শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

কেন্দ্রীয় নেতাদের ঘরে বিদ্রোহীদের জয়জয়কার

তৃণমূল আওয়ামী লীগে হ য ব র ল অবস্থা। তৃণমূল থেকে ঘাম ঝরিয়ে জেলার নেতা; আর জেলা থেকে কেন্দ্রীয় নেতা হওয়ার চর্চা দলটির পুরোনো ঐতিহ্য। তবে বর্তমানে নিজ এলাকায় কেন্দ্রীয় নেতাদের কদর কমছে। নিজের এলাকায় জেলা ও থানা কমিটির নেতারা শুনছেন না কেন্দ্রীয় নেতাদের কথা। এর জলন্ত উদাহরণ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনগুলো। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একাধিকবার কড়া নির্দেশনা দিলেও নৌকার হয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে নামেননি কেন্দ্রীয় নেতাসহ জেলার নেতারা। এতে কেন্দ্রীয় প্রভাবশালী নেতাদের এলাকাতেও জয় তুলতে পারেনি দলীয় প্রার্থীরা।

এই নির্বাচনেও বিভিন্ন স্থানে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রাণহানীর ঘটনাও ঘটেছে। এসব সহিংসতার বেশির ভাগই দলীয় প্রার্থী বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে। ফলে ্দলীয় কোন্দলও প্রকাশ্যে চলে এসেছে স্থানীয় সরকার নির্বাচন ঘিরে।

স্থানীয় সরকার নির্বাচনের পঞ্চম ধাপ শেষে ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের জয়জয়কার। অনেক স্থানে কেন্দ্রীয় সিনিয়র নেতাদের সংসদীয় আসনগুলোতে বিদ্রোহী প্রার্থীরা জয় পেয়েছে। চতুর্থ ধাপে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ৯টিতেই আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা পরাজিত হয়েছেন। পরাজিত ৯ প্রার্থীর মধ্যে জামানত হারিয়েছেন আওয়ামী লীগের ৩ প্রার্থী। এই এলাকার সাবেক সংসদ সদস্য মো. আব্দুর রহমান। তিনি বর্তমান আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য।

এরআগে গত ১১ নভেম্বর ও ২৮ নভেম্বর দ্বিতীয়, তৃতীয় ধাপে ইউনিয়ণ পরিষদ নির্বাচনেও ফরিদপুরে নৌকার ভরাডুবি হয়েছে। তখন ফরিদপুরের ভাঙ্গা ও চরভদ্রাসন উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রার্থীদের ভরাডুবি হয়েছে। ১৫টি ইউপির মধ্যে ১৪টিতেই স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়লাভ করেছেন। মাত্র ১টিতে নৌকা বিজয়ী হয়েছে। এই সংসদীয় আসনেও নৌকার প্রার্থী হিসেবে সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন কাজী জাফর উল্লাহ। তিনিও বর্তমানে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য। ফরিদপুরে আরও একজন সভাপতিমন্ডলীর সদস্য রয়েছেন। সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচত ফরিদপুর যেন এখন নৌকার জন্য অথৈ সমুদ্র।

একই অবস্থা মাদারিপুর। সেখানে সভাপতিমন্ডলীর সদস্য শাজাহান খান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাবুদ্দীন মোল্লা। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এবং প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, সাবেক মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসন। এছাড়া সংসদের প্রধান হুইপ নূর ই আলম চৌধুরী। কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে স্থানীয় নেতাদের মতানৈক্য না হওয়া সেখানে নৌকা প্রতীক বরাদ্দ দিতে পারেনি কাউকে। তাই মাদারিপুরকে সকলের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। তাতেও দেখা গেছে নিজেদের গ্রুপিং এর কারণে সেখানে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।

সিলেট-৬ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদের সংসদীয় আসনেও নৌকার ভরাডুবি। সেখানে ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে মাত্র ৩টিতে বিজয়ী হয়েছে নৌকার প্রার্থী। বাকি ৭টির দুটিতে জামায়াত ইসলাম এবং ৫টিতে নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন।

পঞ্চম ধাপে কুষ্টিয়ার ১১ ইউনিয়নের ১০টিতেই বিদ্রোহী প্রার্থীর জয়। একটিতে জয় পেয়েছে নৌকা।

এর আগে কুষ্টিয়ার কুমারখালী ও খোকসায় চতুর্থ ধাপের ২০টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ৭টি ইউনিয়নে বিজয়ী। এছাড়া বিএনপি ১টিতে এবং স্বতন্ত্র ৮ প্রার্থী বিজয়ী হয়েছে। এখানেও বিদ্রোহী প্রার্থীদের জয়জয়কার।

এর আগে কিশোরগঞ্জে তিন উপজেলা জেলা ভৈরব, কটিয়াদী ও হোসেনপুরের ২২টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত ৯ জন ও স্বতন্ত্র ১৩জন প্রার্থী বিজয়ী হন। এছাড়া ভৈরব উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত ৪জন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ৩জন বিজয়ী হয়েছেন।

বিদ্রোহী প্রার্থীদের জয়জয়কার সবখানেই। বিষয়টি নিয়ে উৎকণ্ঠায় আওয়ামী লীগ। বার বার বলার পরেও কেন বিদ্রোহী দমানো যাচ্ছে না; এসব বিষয়ে পর্যালোচনা করতে স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভায় আলোচনা হতে পারে বলে দলীয় সূত্রে জানাগেছে। 

এবিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘দলের শৃঙ্খলা ধরে রাখার জন্য কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যারা বিদ্রোহী হয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে বিদ্রোহী প্রার্থীদের বেশিরভাগ আমাদের দলের। এখানে হয়তো আমাদের প্রার্থী মূল্যায়নে কিছুটা ভুল আছে।’

বিদ্রোহী প্রার্থী নিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘নির্বাচনে সবগুলো রাজনৈতিক দল যদি অংশ গ্রহণ করতো সেক্ষেত্রে হয়তো বিষয়টি একটু ভিন্ন রকম হতো। সেখানে একটি প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ নির্বাচন হতো, তীব্র প্রতিযোগীতামূলক নির্বাচন হতো সেই ক্ষেত্রে কিন্তু আমাদের দলের বিদ্রোহী প্রার্থীর সংখ্যা হয়তো কমে আসতো। এখানে প্রতিযোগীতামূলক বিরোধী দল মাঠে না থাকার কারণে অনেকে নির্বাচন করার উৎসাহ পাচ্ছে। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন এবং প্রতিযোগীতামূলক নির্বাচন করার জন্য দরকার হলো সকলের অংশগ্রহণ’।

বিদ্রোহী প্রার্থী দলের জন্য দুশ্চিন্তার কারণ বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলের মধ্যে বিদ্রোহী প্রার্থীর সংখ্যা বাড়ছে, যেহেতু প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলগুলো অফিসিয়ালি অংশগ্রহণ করছে না, আন-অফিসিয়ালি অংশ গ্রহণ করছে ফলে একটু বিদ্রোহী প্রার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। আবার যদি পুরোপুরি দমন করি তাহলেও বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হয়ে যাচ্ছে। আমরা এখন পড়ে গেছি শাখের কড়াতের মধ্যে আছি এদিকও কাটে ওদিকেও কাটে। বিদ্রোহী হওয়াও খারাপ। তাই নির্বাচন শেষ হলে দল থেকে স্ট্যাডি হওয়া উচিত।

 

এসএম/

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত