ইসি গঠনে রাষ্ট্রপতির সংলাপ
আইন তৈরিতে একমত সকল পক্ষ, তবুও..
প্রতিটি রাজনৈতিক দলের দর্শন ও আদর্শে কিছু না কিছু ভিন্নতা রয়েছে। তবে এবার একটি জায়গায় সকলেই ঐক্যমতে পৌঁছাতে পেরেছে। বিশেষ করে নির্বাচন কমিশন গঠনের ব্যাপারে সকল রাজনৈতিক দলের দাবি এক মোহনায়। তা হলো নির্বাচন কমিশন আইন। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের আয়োজন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। গত ২০ ডিসেম্বর সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সঙ্গে সংলাপের মধ্য দিয়ে শুরু হয় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা পর্ব।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে পাঠানো তালিকা ও সময়সূচি অনুযায়ী এখন পর্যন্ত ৩২টি দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে বঙ্গভবন। আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত সংলাপে অংশ নিয়েছে ১৭টি দল। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলসহ (বিএনপি) ৭টি দল রাষ্ট্রপতির সংলাপ প্রত্যাখান করেছে। বৃহস্পতিবার ১৩ জানুয়ারি ৩টি দলের জন্য সময়ে রেখেছে বঙ্গভবন। সর্বশেষ ১৭ জানুয়ারি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংলাপ করে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ আলোচনা শেষ করবেন রাষ্ট্রপতি।
এখন পর্যন্ত যেসকল রাজনৈতিক দল সংলাপে অংশগ্রহণ করেছে প্রতিটি দল নির্বাচন কমিশন গঠনে একটি পৃথক আইন করার পরামর্শ দিয়েছে। কোনো কোনো দল বিশেষ অধিবেশন ডেকে হলেও আইন করার মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন করার প্রস্তাব দিয়েছে। আবার কোনো কোনো দল অধ্যাদেশ জারি করে হলেও নির্বাচন কমিশন গঠনে একটি আইন করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এরপর নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ চার কমিশনার বাছাই করতে একটি সার্চ কমিটি গঠন করবেন রাষ্ট্রপতি। সেই সার্চ কমিটি দ্রুততম সময়ের মধ্যে যোগ্য ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে রাষ্ট্রপতির কাছে নাম প্রস্তাব করবেন। প্রস্তাবিত সেই নামগুলো থেকে রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অপর চার কমিশনার নিয়োগ করবেন। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এর আগে নতুন নির্বাচন কমিশন নিয়োগ দেবেন।
সার্চ কমিটি গঠনে রেওয়াজ অনুযায়ী আপিল বিভাগের একজন বিচারপতির নেতৃত্বে সার্চ কমিটি গঠন করেন রাষ্ট্রপতি। সার্চ কমিটিতে হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারপতি, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (সিএজি)সহ ২-৩ জন বিশিষ্ট নাগরিক থাকেন। এবারও হয়তো তাই হতে পারে।
নির্বাচন কমিশন গঠনে সংবিধানের পথে হাটার পরামর্শ দিয়েছেন জাতীয় পার্টি (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। তিনি বলেছেন, ‘সার্চ কমিটি এলো কোথা থেকে? এটা তো সংবিধানে নাই। সংবিধানে যা আছে সেই মাপে চলার কথা বলেছি।’
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপ শেষে জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু বলেছিলেন, ‘আমরা বরাবরই ইসি গঠনে আইন করার কথা বলেছি। গত অধিবেশনেও বলেছি। আইনমন্ত্রীকে বলেছিলাম আপনি না পারেন, আমাকে বলেন আমি আইনটা আনি। আমাকে এখনও বললে এক সপ্তাহের মধ্যে আইনটা আনতে পারব।”
সংলাপ শেষে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, ‘নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। সংবিধানের ১১৮ বিধি বাস্তবায়নার্থে আইনের বিধানাবলি অনুসারে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য একটি আইন তৈরি করতে হবে’।
তিনি আরও বলেছেন, সম্প্রতি সময়ে যে আইন হচ্ছে সেই আইনগুলোর কোন কোনটা করতে সময় ২ ঘণ্টা বেশি লাগে নাই। যেদিন আইন কমিটিতে যাবে পরদিন বসে আইন পাস করা সম্ভব। কাজেই হুদা কমিশনের ড্রাফ আছে। উনারা যদি চান সারা রাত বসে খেটে আইনের ড্রাফ করে দেব’।
আইন করার পক্ষে মত দিয়েছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)। দলটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু সংলাপ শেষে বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন করতে হবে।
বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী সংলাপ শেষে বলেছেন, ‘মহামান্য রাষ্ট্রপতিও দু:খ প্রকাশ করেছেন। তিনি একমত পোষণ করেছেন যে আইন হওয়া প্রয়োজন। যেহেতু আইনটা সংবিধান আছে। আমি বিষয়টির দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি তিনিও মনে করেন যেন এটা নিয়ে বার বার কথা না ওঠে। একটা আইন থাকলে আইনের মাধ্যমে সুন্দরভাবে সবকিছু হবে। রাষ্টপতি একমত। তিনি নিজেও চান আইনটা দ্রুত হোক।
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে নির্বাচন কমিশনকে সম্পূর্ণ স্বাধীন ও কার্যকরভাবে গড়ে তুলতে সংবিধান অনুযায়ী আইন করার জোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ)।
আইন করার পক্ষে আইনমন্ত্রীও। কিছুদিন আগে এক অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছিলেন, ‘আইন করা উচিত আমিও বলি। আইন হবে। কিন্তু যদি ওই করোনার সময়ে সংসদ বসে, তবে আমরা সব সংসদ সদস্যদের ডাকি না। আমাকে বলা হয়েছিল, এই নির্বাচন কমিশনের ব্যাপারে একটি অর্ডিন্যান্স করে দেন। আমি বলেছি, সেটা সম্ভব না।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘এ রকম একটা আইন সংসদকে পাশ কাটিয়ে করতে আমি রাজি না।’ তিনি মন্ত্রী আরও বলেন, আগামী নির্বাচন কমিশন গঠন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি সংলাপ শুরু করেছেন। তিনি যে সিদ্ধান্ত দেবেন, সে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে। আইনের ব্যাপারে একটা কথা হচ্ছে, ১৪ ফেব্রুয়ারি এই নির্বাচন কমিশনের সময় শেষ হচ্ছে। সংসদ যখন একটা আইন করতে পারবে না, তখন সার্চ কমিটি এই কাজ করছে। সার্চ কমিটিতে ছয়জনের মধ্যে চার সদস্য সাংবিধানিক পোস্টধারী, বাকি দুজন সিভিল সোসাইটির। এখানে রাজনৈতিক দলের কেউ নেই।
আইন করার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগও। এরইমধ্যে আওয়ামী লীগের নেতারা বিভিন্ন সভা সমাবেশে আইন করার কথা তুলে ধরেছেন। তবে এখনই না আগামীতে আইন করার হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ। তিনি বলেছেন, খুব শিগগিরই নির্বাচন কমিশন গঠনে কাজ শুরু করব’। আমরা আশাকরছি হয়তো আগামী এক বছর বা কাছাকাছি সময়ে এটা করা সম্ভব হতে পারে।
আইনমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতাদের বক্তব্যে বিশ্লেষণ করে একথা অনুমেয় যে এবার আইন হচ্ছে না। হয়তো এই কমিশন সার্চ কমিটি দিয়ে করে পরবর্তি সময়ে আইন হতে পারে।
আইন করতে কি আসলে খুব বেশি সময়ের প্রয়োজন নাকি রাজনৈতিক দলগুলোর সদিচ্ছার অভাব এমন প্রশ্নে দুইজন বিশেষজ্ঞ মতামত দিয়েছেন। তাদের মতে রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের সুবিধা নিতেই আইন করতে রাজী হন না।
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘এটা তো অর্ডিন্যান্স করে করা যাবে না। এটা করতে হলে পার্লামেন্টে নিতে হবে। পার্লামেন্টে আলোচনা হবে তারপর এটা পাস হবে। সেইটার জন্য সময়টা বাড়াতে বলেছে। পার্লামেন্টে সেশনে কি আইন আসবে সেটা মন্ত্রণালয় প্রসেস করে। প্রসেস করার পর সেটা যাবে পার্লামেন্টারি কমিটিতে। সংসদীয় কমিটি অনুমোদন দিলে তারপর যাবে সংসদে এটা সময়ের ব্যাপার। যে প্রসেস আছে তার জন্য আইটনা করতে এক মাস যথেষ্ট না’।
অর্ডিন্যান্স করে করা যাবে না কেন এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অর্ডিন্যান্স করে কোনটা? এটা তো নির্বাচনের ব্যাপার, রাষ্ট্রীয় ব্যাপার। এটা তো ছোট খাটো ব্যাপার না, যে অর্ডিন্যান্স করে করা যাবে। এটা তারাহুড়োর বিষয় না।’
এবিষয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, কেন সময় নেই? আমরা তো সেটাই বুঝতে পারছি না। আমরা ড্রাফট করে আইন মন্ত্রীকে দিয়েছি। আইন ড্রাফট করতে একদিন, কি দুই দিন লাগে। এটা ৩-৪ পৃষ্ঠার একটা আইন। আমরা ড্রাফট করেছি। শামসুল হুদা কমিশনও একটা ড্রাফট করে গেছে। সময় নেই বলে যে কথা বলছে তারা এটা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।’
সংলাপে অংশগ্রহণকারী সকল দলই চান আইন হোক কিন্তু কেন হচ্ছে না আইন করলে কার ক্ষতি এমন প্রশ্নের জবাবে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘এবার করবে না তারা (আওয়ামী লীগ)। তারা পুরনো পথেই হাঁটবে। অনুগতদের দিয়ে নির্বাচন করতে চায়।’
আইন করলে কি অনুগতদের আসার পথ বন্ধ হয়ে যাবে বলে মনে করেন আপনি? এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, থাকে, কিন্তু একটু দুরহ। আইন করা হলে কিছু বাধ্যবাধকতা থাকে। স্বচ্ছতা থাকে। তাদের বিরুদ্ধে মানুষের অভিযোগ থাকলে সেটা তুলে ধরতে পারবে। যোগ্যতার মাপকাঠি নির্ধারিত থাকবে। আইন হলে তাদের হাতটা একটু বাঁধা থাকে।
তার মানে আপনি বলতে চাচ্ছেন রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের সুবিধা নিতেই এতোদিন আইন করেনি? জবাবে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আইনটা করতে চায় না কেন? সংবিধানের ৪৮ (৩) অনুচ্ছেদে আছে শুধু প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ আর প্রধান বিচারপতি নিয়োগ ছাড়া সবক্ষেত্রে রাস্ট্রপতিকে সিদ্ধান্ত নিতে হয় প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে। তাই রাষ্ট্রপতি কাকে নিয়োগ দেবেন তিনি সেটার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। প্রধানমন্ত্রী যাদের সুপারিশ করবেন রাষ্ট্রপতি তাই করবেন। অতীতেও তাই করেছে, এবারও তাই করবে। আইন করলে একটু বাঁধা সৃষ্টি হতে পারে। অতীতে যেগুলো করেছে সেগুলো পরীক্ষিত পথ। এই পথে প্রধানমন্ত্রী যাকে চাইবে তাকেই নিয়োগ করবেন। যেহেতু এই পথে ফল পেয়েছে, এবারও তাই করবে।’
স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি হলো এই সময়ে অনেক দল ক্ষমতায় ছিল তাহলে তারা আইনটি করেনি কেন? তার মানে আপনি বলতে চান দলগুলা নিজেদের সুবিধা নিতেই আইন করেনি? জবাবে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, হ্যাঁ, হ্যাঁ।
একটি আইন করতে যেসকল ধাপ অতিক্রম করতে হয়। প্রথমে আইনের খসড়া মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদন দেওয়া হয়। এরপর মন্ত্রিসভার অনুমোদিত খসড়া বিলটি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী সংসদে স্পিকারের অনুমতি নিয়ে উত্থাপন করেন। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী বিলটি উত্থাপনের পর ওই মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সংসদীয় কমিটিতে যাচাই-বাছাই করার জন্য প্রেরণ করেন। সংসদীয় কমিটি বৈঠকে বসে যাচাই-বাছাই করে বিলটি চূড়ান্ত করে পাসের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। এরপর সংসদীয় কমিটির চূড়ান্ত বিলটি পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী। সেখানে সংসদ সদস্যদের আলাপ আলোচনার ভিত্তিতে যদি কোন সংশোধনী থাকে সেগুলোসহ স্থিরিকৃত আকারে আইনটি পাস হয়।
সংবিধান অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের এখতিয়ার রাষ্ট্রপতির হাতে। এর আগে সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান ২০১২ সালে এবং বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ২০১৭ সালে অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করে সার্চ কমিটির মাধ্যমে সর্বশেষ দুই নির্বাচন কমিশন নিয়োগ দিয়েছিলেন।
সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদে বলা আছে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অনধিক চার জন নির্বাচন কমিশনারকে নিয়ে একটি নির্বাচন কমিশন থাকিবে এবং এ বিষয়ে প্রণীত কোনও আইনের বিধান সাপেক্ষে রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারকে নিয়োগ দেবেন।
সংবিধানের ১১৮ (৩) অনুচ্ছেদে বলা আছে, সংবিধানের বিধানাবলী-সাপেক্ষে কোন নির্বাচন কমিশনারের পদের মেয়াদ তাহারা কার্যভার গ্রহণের তারিখ হতে পাঁচ বৎসরকাল হবে।
কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন ইসি গঠনের আগে ২০১৬ সালের ১৮ ডিসেম্বর সংসদের বাইরে থাকা বিএনপির সঙ্গে নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে সেবার সংলাপ শুরু করেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। একমাস ধরে ৩১টি দলের সঙ্গে চলা ওই সংলাপ ২০১৭ সালের ১৮ জানুয়ারি শেষ হয়। সার্চ কমিটি গঠন করার পর সে বিষয়ে প্রজ্ঞাপন দেয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। ওই কমিটির কাজের সাচিবিক দায়িত্বও থাকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের হাতে।
এসএম/