মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

নেত্রকোনা জেলা ছাত্রদল

অনুমোদনের ৫ দিনের মধ্যে কমিটি স্থগিত

৪২৭ সদস্য বিশিষ্ট নেত্রকোনা জেলা ছাত্রদলের কমিটি অনুমোদনের ৫ দিনের মধ্যে কার্যক্রম স্থগিত রাখার নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। অনুমোদিত কমিটিকে কেন্দ্র করে জেলা এবং কেন্দ্রের মধ্যে একে-অপরের দিকে অভিযোগ তুলে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠে। দৃষ্টি এড়িয়ে যায়নি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের। তিনি ভার্চুয়ালি বৈঠকে ছাত্রদল নেতৃত্বকে সংশ্লিষ্ট জেলা কমিটি সংশোধন করে নতুন কমিটি ঘোষণা দেওয়ার নির্দেশনা দেন। একইসঙ্গে কমিটিকে ঘিরে যাদের বিরুদ্ধে অনিয়মের কথা উঠেছে তাদেরকে কারণ দর্শানোর কঠোর বার্তাও দেওয়া হয়।

সম্প্রতি নেত্রকোনা জেলা ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে পদ পান ছাত্রলীগকর্মী জাকির হাসান লাভলু। কলমাকান্দা উপজেলা ছাত্রলীগের সক্রিয়কর্মী এবং আওয়ামী লীগের স্থানীয় সংসদ সদস্য মানু মজুমদারের স্নেহধন্য জাকির। এরপর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে ট্রল শুরু হয়।

২০১৬ সালে ১৩ অক্টোবর রাতে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ফরিদ হোসেন বাবুকে সভাপতি, অনিক মাহবুবকে সাধারণ সম্পাদক এবং ফরিদ হোসেনকে সাংগঠানিক সম্পাদক করে ১৬ সদস্য বিশিষ্ট নেত্রকোনা জেলা ছাত্রদলের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল।

দীর্ঘদিন পর প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সোমবার (১০ জানুয়ারি) ৪২৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির অনুমোদন দেয় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল।

বুধবার (১২ জানুয়ারি) নেত্রকোনা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ফরিদ হোসেন বাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ঢাকাপ্রকাশকে ক্ষুদেবার্তায় জানান, ‘কলমাকান্দা উপজেলা ছাত্রলীগকর্মী জাকির হাসান লাভলু কিভাবে জেলা ছাত্রদলের কমিটিতে সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক পদে এসেছে সে বিষয়ে আমরা জেলা কমিটির নেতৃত্ব অবগত নই। কেন্দ্রে পাঠানো তালিকায় লাভলু নামে কোনো নাম দেইনি। বরং জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হিসাবে বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখিন হয়েছি।’

বৃহষ্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) কলকমাকান্দা উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘ছাত্রলীগকর্মী থেকে জেলা ছাত্রদলের কমিটিতে সহ-সাংগঠনিক পদ পাওয়া জাকির হাসান লাভলুর নাম পদে দেখে উপজেলা সভাপতি হিসাবে আমি বিস্মত। তার নাম উপজেলা থেকে পাঠানো হয়নি। আমি জেলার সাধারণ সম্পাদককে এ বিষয়ে জানিয়েছি।’

এদিকে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির মেয়াদও শেষ হয়ে গেছে। তারপরও মেয়াদহীন কেন্দ্রীয় কমিটি কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জেলা ও ইউনিটের নতুন কমিটি ঘোষণা আবার বিলুপ্তি ঘোষণা দিয়ে সক্রিয়তার বার্তা দিয়ে যাচ্ছে।

৪২৭ সদস্য বিশিষ্ট বিশাল জেলা কমিটির বিভিন্ন পদে থাকা ছাত্রদল নেতাদের ভাষ্য, সংগঠনের জেলা সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদে নিজ আক্রোশ মেটাতে সংগঠনের জন্য নিবেদিত ছাত্র-নেতাদের কমিটিতে রাখেনি। নিজ বলয় তৈরি, অর্থ বিনিময়, নিষ্ক্রিয়, ছাত্রত্ব নেই ১০ বছরের অধিক, ঢাকায় অবস্থানরত, বিভিন্ন পেশায় চাকরিরত, যুবদলের ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য, এমনকি উপজেলা ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মীকে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বুঝিয়ে স্বার্থ হাসিল করেছেন।

কমিটি গঠনে ভবিষতে জেলার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক এমন কাজ করতে পারেন সেই আশঙ্কা থেকেই ১৬ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটির সহ-সভাপতি ফারদিন চৌধুরী রিমি, দেলোয়ার হোসেন দেলোয়ার, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সুজন কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে ইচ্ছা প্রকাশ করে পুর্ণাঙ্গ কমিটি থেকে তাদের নাম বাতিল করিয়ে নিয়েছেন।

কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের একজন প্রভাবশালী সহ-সভাপতি ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সহ-দপ্তর সম্পাদক শুধু নেত্রকোনা জেলা কমিটি নয় বরং দেশের প্রায় প্রতিটি কমিটিতে অর্থের বিনিময়ে পদ বিক্রি করে আসছেন। প্রথম প্রথম সংগঠনের ‘সুপার-ফাইভ’ নিয়ে প্রতিবাদ তুললেও পরবর্তীতে নিজেদের মাইম্যানকে কমিটির পদে আনতে সভাপতি ও সহ-দপ্তর সম্পাদকের অন্যায় কর্মকাণ্ডের স্রোতে গা ভাসিয়েছেন সবাই।’

ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘গত দুই-তিন দিন ধরে নেত্রকোনা জেলা কমিটির অনিয়ম নিয়ে অভিযোগ কেন্দ্রে আসতে শুরু হয়েছে। অভিযোগগুলো আমলে নিয়ে ইতিমধ্যে সভাপতি ও সহ-দপ্তর সম্পাদককে কমিটি সংশোধন করার বিষয়ে বলা হয়েছে। আশা করছি- অল্প দিনের মধ্যে কমিটি সংশোধন হয়ে যাবে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও উক্ত বিষয়ে অবগত হয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন।’

ঘোষিত কমিটি সূত্রে দেখা যায়, জেলা কমিটিতে জেলা সদর অপেক্ষায় জেলা সংশ্লিষ্ট উপজেলা থেকে কমিটিতে বেশি সংখ্যক ছাত্রনেতাকে জায়গা দেওয়া হয়। জেলা সদরে সংগঠনের রাজনীতিতে নিবেদিত ত্যাগীদের বঞ্চিত করা হয়েছে। ফলে তাদের মধ্যে কমিটিকে ঘিরে এক ধরনের ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। হাতাহাতির ঘটনাও ঘটেছে। কমিটিতে দেখা গেছে পুর্ণাঙ্গ কমিটিতে শুধুমাত্র পূর্বধলা উপজেলা থেকে সহ-সভাপতি ১১ জন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ১৫ জন, সহ-সাধারণ সম্পাদক ৯ জন, সহ-সাংগঠনিক ১০ জন, সহ-সম্পাদক ৩ জন, সদস্য ১১ জন মিলে ৬৯ জন স্থান পেয়েছেন। এরপর থেকে নেত্রকোনা জেলাধীন অন্যান্য উপজেলা ছাত্রনেতাদের তুপের মুখে পড়ে জেলা নেতৃত্ব।

জেলা ছাত্রদলের কমিটিতে পদ পেয়েছেন পায়েল ভূইয়া, যিনি কেন্দুয়া পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক। মুশফিকুর রহমান জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য। মদন উপজেলায় এক ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি সোহাগ মড়ল পেয়েছেন সহ-সম্পাদকের পদ।

এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের ১ নম্বর সহ-সভাপতি জাকিরুল ইসলাম জাকির ঢাকাপ্রকাশকে বলেন,‘ বিতর্কিত কমিটি নতুন করে সংশোধন হবে। সম্প্রতি ভার্চুয়াল বৈঠকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দৃষ্টিতে নিয়ে আসা হলে তিনি বলেন-জেলা কমিটি যেখানে ১০০ থেকে ১৫১ হতে পারে সেখানে ৪২৭ জন কিভাবে অন্তর্ভুক্ত হয়?’

কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন ও সহ-দপ্তর সম্পাদক আজিজুল হক সোহেলের সঙ্গে একাধিকভাবে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা মন্তব্য দেয়নি। আর সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘অনিয়ম আমলে নিয়ে কমিটি সংশোধন করার প্রক্রিয়া চলছে। শীঘ্রই নতুন কমিটি ঘোষণা করা হবে।’

 এমএইচ/এসআইএইচ

Header Ad
Header Ad

নওগাঁয় ডাকাত দলের ৩ সদস্যসহ ৮ জন গ্রেপ্তার, উদ্ধার লুণ্ঠিত মালামাল

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁয় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৩ সক্রিয় সদস্যসহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। এদের মধ্যে বাকি ৫ জন চোরাই মালামাল ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত। গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ১টি অটো চার্জার ভ্যান এবং ১৯টি অটো চার্জার ভ্যানের ব্যাটারিসহ ১৫০ কেজি খুচরা যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা হয়েছে।

রোববার (২৭ এপ্রিল) নওগাঁ এবং রাজশাহীর জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে নওগাঁ জেলা পুলিশ কর্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) ফারজানা হোসেন এসব তথ্য জানান।

গ্রেপ্তারকৃত ডাকাত দলের সদস্যরা হলেন, জেলার পোরশা উপজেলার সোভাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে আব্দুল জব্বার (৪০) চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার পাথরপূজার গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে নুরুজ্জামান (৪০) এবং নওগাঁর সাপাহার উপজেলার ধবলডাঙ্গা গ্রামের ইব্রাহিমের ছেলে মোহাম্মদ সেলিম (৩০)।

গ্রেপ্তারকৃত চোরাই মালামাল ক্রয়-বিক্রয় চক্রের সদস্যরা হলেন, জেলার মান্দা উপজেলার উত্তর কাঞ্চন গ্রামের আলম খানের ছেলে শহিদ খান (৩৪) একই গ্রামের পরেশ আলী মৃধার ছেলে কাওছার আলী মৃধা (২৪), উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের তমিজউদদীন মোল্লার ছেলে আব্দুল মতিন মোল্লা (৫০), কামারকুড়ি গ্রামের মৃত ময়েন উদ্দিনের ছেলে জিয়াউর রহমান (৪২) এবং শ্রীরামপুর গ্রামের মৃত সোলায়মান মন্ডলের ছেলে আজিজুল মন্ডল(৬৪)।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারজানা হোসেন বলেন, বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাত অনুমানিক ৮ টার দিকে সাপাহার থানার নোচনাহার বাজার থেকে সাদিকুল ইসলাম (৩২) নামে এক অটো চার্জার ভ্যান চালক তার নিজের অটো চার্জার ভ্যান চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। ফেরার পথে সাপাহার থানাধীন ইলিমপুর মোড় হইতে হরিপুর বাজারগামী রোডে ইলিমপুর ব্রীজের নিকট পৌছাতেই রাস্তার পাশে ওৎপেতে থাকা ০৪ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি তার অটো চার্জার ভ্যান থামিয়ে তাকে ভ্যান থেকে টেনে নামায় এবং তার গলার চাকু ধরে হত্যার ভয় দেখিয়ে পাশের আম বাগানে নিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে মারপিট করে।

পরবর্তীতে তারা সাদিকুলের অটো চার্জার ভ্যানটি ছিনতাই করে নিয়ে যায়। অপর আরো একটি ঘটনায় একই ডাকাত দল গত শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৩ টার দিকে পোরশা থানার সরাইগাছি - আড্ডা আঞ্চলিক মহাসড়কের মশিদপুর এলাকায় এক অটো চার্জার ভ্যান চালককে আটক করে। তাকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে হত্যার ভয় দেখিয়ে তার অটো চার্জার ভ্যান ছিনতাই করে নিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, এই দুই ঘটনায় পোরশা এবং সাপাহার থানায় আলাদা দুইটি মমলা হয়। মামলার পর থেকেই পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবির) একটি বিশেষ টিম অভিযান অব্যাহত রাখে। গতকাল (২৭ এপ্রিল) নওগাঁ এবং রাজশাহী জেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ৩ জন ডাকাত এবং চোরাই ভ্যানের মালামাল ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত এমন ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ফারজানা হোসেন আরও বলেন, গ্রেফাতারকৃত ডাকাতদের মধ্যে মোহাম্মদ সেলিম (৩০) বহুল আলোচিত সাপাহার উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ হিল কাফি হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামী। সেলিমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৮টি চুরি এবং ডাকাতির মামলা রয়েছে। এছাড়াও ডাকাত আব্দুল জব্বারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১০ টি এবং ডাকাত নুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৪ টি চুরি এবং ডাকাতির মামলা রয়েছে। আসামীদের বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) সুমন রঞ্জন সরকার জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি ডিবি) আব্দুল মান্নানসহ পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

নিজের মূত্র পান করেছিলেন বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল

বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল। ছবি: সংগৃহীত

বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেতা পরেশ রাওয়াল সম্প্রতি এক বিস্ময়কর অভিজ্ঞতার কথা প্রকাশ করেছেন। ‘ঘাতক’ ছবির শুটিং চলাকালে হাঁটুর মারাত্মক আঘাতের পর দ্রুত সেরে ওঠার জন্য তিনি নিজের মূত্র পান করেছিলেন বলে জানিয়েছেন।

রাকেশ পান্ডের সঙ্গে একটি দৃশ্যের শুটিং চলাকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আঘাতের পর পরিচালক তিন্নু আনন্দ ও অভিনেতা ড্যানি দেনজোংপা তাকে দ্রুত মুম্বাইয়ের নানাবতী হাসপাতালে নিয়ে যান।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে গভীর উদ্বেগে ছিলেন পরেশ রাওয়াল। তখনই প্রয়াত অ্যাকশন ডিরেক্টর বীরু দেবগণ তাকে পরামর্শ দেন প্রতিদিন সকালে নিজের মূত্র পান করার জন্য। বীরু দেবগণের যুক্তি ছিল, বহু যোদ্ধা শরীরের দ্রুত আরোগ্যের জন্য এমন পদ্ধতি অনুসরণ করতেন। পরেশ রাওয়াল সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে জানান, তিনি তখন এমন এক মানসিক অবস্থায় ছিলেন যে সুস্থতার জন্য যেকোনো কিছু করতে রাজি ছিলেন।

 

বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল। ছবি: সংগৃহীত

নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে টানা ৩০ দিন নিজের মূত্র পান করেন পরেশ। পরে চিকিৎসকরা তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে চমকপ্রদ ফলাফল পান। চিকিৎসকদের মতে, তার চোট সারাতে যেখানে আড়াই মাস সময় লাগার কথা ছিল, সেখানে তিনি মাত্র দেড় মাসেই পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেন।

বর্তমানে পেশাগত জীবনেও ব্যস্ত সময় পার করছেন পরেশ রাওয়াল। শিগগিরই তিনি প্রিয়দর্শনের পরিচালনায় নির্মিত হরর-কমেডি 'ভূত বাংলা' ছবিতে অক্ষয়কুমার ও টাবুর সঙ্গে অভিনয় করবেন। পাশাপাশি ‘হেরা ফেরি ৩’-তেও পুরনো সহ-অভিনেতা অক্ষয়কুমার ও সুনীল শেঠির সঙ্গে আবার পর্দা ভাগ করবেন।

 

Header Ad
Header Ad

নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ

নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে উল্লেখ করেছেন এনসিপির মূখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে নাহিদ ইসলামের জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ফেসবুক পোস্টে হাসনাত আব্দুল্লাহ লেখেন, "শুভ জন্মদিন। বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী নাহিদ ইসলাম।" তার এই মন্তব্য সামাজিক মাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নওগাঁয় ডাকাত দলের ৩ সদস্যসহ ৮ জন গ্রেপ্তার, উদ্ধার লুণ্ঠিত মালামাল
নিজের মূত্র পান করেছিলেন বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল
নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
কিছু লোডশেডিং না হলে ভর্তুকি বেড়ে যাবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা
গণপিটুনির পর কারাগারে ইমামের মৃত্যু, গাজীপুরের পূবাইলে চাঞ্চল্য
ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে শপথ না পড়াতে লিগ্যাল নোটিশ
পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে ৭টি অস্ত্রবাহী বিমান পাঠালো তুরস্ক
বিএনপির ৩ সংগঠনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু
জামিন পেলেন মডেল মেঘনা আলম
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন করলো সরকার
নিরীহ কাউকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা যাবে না: আইজিপি
পাকিস্তানে সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত: নিউইয়র্ক টাইমস
ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকির অভিযোগ দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে (ভিডিও)
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ