শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫ | ১৬ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

সরকার জন-বিস্ফোরণ ঠেকাতে পারবে না: মির্জা ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বর্তমান সরকার বিরোধীদলহীন রাষ্ট্রব্যবস্থা কায়েমের মাধ্যমে নিজেদের অবৈধ ক্ষমতাকে দীর্ঘকাল ভোগ করার বাসনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও দলীয় সন্ত্রাসীদের দিয়ে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে লাগামহীনভাবে বাধা প্রদান করছে।

সোমবার (১০ অক্টোবর) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।

তিনি বলেন, সরকারের মদদে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গুলি চালিয়ে বিএনপি নেতা-কর্মীদের হত্যা, গুরুতর আহত, বানোয়াট মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার এবং বিএনপি’র শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশ পণ্ড করাকে নিত্যদিনের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড হিসেবে গণ্য করছে। সাম্প্রতিককালে বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ৫ জন নেতা-কর্মীকে নির্দয়ভাবে গুলি চালিয়ে হত্যার পরও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আরও রক্ত ঝরাতে মেতে উঠেছে। তাই আজকেও গাজীপুরে বিএনপির শান্তিপূর্ণ শোক র‌্যালিতে পুলিশ গুলি চালিয়ে যুবদল নেতা জাকির হোসেনকে গুরুতর আহত করে, তিনি এখন মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশ সেখানে গুলিবর্ষণ ছাড়াও টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও বেপরোয়া লাঠিচার্জের মাধ্যমে ১৫ জনের অধিক নেতাকর্মীকে গুরুতর জখম করেছে।

পুলিশ এই অমানবিক ও নিষ্ঠুর আচরণ করেই থেমে থাকেনি, উল্টো সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু সংখ্যক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করে। এ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য মতে যুবদল নেতা মারুফ, মাসুম, নাসির, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আরিফ, ছাত্রদল নেতা শাকিল ও মহিলা দল নেত্রী ডালিয়াসহ কমপক্ষে ১৫ জনের অধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, গণধিকৃত আওয়ামী সরকার জনবিস্ফোরণ দেখে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় এখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর পুরোপুরি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে নিঃশব্দ পরিবেশ সৃষ্টি করতেই নিশিরাতের সরকার বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোকে স্তব্ধ করতে উঠেপড়ে লেগেছে। আর সেজন্যই তারা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে কব্জায় নিয়ে বিএনপি এবং বিরোধী দলগুলোর সভা-সমাবেশসহ বিভিন্ন গণতান্ত্রিক কর্মসূচির ওপর বেপরোয়া হামলা শুরু করেছে। আজ গাজীপুরে শান্তিপূর্ণ শোকর‌্যালিতে পুলিশের হামলার ঘটনা সেই ধারাবাহিকতারই অংশ।

মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের দ্বারা নির্বাচিত নয় বলেই জনস্বার্থের কোন দাবী বা অধিকারকে পরোয়া করে না। সরকার তাদের কৃতকর্মের জন্য এখন পুরোপুরি জনবিচ্ছিন্ন। তবে শত বাধা ও জুলুম-নির্যাতন চালিয়েও বর্তমান সরকার জন-বিস্ফোরণ ঠেকাতে পারবে না, ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনকে দমাতে পারবে না। বরং সরকারের পতন অনিবার্য।

তিনি বলেন, ‘আমি গাজীপুর জেলা বিএনপি’র উদ্যোগে আয়োজিত আজকের শান্তিপূর্ণ শোকর‌্যালিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিবর্ষণ, টিয়ারশেল নিক্ষেপ, লাঠিচার্জ এবং নেতা-কর্মীদেরকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় তীব্র্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানাচ্ছি। গ্রেপ্তারকৃত নেতা-কর্মীদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি এবং আহত নেতা-কর্মীদের আশু সুস্থতা কামনা করছি।’

এমএমএ/

Header Ad
Header Ad

টাঙ্গাইলে সংস্কার দিয়ে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণের দাবি সুজনের  

ছবিঃ ঢাকাপ্রকাশ

অবনতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন এবং সংস্কারের মধ্যে দিয়ে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)। এ সময় মানববন্ধনে সুজন ২৮টি দাবি-দাওয়া উপস্থাপন করেন।

শনিবার (০১ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০ টায় ভূঞাপুর-তারাকান্দি আঞ্চলিক মহাসড়কের ভূঞাপুর সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন- দেশজুড়ে সন্ত্রাস, ছিনতাই, খুন ও ধর্ষণ বেড়ে গেছে। পাশাপাশি দ্রব্য মূল্যে দিনদিন উর্ধ্বমুখি। যা বর্তমান সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হচ্ছে। এসব অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডরোধে সরকারকে আরও কঠোর হওয়ার আহবান জানান সুজনের নেতৃবৃন্দরা।

উপজেলা সুজনের সভাপতি অধ্যাপক মির্জা মহীউদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে ও সম্পাদক সন্তোষ কুমার দত্তের সঞ্চালনায় মানববন্ধনর বক্তব্য রাখেন- সাংবাদিক শাহ আলম প্রামাণিক, অধ্যাপক আখতার হোসেন খান, প্রধান শিক্ষক আব্দুস সালাম, সুজন সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক, সুজনের পৌর কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হালিমুর রিপন, সাংবাদিক মিজানুর রহমান, ফরমান শেখ প্রমুখ।

এ সময় সামাজিক সেচ্ছাসেবী সংগঠন ইবরাহীম খাঁ’র আলোকিত ভূঞাপুর, প্রতিভা ছাত্র ও যুব সংগঠন, সেবক টাঙ্গাইলসহ স্থানীয় বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

এনসিপির আত্মপ্রকাশের অনুষ্ঠানে সরাসরি ডাক পায়নি আবু সাঈদের পরিবার

ছবিঃ ঢাকাপ্রকাশ

‘তাদের কারো সময় হয়নি আমাদের ফ্যামিলিকে আমন্ত্রণ জানানোর’ ছাত্রদের নতুন দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠান শেষে এমন আক্ষেপ আবু সাঈদের ভাই আবু হোসেনের। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন তিনি, যা ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে।

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় আবু সাঈদের ভাই আবু হোসেন তার ফেসবুক একাউন্টে এই স্ট্যাটাস দেন।

পোস্টে তিনি বলেন, ‘মনে অনেক দুঃখ ব্যথা নিয়ে পোস্ট করতে বাধ্য হলাম। সকল শহীদদের প্রতি সম্মান রেখে বলছি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে অন্য শহীদ ফ্যামিলিদের মাধ্যমে আমন্ত্রিত হয়েছি। তাদের কারো সময় হয়নি আমাদের ফ্যামিলিকে আমন্ত্রণ জানানোর এবং অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার পর কাউকে খোঁজখবর নেয়নি অথচ অন্যান্য শহীদ ফ্যামিলিদের কে নিয়ে টানাটানি।’

তিনি আরও বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলেন প্রথম শহীদ আবু সাঈদ। যার আত্মত্যাগের কারণে কোটা সংস্কার আন্দোলনে গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়। তৈরি হয় নতুন বাংলাদেশ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কয়জন সমন্বয়ক শহীদ আবু সাঈদের ফ্যামিলির খোঁজ নিয়েছে। অথচ অনেক সাধারণ মানুষ এবং অনেক রাজনৈতিক দলের ব্যক্তিবর্গ আমাদের খোঁজ নিয়েছে। এখনও এই অবস্থা ভবিষ্যৎতের কথা বাদ দিলাম‌। যাই হোক নতুন রাজনৈতিক দলের সফলতা কামনা করছি।’

উল্লেখ্য, আজ শুক্রবার আত্মপ্রকাশ করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে গঠিত নতুন রাজনৈতিক দল। দলের নাম রাখা হয়েছে ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’ (এনসিপি)। নতুন দলের আত্মপ্রকাশ ঘিরে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে বড় জমায়েতের আয়োজন করা হয়েছিল।

Header Ad
Header Ad

নির্বাচনে প্রমাণ হবে নাগরিক পার্টির জনসমর্থন: বিএনপি  

ছবি কোলাজঃ ঢাকাপ্রকাশ

নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এখন জনসমর্থন। শুধু আত্মপ্রকাশই যথেষ্ট নয়। জাতীয় নির্বাচনে প্রমাণ হবে দলটির জনপ্রিয়তা। এমনটাই মনে করেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। তবে, রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন দেশের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করতে না পারলে আগামী জাতীয় নির্বাচনে ভোটের মাঠে জায়গা করা কঠিন হবে নাগরিক পার্টির।

রক্ত দিয়ে যারা অবরুদ্ধ স্বাধীনতাকে ফিরিয়ে দিয়েছেন জনতার হাতে, তাদের নেতৃত্বেই নতুন এই রাজনৈতিক দল। বিপ্লবীদের শপথ, স্বৈরতন্ত্রের কবর রচনা করে গণতন্ত্রের পথে হাটবে বাংলাদেশ। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টায় শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান। বিভাজনের রাজনীতি পরিহার করে ঐক্যবদ্ধ রাজনীতির শপথ নেন নেতারা।

তবে দলটি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মূলধারার রাজনৈতিক দলের নেতারা। বিএনপি মনে করে আগামী নির্বাচন ঘিরে জনসমর্থনই দলটির সামনে বড় চ্যালেঞ্জ।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

টাঙ্গাইলে সংস্কার দিয়ে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণের দাবি সুজনের  
এনসিপির আত্মপ্রকাশের অনুষ্ঠানে সরাসরি ডাক পায়নি আবু সাঈদের পরিবার
নির্বাচনে প্রমাণ হবে নাগরিক পার্টির জনসমর্থন: বিএনপি  
জেলেনস্কিকে ট্রাম্পের কাছে ক্ষমা চাইতে বললেন রুবিও  
ভোলায় একদিন আগেই রোজা রাখছেন ১০ গ্রামের মানুষ  
কসবায় বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
হাসিনাকে পাগল বলিয়েন না, তিনি উন্মাদ: শামসুজ্জামান দুদু  
বিএনপি জনগণের দল, জনগণই বিএনপির শক্তি  
অভ্যুত্থানে আহত ১৪০১ জনকে ‘জুলাই যোদ্ধা’র স্বীকৃতি  
সন্ধ্যায় জানা যাবে দেশে রমজান শুরু কবে  
এই মুহূর্তে সংসদ নির্বাচন হলে বিএনপি ছাড়া কেউ নির্বাচিত হবে না: টুকু  
জেলেনস্কিকে হোয়াইট হাউস থেকে বের করে দিলো ট্রাম্প
চাঁদ দেখা গেছে, সৌদি আরবে শনিবার থেকে রোজা শুরু
রমজানে দিনে হোটেল-রেস্টুরেন্ট বন্ধসহ ‘অশ্লীলতা’ বন্ধের আহ্বান জামায়াত আমিরের
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ব্যর্থতায় ইংল্যান্ডের অধিনায়কত্ব ছাড়লেন বাটলার
স্বামীকে হত্যার পর বুকে ‘সরি জান, আই লাভ ইউ’ লিখে আত্মহত্যা
শিল্পকলার মহাপরিচালক পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা জামিল আহমেদের
অবৈধ বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থার নির্দেশ অমিত শাহর
ক্ষমতায় কে যাবে, তা ভারত নয়, নির্ধারণ করবে বাংলাদেশ: হাসনাত
নতুন দলের সঙ্গে আলোচনার দরজা খোলা থাকবে: জামায়াতের সেক্রেটারি