ভোটের গরমে উধাও স্বাস্থ্যবিধি
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে শেষ হচ্ছে প্রচারণা। আর এক দিন পরই নারায়ণগঞ্জ সিটির নাগরিকরা বেছে নেবেন তাদের প্রিয় অভিভাবককে। একদিকে ভোট ঘনিয়ে আসছে, অন্যদিকে ধেই ধেই করে বাড়ছে করোনা।
সরকারিভাবে বিধিনিষেধ আরোপ করে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক হলেও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে যেন স্বাস্থ্যবিধির বালাই নাই। সকল প্রার্থীর সমর্থকরা মিছিলে, স্লোগানে উত্তাপ ছড়াচ্ছে নারায়ণগঞ্জ সিটি এলাকায়। তবে অধিকাংশ কর্মী-সমর্থকের মুখে ছিল না মাস্ক।
মিছিল, সভা-সমাবেশে মানুষের উপস্থিতি ছিল উল্লেখ করার মতো। হাজার হাজার মানুষের ভিড়ে স্বাস্থ্যবিধি উধাও হয়ে গেছে। নারায়নগঞ্জ সিটি এলাকার মানুষ দেখলে মনে হবে করোনা বলে যেকোনো ভাইরাস আছে সেটা তাদের অজানা।
করোনার প্রকোপ বাড়ায় বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) থেকে কতিপয় বিধিনিষেধ আরোপ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। সেখানে অন্যতম শর্ত ছিল সভা-সমাবেশ করা যাবে না। মাস্ক পড়তে হবে। এই দুটি শর্তই অনুপস্থিত নারায়নগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে।
আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভির সমাবেশ হয় রেলগেট মোড়ে। সেখানে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতি ছিল। দুপরের পর থেকে মিছিলে মিছিলে পুরো সভাস্থল জনসমাগমে সরগরম হয়ে যায়। সেখানে উপস্থিত ৯০ শতাংশ মানুষের মুখে ছিল না মাস্ক।
অন্যদিকে বন্দর এলাকায় প্রচারণা চালায় বিএনপির অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার। সেখানেও ব্যাপক মানুষের উপস্থিতি। সেই মিছিলেও ছিল না স্বাস্থ্যবিধি মানার আগ্রহ।
এক কথায় পুরো এলাকায় ভোট উত্তাপে হারিয়ে গেছে স্বাস্থ্যবিধি।
এসএম/এসআইএইচ