এবার ইভিএমকে ভোট চুরির যন্ত্র বললেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা
নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতা।
আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংসদীয় আসন রংপুর জেলার পীরগঞ্জে এ ঘটনা ঘটেছে। পীরগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এ জেড এম সেকান্দার আলী মন্ডল। ফেসবুক আইডিতে তার নাম ‘জি এম সেকেন্দার’ ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন তুলে নিজের ফেসবুকে লিখেছেন ‘পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বড় চোরটার নাম ইভিএম।’
আর একটি স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন ‘ইভিএম মানেই ১০০ শতাংশ ভুয়া যাকে মন চায় তাকেই জিতানো সম্ভব।’
তার এ স্ট্যাটাস মুহূর্তে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। পুরো নাম এ জেড এম সেকান্দার আলী মণ্ডল। তিনি রংপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে পীরগঞ্জ ৮ নং আসনের সদস্য প্রার্থী ছিলেন। তার নির্বাচনী প্রতীক ছিল বৈদ্যুতিক পাখা।
সোমবার (১৭ অক্টোবর) সারাদেশে জেলা পরিষদগুলোতে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। তারই ধারাবাহিকতায় পীরগঞ্জেও ভোট হয়।
নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর স্বেচ্ছাসেবক লীগের এই নেতা তার ফেসবুকে লেখেন ‘প্রার্থী হিসেবে ভোট গণনার সময় সেন্টার উপস্থিত থাকার দাবি করেছিলাম কিন্তু দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তারা থাকতে দিলো না। অন্য একটি পোস্টে লিখেছেন পীরগঞ্জের মানুষের বিবেকের কাছে ছেড়ে দিলাম আমি সেকেন্দার কতটা ভোট পাওয়ার যোগ্যতা রাখি যারা আমাকে ভোট দিয়েছে তাদের জিজ্ঞেস করুন।’
তিনি আরও লেখেন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় হারজিত থাকবেই আমি মেনে নিলাম কিন্তু আমাকে যে মানুষগুলো ভোট দিল সেই ভোটগুলো কোথায় গেল? পারবেন এর জবাব দিতে? তার এই কথাগুলো ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন নিয়ে নতুন করে সমালোচনার খোরাক জুগিয়েছে।
এ বিষয়ে তার বক্তব্যের জন্য মোবাইল ফোনে বারবার ফোন করেও সাড়া করেননি। পরবর্তীকালে খুদে বার্তা পাঠালেও তিনি জবাব দেননি।
ফেসবুকে এ ধরনের মন্তব্য সংগঠন বিরোধী বলে দাবি করেছেন রংপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম।
তিনি ঢাকাপ্রকাশ-কে মোবাইল ফোনে বলেন, ‘নির্বাচনে হেরে গেলে মানুষ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মন্তব্য করে থাকে। তবে আমি নিজেও জেলা পরিষদের মেম্বর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে গেছি। তবে আমি দেখেছি অত্যান্ত সুষ্ঠু এবং সুন্দরভাবে ভোট হয়েছে। ভোটে কোনো কারচুপি কিংবা ভোটের পরিবেশ নিয়ে কারও সন্দেহ নাই। ইভিএম কার্যকর পদ্ধতি, এখানে অন্য কিছু হওয়ার সুযোগ নাই।’
‘তারপরও তিনি (সেকেন্দার) যেটা বললেন বিষয়টা নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলব। সংগঠনের পক্ষ থেকে যেটা করার আমি করব। তিনি আপত্তিকর কথা বলেছেন, আপত্তিকর শুধু না, এটা একটা মিথ্যা অভিযোগ। অবশ্যই সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আমি এখনই আমার সাধারণ সম্পাকের সঙ্গে কথা বলে তার বাপারে খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেব। সংগঠনের পক্ষে যে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার নিশ্চয়ই নেব।’
এসএম/এমএমএ/