেছে। এ দেশটা শুধু বাঙালির নয়, বাঙালির বাইরে আরও অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর মানুষের জন্যও।

লেখক ও সাংবাদিক আবু সাইদ খান বলেন, ভাষা আন্দোলন থেকে যে জাতীয়তাবাদী আন্দোলন শুরু হয়, সে লড়াইয়ের একপর্যায়ে আদিবাসীরাও যুক্ত হয়েছিল। সঙ্গত কারণে সে লড়াইটা বাঙালির জাতীয়তাবাদের আন্দোলন ছিল। কিন্তু স্বাধীনতা উত্তর অন্যান্য আদিবাসী জনগোষ্ঠীর যারা শামিল হয়েছিল তাদের বিষয়গুলো বিবেচনা করা হয়নি।

তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে যে দাবিগুলোকে নিয়ে জনসংহতি সমিতি গঠিত হয়েছিল সেটার প্রথম সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছিল আওয়ামী লীগ। কিন্তু সেটাকে বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আমরা যে সাধুবাদটা দিয়েছি সেটা এখন ধরে রাখা যাচ্ছে না।

সভাপতির বক্তব্যে জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় সদস্য সাধুরাম ত্রিপুরা মিল্টন বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদেরকে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। নোংরা রাজনীতিকে সুষ্ঠু রাজনীতি দিয়ে ঠেকিয়ে রাখবার জন্যই আমরা রাজনীতি করেছি। আমরা যুদ্ধ চাইনি। রাষ্ট্র আমাদের উপর যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছিল। সেই যুদ্ধকে ঠেকিয়ে দেওয়ার জন্যই আমরা যুদ্ধ করেছি। তারা যখন বুঝলেন পাহাড়ের সমস্যার রাজনৈতিক সমাধান করতে হবে তখনই আমরা চুক্তিতে উপনীত হই। আমরা বিচ্ছিন্নতাবাদের জন্য লড়াই করিনি। বাংলাদেশের সংবিধানকে সমুন্নত রেখেই আমরা পার্বত্য চুক্তি করেছি। সেই চুক্তি অবিলম্বে বাস্তবায়নের জোর দাবি জানাই।

এনএইচবি/এসজি

Header Ad
Header Ad

নারী হাজতখানায় শ্রমিক লীগ নেতা তুফান, স্ত্রী-শাশুড়িসহ গ্রেফতার ৫

গ্রেফতার হওয়া তুফান সরকার ও তার স্বজনরা। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ায় আদালতের নারী হাজতখানায় ঢুকে সাজাপ্রাপ্ত আসামি তুফান সরকারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার অভিযোগে তার স্ত্রী, শাশুড়ি এবং অন্যান্য পরিবারের সদস্যসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার (৩ মার্চ) বিকেলে বগুড়া চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযোগ রয়েছে যে, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় ১৩ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত তুফান সরকারকে আদালতের নারী হাজতখানায় তার পরিবারের পাঁচ সদস্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে সুযোগ দেওয়া হয়। এই ঘটনার পর আদালত পুলিশের সহকারী টাউন উপপরিদর্শক (এটিএসআই) জয়নাল আবেদিনকে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে পাঠানো হয় এবং ঘটনার তদন্তের জন্য একটি তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) হোসাইন মুহাম্মদ রায়হান।

তুফান সরকার বগুড়া শহর শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক ছিলেন। তার বিরুদ্ধে ১৭টি মামলা রয়েছে। এসব মামলার মধ্যে পাঁচটি হত্যা, ধর্ষণ এবং নারী নির্যাতনসহ গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। ২০১৭ সালে তিনি ছাত্রী ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার হন এবং ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট থেকে একাধিক হত্যা মামলায় আসামি হওয়ার পর আত্মগোপনে চলে যান। ২০২৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর রাতে ডিবি পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মঈনুদ্দিন জানান, আদালতের নারী হাজতখানায় সাজাপ্রাপ্ত তুফান সরকারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়ে তার স্ত্রী, শাশুড়ি, শ্যালক এবং অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে এই ঘটনায় আদালত পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো মামলা দায়ের করেনি। আপাতত তাদের ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেফতার হওয়া পাঁচজনের মধ্যে রয়েছেন- তুফান সরকারের দ্বিতীয় স্ত্রী আইরিন আকতার, শাশুড়ি তাসলিমা বেগম, শ্যালক নয়ন আকন্দ, স্ত্রীর বড় বোন আশা খাতুন এবং আইনজীবীর সহকারী হারুনুর রশিদ।

বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন রঞ্জন সরকার জানিয়েছেন, আদালতের নারী হাজতখানায় সাজাপ্রাপ্ত কয়েদির সঙ্গে স্বজনদের সাক্ষাতের বিষয়টি তদন্তের আওতায় আনা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, “যদি তদন্তে অন্য কোনো ব্যক্তি জড়িত থাকেন, তবে সুপারিশের ভিত্তিতে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

এ বিষয়ে আদালত ও পুলিশের সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দুপুরে তুফান সরকারের বিরুদ্ধে একটি মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য ছিল। ওই সময় চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নারী হাজতখানার দরজা কালো কাপড় দিয়ে ঢেকে দিয়ে তুফান সরকারের সঙ্গে তার পরিবারের সদস্যদের সাক্ষাতের ব্যবস্থা করা হয়। বিষয়টি প্রকাশ হওয়ার পর আদালত প্রাঙ্গণে উত্তেজনা দেখা দেয় এবং পরে তুফান সরকারকে দ্রুত প্রিজন ভ্যানে তুলে কারাগারে পাঠানো হয়।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা ১ কোটি ৫৯ লাখ ৬৮ হাজার ১৮২ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের মামলায় তুফান সরকারকে গত বছরের ২৭ নভেম্বর ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেন বগুড়ার স্পেশাল জজ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ।

Header Ad
Header Ad

চুয়াডাঙ্গায় পূর্বাশা পরিবহনের বাসে তল্লাশি, ৩ কোটি টাকার স্বর্ণসহ দুই পাচারকারী আটক

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গায় পূর্বাশা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ৩ কোটি টাকার স্বর্ণসহ দুই স্বর্ণ পাচারকারীকে আটক করেছে বিজিবি। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে চুয়াডাঙ্গা ৬ বিজিবি কার্যালয়ের সামনে চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ মহাসড়কে এ অভিযান চালানো হয়।

চুয়াডাঙ্গা ৬ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাজমুল হাসান বিকেল সাড়ে ৩টায় এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবি জানতে পারে, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা পূর্বাশা পরিবহন (ঢাকা মেট্রো ব-১৫-০৪৫৬) দিয়ে স্বর্ণ চোরাচালান করা হবে। এই তথ্যের ভিত্তিতে বিজিবির একটি দল সরোজগঞ্জ বাজার এলাকায় অবস্থান নেয় এবং বাসটি চিহ্নিত করে।

দুপুর ১টা ১০ মিনিটের দিকে বাসটি বিজিবি ব্যাটালিয়ন সদর কার্যালয়ের সামনে পৌঁছালে সেটির গতিরোধ করা হয়। পরে সন্দেহভাজন দুই ব্যক্তিকে আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার পিরপুরকুল্লাহ গ্রামের রফিকুল ইসলাম (৪২) এবং কুমিল্লার দেবিদ্বার থানার হোসেনপুর গ্রামের লিটন খান (২৬)।

তল্লাশির সময় আটককৃতদের দেহ ও জুতার ভেতরে লুকানো অবস্থায় ১৮টি স্বর্ণের বার, দুটি মোবাইল ফোন ও নগদ ১০,১৯০ টাকা উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত স্বর্ণের ওজন ২ কেজি ৪১১ গ্রাম, যার আনুমানিক বাজারমূল্য ২ কোটি ৯৩ লাখ ৭৮ হাজার ২১৩ টাকা।

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

এ ঘটনায় বিজিবির নায়েক সাইদুর রহমান বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। জব্দকৃত স্বর্ণ চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারি অফিসে জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

Header Ad
Header Ad

যুবলীগ নেতা সাদ্দাম অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার

নাহিদ হোসেন সাদ্দাম। ছবি: সংগৃহীত

রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি জেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাহিদ হোসেন সাদ্দামকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনী। এ সময় তার কাছ থেকে বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

মঙ্গলবার (৪ মার্চ) দুপুরে রংপুর মহানগরীর স্টেশান এলাকায় থেকে নাহিদ হাসান সাদ্দামকে গ্রেফতার করা হয়।

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো: মুজিদ আলী জানান, তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতায় নগরীর স্টেশন এলাকায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে নিষিদ্ধ সংগঠন রংপুর ছাত্রলীগের সাবেক উপপ্রচার সম্পাদক ও জেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাহিদ হাসান সাদ্দামকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এ সময় তার কাছে বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। সাদ্দাম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত বছর ৪ আগস্ট রাজা রামমোহন ক্লাবের সামনে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের গুলিতে নিহত মাহমুদুল হাসান মুন্না হত্যা মামলার আসামি।

অস্ত্র হাতে ওই হামলায় প্রকাশ্যে অংশ নিয়েছিলেন সাদ্দাম। ওই সময় অস্ত্র হাতে তার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়। ৫ আগস্টের পর আত্মগোপনে চলে গিয়েছিলেন তিনি।

মহানগর পুলিশ কমিশনার আরও জানান, নাহিদ হাসান সাদ্দাম নগরীর স্টেশন এলাকার আলম নগর বাবু পাড়ার মৃত ধলু মিয়ার পুত্র। বৈষমবিরোধী আন্দোলন দমাতে রংপুরে সংঘটিত হামলাগুলোর অন্যতম মাস্টারমাইন্ড ছিলেন সাদ্দাম।

পুলিশ কমিশনার জানান, মাহমুদুল হাসান মুন্না নিহতের ঘটনায় সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, তার পুত্রসহ ১২৮ জনকে আসামি করে গত বছরের ২৯ আগস্ট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোতোয়ালি আমলি আদালতে মামলা দায়ের করেন মুন্নার বাবা।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নারী হাজতখানায় শ্রমিক লীগ নেতা তুফান, স্ত্রী-শাশুড়িসহ গ্রেফতার ৫
চুয়াডাঙ্গায় পূর্বাশা পরিবহনের বাসে তল্লাশি, ৩ কোটি টাকার স্বর্ণসহ দুই পাচারকারী আটক
যুবলীগ নেতা সাদ্দাম অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার
গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে যেতে প্রস্তুত ইসরায়েল, শর্ত জিম্মি মুক্তি ও নিরস্ত্রীকরণ
'গে অ্যাক্টিভিস্ট' অভিযোগের বিষয়ে যা বললেন তাসনিম জারা  
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সবাই মিলে দেশ পরিচালনা করা হবে: এ্যানী
টাঙ্গাইলে বাসের ধাক্কায় প্রাণ হারালেন সিএনজি চালক
স্কুল ভর্তিতে ৫ শতাংশ কোটা বাতিল করলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়
সংসদ নির্বাচনের পর অনুষ্ঠিত হবে স্থানীয় নির্বাচন!
৬৭ কোটি টাকার লটারি জিতলেন দুবাই প্রবাসী বাংলাদেশী
মব নিয়ে কড়া বার্তা দিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
নিজের তৈরি হেলিকপ্টারে আকাশে উড়লেন মানিকগঞ্জের তরুণ উদ্ভাবক জুলহাস মোল্লা
শিক্ষা উপদেষ্টার দায়িত্ব পাচ্ছেন ঢাবি অধ্যাপক সি আর আবরার
যাত্রীদের নিরাপত্তায় মেট্রোরেলের ভেতরে পুলিশ মোতায়েন
ভারতের কারাগারে বন্দি ১০৬৭ বাংলাদেশি এবং পুলিশ লাইনে বন্দিশালার খোঁজ পেয়েছে গুম কমিশন
জনকল্যাণে কাজ করাই বিএনপির মূল লক্ষ্য: আমিনুল হক
মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান ও শেখ হাসিনার বৈঠক, যা জানা গেল
৯১ দিনে কোরআনের হাফেজ ৬ বছরের আব্দুর রহমান
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে বাধ্যতামূলক ডোপ টেস্ট
উপদেষ্টা হচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম