হুদা কমিশনকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে: রেজা কিবরিয়া
নির্বাচনী সহিংসতায় ১৫৭ টি মৃত্যুর দায় নির্বাচন কমিশন এড়াতে পারে না, মন্তব্য করে গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া বলেছেন, 'প্রতিটি হত্যাকান্ডের বিচার আমরা করবো। গণতন্ত্র হত্যার ষড়যন্ত্রের দায়ে এই কমিশনও বিচারের মুখোমুখি হবে।'
শুক্রবার (০৭ জানুয়ারি) নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণঅধিকার পরিষদের মানববন্ধন থেকে একথা বলেন তিনি।
সরকারের দুর্নীতি, লুটপাটের সমালোচনা করে ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, 'এরা (ক্ষমতাসীনরা) নিজের দেশের গণতন্ত্র হত্যা করে জনগণের সম্পদ লুট করে বিদেশে স্থায়ী হওয়ার আশায় আছে। তবে এখন সে সুযোগও এদের জন্য বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। আইনের শাসন আছে এমন দেশে স্থায়ী হওয়ার যে স্বপ্ন তাদের ছিলো তা পূরণ হবে না। তাদের জায়গা হবে উত্তর কোরিয়া, মায়ানমারের মতো এমন দেশে যেখানে আইনের শাসন নাই। যারা দেশের স্বার্থ ক্ষুন্ন করে বিদেশের দালালী করছে ওরাই আসল দেশদ্রোহী। এই প্রত্যেকটা দালাল বিপদে পড়বে এবং পড়ছে তা আমরা দেখতে পাচ্ছি, এই দালালদের শক্ত বিচার হতে হবে।'
মানববন্ধনে ডাকসুর সাবেক ভিপি গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর বলেন, সাম্প্রতিক ইউপি নির্বাচনে দেশের বিভিন্ন স্থানে যে সহিংসতা ঘটছে তার একটা স্বাধীন তদন্ত হতে হবে। যেখানে যারা দায়ী তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে। শুধুমাত্র মাফিয়াদের ক্ষমতার খায়েশের জন্য আমরা এতগুলো মানুষের মৃত্যুকে মানতে পারি না। ভারতের পৃষ্ঠপোষকতায় ২০১৪ সালে এই সরকার বিরোধী দলবিহীন নির্বাচন করেও তথাকথিত জঙ্গিবাদ, মৌলবাদের কথা বলে পশ্চিমাদের সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় ছিলো। পশ্চিমারাও এখন তাদের থেকে সরে যাচ্ছে। কারণ তারা বুঝতে পারছে, এই সরকারই জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক, এরাই সবচেয়ে বড় সাম্প্রদায়িক।
এ বছরই এ সরকারের বিদায় ঘন্টা বাজবে। তাই আওয়ামী লীগ, ছাত্র লীগ, যুব লীগের নেতা-কর্মীদের বলবো জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়ে জনতার কাতারে এসে দাঁড়ান। সরকারকে বলবো, চিঠি লিখে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা যাবে না। সামনে আরো বিপদ আসবে। একটা অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন দিন, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনুন, আপনারাও সেইভ, দেশও ভালো থাকবে'।
প্রশাসনের উদ্দেশ্য নুর বলেন, 'মাফিয়াদের দায় নিয়ে আপনারা নিজেদের বিপদ ডেকে আইনেন না, জনগণের পাশে থাকুন'।
গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সদস্য সচিব সাইফুল্লাহ হায়দারের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সদস্য সচিব আতাউল্লাহ, যুগ্মআহবায়ক সোহরাব হোসেন, শাকিল উজ্জামান, সাদ্দাম হোসাইন, সহকারী আহবায়ক তামান্না ফেরদৌস শিখা, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন,সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদিব, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ, সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হোসেল রানা সম্পদ প্রমূখ।
এসএম/এএস