সরকার খালেদাকে স্লো পয়জনিং করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে: টুকু
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, খালেদা জিয়া মানুষের কথা বলতেন বলেই তিনি এই সরকারের কাছে আতঙ্ক। এ জন্যই সরকার পরিকল্পিতভাবে তাকে জেলে রেখে স্লো পয়জনিং করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
তিনি বলেন, রাজপথ প্রকম্পিত করে আমাদের নেত্রীকে মুক্ত করতে হবে। গুলি খেতে হবে। এই আন্দোলনে যদি আমার দেশের মানুষের গুলি আমার শরীরে লাগে তবে আমি গর্বিত শহিদ। খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনে সামিল হয়ে যারা মারা যাবেন, তারা শহিদ। প্রতীকী নয়, আসল কাফনের কাপড় পরে জেলের তালা ভেঙে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে এবং দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে।
বুধবার (১২ জানয়ারি) সিলেটের টুকেরবাজারে বিএনপির সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার সুযোগ প্রদানের দাবিতে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির আহবায়ক কামরুল হুদা জায়গীরদার।
ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্রের মা, গণতন্ত্রের কান্ডারি খালেদা জিয়া জনগণের ভাষা বুঝেন। তিনি আজ পর্যন্ত যত জায়গা থেকে যতটা নির্বাচন করেছেন সবগুলো নির্বাচনে তিনি জয়লাভ করেছেন। আর খালেদা জিয়াকে যিনি বন্দী করে রেখেছেন তিনি নির্বাচনে সাদেক হোসেন খোকা ও মেজর মান্নানের কাছে পর্যন্ত পরাজিত হয়েছেন। আর পরাজিত হওয়ার পরে ঢাকায় আর নির্বাচন করেননি।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া জনগণের ভাষা বুঝতে পেরে সংসদীয় গণতন্ত্র উপহার দিয়েছেন। তিনি কেয়াটেকার সরকার দিয়েছিলেন এবং এর পরের নির্বাচনে পরাজিত হয়ে তিনি বিরোধী দলীয় নেত্রী হয়েছিলেন। একেই বলে গণতন্ত্র। তিনি চাইলে সেদিন আন্দোলন দমিয়ে ক্ষমতায় থাকতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি, কারণ তিনি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী।
সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির।
এদিকে, বিএনপির পূর্ব ঘোষিত এই সমাবেশে সকাল থেকে দলে দলে বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা আসতে শুরু করেন। বিএনপির সমাবেশকে ঘিরে সতর্ক অবস্থানে ছিলো পুলিশ। সবধরণের বিশৃঙ্খলা এড়াতে সমাবেশস্থলে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
ডিডি/এএস