আন্দোলন ঠেকাতে করোনার নামে সরকারের বিধিনিষেধ: রিজভী
শুধুমাত্র বিএনপির সভা সমাবেশ ঠেকাতে নতুন বিধিনিষেধ কি না তা নিয়ে জনগণ সংশয়ে আছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী।
মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে নয়াপল্টনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘শুধুমাত্র বিএনপির সভা-সমাবেশ ঠেকাতেই গতকাল জারি করা বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছে কি না তা নিয়েই জনগণের কাছে প্রশ্ন রয়েছে। কারণ সরকারের বিরুদ্ধে মানুষ জেগে উঠেছে এবং ১৪৪ ধারা ভেঙে সভা সমাবেশে যোগ দিতে শুরু করেছে মানুষ। এতে আতঙ্কিত সরকার। যতই চক্রান্তের জাল ফেলা হোক না কেন, এই অবৈধ সরকারের পতন ঠেকানো যাবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা দিয়ে সরকারবিরোধী আন্দোলন ঠেকানো যাবে না। আন্দোলন দমানোর জন্য নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা রাজনৈতিক মামলায় ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সাজা দেওয়া হচ্ছে।’ দ্বাদশ নির্বাচনকে সামনে রেখে এই সাজা দেওয়া বলে অভিযোগ করেন রিজভী।
সরকারের সমালোচনা করে বিএনপির মুখপাত্র বলেন, ‘টিকা ও করোনা সামগ্রী নিয়ে কেলেঙ্কারি ছাড়া আর কিছু দিতে পারেনি সরকার। সঠিক ব্যবস্থা নিতে পারলে করোনা সংক্রমণ বাড়ত না। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত দুই ডিজে টিকা দেওয়া হয়েছে ৩০ পার্সেন্ট। করোনা শুরু হয়েছে প্রায় দুই বছর। যদি শুরুতেই উদ্যোগ নিত সরকার, তাহলে প্রায় শতভাগ করোনা টিকা দেওয়া সম্ভব হতো। দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশই ৬০ ভাগের উপরে টিকা দেওয়া সম্পন্ন করেছে।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম, বিলকিস জাহান শিরিন, আব্দুস সালাম আজাদ, বেলাল আহমেদ প্রমুখ।
এমএইচ/এসএ/