কিসের সংলাপ: মির্জা ফখরুল
'আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে আবারও বিভিন্ন কলাকৌশল করছে। এরই ধারাবাহিকতায় রাষ্ট্রপতি সংলাপ ডেকেছেন। কিসের সংলাপ?; প্রশ্ন করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সেই সঙ্গে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিকদলগুলোর সাথে রাষ্ট্রপতির চলমান সংলাপকে অর্থহীন বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে শনিবার (৮ জানুয়ারি) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম এর উদ্যোগে মানব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সংলাপ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, 'এই সংলাপ দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল বর্জন করেছে। রাজনৈতিক দলগুলো পরিষ্কার করে বলেছে, এই সংলাপ করে কোন লাভ হবে না, যদি নির্বাচনকালীন সময়ে নিরপেক্ষ সরকার না থাকে। সে জন্য আমাদের স্পষ্ট কথা সবার আগে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন। পদত্যাগ করুন। নিরক্ষেপ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। এটাই একমাত্র পথ।'
জাতির উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ভাষণের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, '১৩ বছরে দেশের সাধারণ মানুষ দরিদ্র থেকে দরিদ্র হয়েছে। ৪ কোটি বেকার সৃষ্টি হয়েছে, ৬ কোটি লোক দারিদ্রসীমার নিচে বসবাস করছে। বড়লোক আরও বড়লোক হয়েছে। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের লোকদের পকেট ভারী হয়েছে।'
তিনি বলেন, 'খালেদা জিয়ার মুক্তি এখন গণদাবি। এই দাবি সরকারকে অবশ্যই মেনে নিতে হবে। আর যদি সরকার এ দাবি মেনে না নেয়, তবে গণদাবি অস্বীকার করার জন্য অতীতের সরকারগুলোর যে অবস্থা হয়েছিল, তাদের একই পরিণতি বরণ করতে হবে।'
মানব সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আব্দুস সালাম, আমান উল্লাহ আমান, মশিউর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম, গণ শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেইন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুন রায়, মহিলাদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা মাহমুদ, নাগরিক ঐক্য দলের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান প্রমুখ।
এমএইচ/কেএফ/