বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫ | ২০ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ সাক্ষাৎকার

স্বাধীনতা বিরোধীদের প্রধান টার্গেট ছাত্রলীগ: লেখক

আজ ৪ জানুয়ারি ২০২২ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। ১৯৪৮ সালের এই দিনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছাত্রদের নেতৃত্বদানকারী সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের এই অঙ্গ সংগঠনটি। নানা সমালোচনা ঝড়ঝাণ্ড পেরিয়ে ছাত্রলীগের এই পদচারণা কেমন ছিল। ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি দাঁয়িত্ব নেওয়ার পর নেতিবাচক সমালোচনা থেকে ছাত্রলীগ কি ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছে? ছাত্রলীগ কি তার আদর্শের জায়গায় রয়েছে? এসব প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য্য।

ঢাকাপ্রকাশ: ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় নানা অভিযোগ ওঠে এবং নানা নেতিবাচক সমালোচনা হয় বিষয়টি কীভাবে দেখছেন?

লেখক ভট্টাচার্য্য: যারা আওয়ামী লীগের বিরোধী তারা বাংলাদেশের রাষ্ট্রের বিরোধী। বাংলাদেশের মূলনীতি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র বিরোধী যারা তারা কিন্তু প্রথম টার্গেট হিসেবে ছাত্রলীগকে বেছে নেয়। তারা সব সময় ছাত্রলীগকে বিতর্কিত করার জন্য, ছাত্রলীগকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য, বিভিন্ন বিতর্কের জন্ম দেয়। যখনই কোনো উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বা  ইতিবাচক কর্মকাণ্ড জনগণের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বড় পদক্ষেপ সরকার গ্রহণ করে, তখনই এই স্বার্থন্বেষী মহল স্বাধীনতা বিরোধরা ছাত্রলীগের বিপক্ষে অবস্থান নেয়। উন্নয়ন প্রকল্পগুলো যাতে না হয়, উন্নয়ন কাজ যেন বানচাল করতে পারে। যারা সরকারকে এবং বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র করতে কাজ করে, তারাই ছাত্রলীগকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য বড় ভূমিকা রাখে।

ছাত্রলীগ যেভাবে পরিচালিত হয় সেখানে ছাত্রলীগের কারো ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত বা স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করার সুযোগ নেই। যেখানে আমরা নতুন কমিটি করি না কেন, আমরা যাচাই বাছাইয়ের মাধ্যমে গঠণতন্ত্র অনুসরণ করে কমিটি গঠন করে থাকি। বিতর্কিতদের কেন নেব? তাদের নিলে সংগঠনই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সংগঠন ক্ষতিগ্রস্ত হলে নেতৃত্ব প্রশ্নবিদ্ধ হবে। আমরা আমাদের নেতৃত্বের জন্য হলেও এই চেয়ারের মর্যাদা বজায় রাখার জন্য হলেও আমাদের জ্ঞানত কোন ধরনের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড যারা করে তাদের প্রশ্রয় দেই না। কিংবা বিতর্কিত কাউকে আমরা কোনো পদে না দেয়ারই সর্বোচ্চ চেষ্টা করে থাকি। কিন্তু সবখানে কমিটি করার ক্ষেত্রে একের অধিক যোগ্য প্রার্থী থাকে। যেহেতু সকলেই সভাপতি সেক্রেটারি হতে চায়। এই দুইটা পদ যেহেতু সবাইকে দেওয়া সম্ভব না। তাছাড়া দেখবেন প্রত্যেকটা ইউনিটে ১০ জনের বেশি যোগ্য প্রার্থী থাকে। আমাদের সাংগঠনিক নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যেসকল নির্দেশনা দেয়, সেই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করার জন্য যেমন সদিচ্ছা দরকার তেমন কিন্তু সেই ক্ষমতা বা যোগ্যতাও থাকা দরকার। সেই যোগ্যতাগুলোকে প্রাধান্য দেই আমরা। স্থানীয় আওয়ামী লীগসহ সংসদ সদস্য কিংবা আওয়ামী লীগের যারা অভিভাবক আছেন, সাবেক নেত্রীবৃন্দ আছেন, তাদের সঙ্গে কথা বলে সঙ্গে সমন্বয় করে কমিটি ঘোষণা করি। যেখানে বিতর্কিত কেউ আসার সুযোগ নেই। যারা কাঙ্খিত পদ পায় না, তারাই অপরাজনীতি করে। তাদের প্রভাবে বিভিন্ন ধরণের প্রচারণা করা হয়, যেন ছাত্রলীগকে একটু বিতর্কিত করা যায়। যেন তারা তাদের সুদুর প্রসারী যে ষড়যন্ত্র সেটা বাস্তবায়ন করতে পারে।

ঢাকাপ্রকাশ: ছাত্রলীগ কি বিতর্কিত অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছে?

লেখক ভট্টাচার্য্য: আমরা যখন দায়িত্ব পাই তখন দেখেছি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কিছু কর্মকাণ্ড বা ছাত্রলীগের তৎকালিন নেতৃত্বের কিছু প্রশ্নবিদ্ধ আচারণ। যেগুলো বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে এবং সর্বোপরি শুধু মাত্র আওয়ামী লীগের বাইরের লোকজনই না, আওয়ামী লীগের ভেতরের লোকজনও এমনকি ছাত্রলীগের লোকজনও সেসব কর্মকাণ্ড নিয়ে বিভিন্ন সময় প্রশ্ন তুলেছে। যেসব কারণে ছাত্রলীগ বিতর্কিত হয়েছিল যেসব কারণে বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিয়ে মানুষ সমালোচনা করার সুযোগ পেয়েছিল সেই কারণগুলোকে চিহ্নিত করে আমরা দায়িত্ব পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সমাধান করতে চেষ্টা করেছি এবং আমি মনে করি সেটা সাফল্যের সাথেই করতে পেরেছি। কিন্তু সাংগঠনিক কাঠামো মজবুত করার জন্য কিংবা তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত সম্পূর্ণভাবে সাংগঠনিক পদ্ধতি অবলম্বন করে তৃণমূল পর্যন্ত বাস্তবায়ন করা আমাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি। করোনা মহামারীর কারণে যখন সবকিছু বন্ধ, তখন তো কিছুই করতে পারিনি। ছাত্রলীগ হচ্ছে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের নিয়ে ছাত্র সংগঠন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যখন বন্ধ থাকে, হলগুলো বন্ধ ছিল যে কারণে আমরা কোনো নির্দেশনা দিতে পারি নাই। গ্রামে যে যেখানে ছিল সেখান থেকেই ছাত্রলীগের মাধ্যমে সমন্বয় করে সেই এলাকার মানুষের সমস্যাগুলো সমাধানে কাজ করেছি। এখন যেহেতু করোনা মহামারী মোকাবিলা করে আবার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিয়ে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ক্যাম্পাসগুলো আবার শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখোরিত হয়েছে। এখন আবার প্রচলতিন নিয়মানুসারে আমাদের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড শুরু করেছি। ইতোমধ্যে কয়েকটি সম্মেলন করেছি। চলতি মাসে (জানুয়ারি) এবং সামনের মাসেও (ফেব্রুয়ারি) অনেকগুলো তারিখও নির্ধারণ করা আছে। সুতরাং বাংলাদেশ ছাত্রলীগ যেভাবে চালালে সাংগঠনিক দক্ষতা বৃদ্ধি পায় এবং আমাদের কর্মী বাহিনী এবং সাধারণ জনগণের কাছে ছাত্রলীগ যেন প্রশংসা পায় কোন বিতর্কের জন্ম না দেয় সেই আশা নিয়ে সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছি।

ঢাকাপ্রকাশ: ছাত্রলীগ কী শিক্ষার্থীদের কাছে অনুকরণীয় সংগঠন?

লেখক ভট্টাচার্য্য: অবশ্যই। বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের অনুকরণীয় সংগঠন যদি থেকে থাকে সেটা হচ্ছে ছাত্রলীগ। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ একমাত্র সংগঠন যেটা ঐতিহ্যগতভাবে এবং ঐতিহাসিকভাবে বাংলাদেশের পক্ষে, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সংগঠন। ছাত্রলীগ এই দেশের কাজ করার জন্য কিংবা ভবিষ্যত প্রজন্মের নেতৃত্ব তৈরি করার জন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সব থেকে বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ প্লাটফর্ম হিসেবে আমরা বিবেচনা করি। ছাত্রলীগের মাধ্যমেই কেবলমাত্র একটি ছাত্র তার রাজনৈতিক চর্চার মাধ্যমে নিজেকে পূর্ণ নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার সর্বোচ্চ সুযোগ ছাত্রলীগের মাধ্যমে পায়। সেজন্য আমি মনে করি ছাত্রলীগ শিক্ষাথীদের কাছে অনুকরণীয়।

ঢাকাপ্রকাশ: কোনো কোনো সংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ সংগঠন করার জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কাছে আবেদন করার চিন্তা করছে? এবিষয়ে আপনাদের অবস্থান কী?

লেখক ভট্টাচার্য্য: ২০১৩ সালে যখন গণজাগরণ মঞ্চ সৃষ্টি হয়েছিল। যখন বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পক্ষে ছাত্রলীগসহ প্রগতিশীল মানুষ, অসাস্প্রদায়িক মানুষ যখন মাঠে নেমেছিল কিংবা তাদের অনলাইন প্লাটফর্মে বা বিভিন্ন ব্লগের মাধ্যমে হোক যারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পক্ষে বা রায় বাস্তবায়নের পক্ষে কাজ করেছে ওই সময়ও এই গোষ্ঠি একই কাজ করেছে। তারা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বিভিন্ন বানোয়াট তথ্য এবং বিভিন্ন প্রেক্ষাপট তুলে জাতিসংঘের উদ্দেশে পিটিশন রিট করেছিল যে ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে যেন প্রমাণিত করা হয়। কিন্তু আমরা দেখতে পারি যে তার কিছুদিন পরেই বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘ থেকে। সুতরাং এটা অনেকেই চেষ্টা করবে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে যারাই অবস্থান করার চেষ্টা করুক তাদেরকে আগে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে অবস্থান করতে হবে, তারপর তারা আওয়ামী লীগ কিংবা রাষ্ট্রীয় স্বার্থে বিরুদ্ধে দাঁড়ায়। সুতরাং ছাত্রলীগ সকলের প্রধান টার্গেট। এজন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধীরা একটু বেশি বিচলিত। তারা তাদের অপকর্মগুলো যেভাবে চালাবে আমরাও সেটা সংঘবদ্ধভাবে মোকাবিলা করব এবং তাদের এই পায়তারা কোন দিনই বাস্তবায়ন হতে দেব না।

ঢাকাপ্রকাশ: ছাত্রলীগকে কেউ কেউ গুন্ডাবাহিনী বলে এর কারণ কী?

লেখক ভট্টাচার্য্য: ৫০ লাখ নেতাকর্মীদের একটা সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগ আসলে যদি গুন্ডাবাহিনী হয়, ছাত্রলীগ যদি আসলেই চায় ভিপি নুরু কিংবা যেই হোক, যত বড় ব্যক্তিই হোক বাংলাদেশে সে রাজনীতি করতে পারবে না। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ যদি মনে করে রাষ্ট্রের বিপক্ষে অবস্থান করার কারণে তার অধিকার নেই বাংলাদেশে থাকার কিংবা বাংলাদেশে রাজনীতি করার তাহলে মনে হয় বাংলাদেশের মাটিতে কেউ কোনো ধরণের সুযোগ পাবে না।

সে যত বড় ক্ষমতাধরই হোক ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে কেউ কখনও দাঁড়াতে পারেনি, এটা পাকিস্তানিরাও পারেনি, আমেরিকাও পারেনি। অনেকেই চেষ্টা করেছে কেউ কোনো দিন পারেনি। এরাতো (ভিপি নুর) পারবেই না, তাদের আদর্শেরই কোন ভিত্তি নেই। তারা নিজেদের মধ্যেই মারামারি করে ছাত্রলীগের উপর দায় চাপাতে পারে। কারণ ছাত্রলীগের নামটার সঙ্গে থাকলে কিংবা ছাত্রলীগের কাছ থেকে যদি প্রতিরোধের শিকার হয় তাহলে সেটা তাদের জন্য প্লাস পয়েন্ট হিসেবে কাজ করে। সেজন্য তারা এসব ধরণের মন্তব্য করে। এগুলো ভিত্তিহীণ বানোয়াট পুরোপুরি মিথ্যা। আমি আহ্বান করব বাংলাদেশের নাগরিকরা যেন এসব মিথ্যাচার থেকে বিরত থাকে। আন্দোলনের নামে যেনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠা না খুলে। বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতির ইমেজকে কাজে লাগিয়ে যেন রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অবস্থান করার জন্য বা অর্থ সংগ্রহের জন্য যেন কেউ বাংলাদেশের বিপক্ষে না দাঁড়ায়। দীর্ঘ দিন পর ডাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে যারা নেতৃত্ব নির্বাচিত হয়েছিল ২৮ বছর পর আবারও ডাকসুকে কলঙ্কিত করেছে ভিপি নুর। 

ঢাকাপ্রকাশ: দীর্ঘ সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। 

লেখক ভট্টচার্য: আপনাকেও ধন্যবাদ।

জেডএকে/এএস

Header Ad
Header Ad

সেতু মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন  

ছবিঃ সংগৃহীত

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন শেখ মঈনুদ্দিন। তিনি প্রধান উপদেষ্টার সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় বিষয়ক সহকারী হিসেবে কাজ করবেন।

বুধবার (৫ মার্চ) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদের সই করা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বিশেষ সহকারী থাকাকালীন তারা প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা, বেতন-ভাতা ও আনুষঙ্গিক সুবিধা পাবেন।

যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী শেখ মঈনুদ্দিনের সড়ক ও অবকাঠামো খাতে দীর্ঘদিন কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে। তিনি বর্তমানে ক্যালিফোর্নিয়া ডিপার্টমেন্ট অব ট্রান্সপোর্টেশনের সেফটি ও অপারেশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, শেখ মঈনুদ্দিন নতুন দায়িত্ব নেওয়ার আগে বর্তমান পদ থেকে অব্যাহতি নেবেন।

২০১৬ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত তিনি ক্যালিফোর্নিয়া ডিপার্টমেন্ট অব ট্রান্সপোর্টেশনের প্রোগ্রাম ও প্রকল্প ব্যবস্থাপনা বিভাগে প্রকল্প ব্যবস্থাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে লস অ্যাঞ্জেলেসের সরকারি খাতে বহু বিলিয়ন ডলারের অবকাঠামো প্রকল্পের নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি।

শেখ মঈনুদ্দিন যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয়, লাফায়েত থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেন। পরে ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতকোত্তর এবং ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, লস অ্যাঞ্জেলেস (ইউসিএলএ) থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।

তিনি আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশি ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যান্ড আর্কিটেক্টসের (এএবিইএ) কেন্দ্রীয় সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।

Header Ad
Header Ad

প্রোটিয়াদের হারিয়ে ফাইনালে ভারতের সঙ্গী নিউজিল্যান্ড  

ছবিঃ সংগৃহীত

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ড দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৫০ রানে পরাজিত করে ফাইনালে পৌঁছেছে। নিউজিল্যান্ড প্রথমে ব্যাট করে ৩৬৩ রানের বিশাল স্কোর গড়ে, যেখানে কেন উইলিয়ামসন ও রাচিন রবীন্দ্র সেঞ্চুরি করেন। জবাবে, দক্ষিণ আফ্রিকা ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৯৪ রান করে, যেখানে ডেভিড মিলার ৮২ ও রাসি ভ্যান ডার ডুসেন ৬৯ রান করেন। নিউজিল্যান্ডের বোলাররা কার্যকর বোলিং করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। এ জয়ের ফলে নিউজিল্যান্ড ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হবে।

লাহোরে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩৬২ রান সংগ্রহ করেছে নিউজিল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১০৮ রান করেছেন রাচিন। তাছাড়া ১০২ রান এসেছে উইলিয়ামসনের ব্যাট থেকে। জবাবে খেলতে নেমে ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩১২ রানের বেশি করতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা।

আগামী ৯ মার্চ ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে খেলবে নিউজিল্যান্ড।

বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই রায়ান রিকেলটনকে হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ১২ বলে ১৭ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। আক্রমণাত্মক খেলতে গিয়ে দলীয় ২০ রানেই সাজঘরে ফিরেছেন এই ওপেনার। তবে আরেক ওপেনার টেম্বা বাভুমা পেয়েছেন ফিফটির দেখা। এরপর আর বেশিদূর এগোতে পারেননি। ৭১ বলে করেছেন ৫৬ রান।

রানের দেখা পেয়েছেন তিনে নামা রাসি ফন ডার ডাসেনও। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরির পথে এগোচ্ছিলেন তিনি। তবে কাটা পড়েছেন ৬৯ রানে। ৬৬ বলের তার ইনিংসটি ছিল বেশ কার্যকরী। তবে এইডেন মার্করাম-হেনরিখ ক্লাসেনরা দ্রুত সাজঘরে ফিরলে তা পথ হারায় দল।

শেষদিকে ডেভিড মিলার একাই চেষ্টা করেছেন। পেয়েছেন দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি। কিন্তু ঝড় তোলেও যেন তা বিফলে গেল। কিউইদের রানের পাহাড় টপকানো সম্ভব হয়নি। তার ৬৭ বলে অপরাজিত ১০০ রানের ইনিংস কেবলই হারের ব্যবধান কমিয়েছে।

Header Ad
Header Ad

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মাসুদ তালুকদারের পদ স্থগিত

স্থগিতাদেশ প্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মাসুদ আহমেদ তালুকদার । ছবিঃ সংগৃহীত

সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদারের দলীয় প্রাথমিক সদস্যসহ সকল পর্যায়ের পদ স্থগিত করা হয়েছে।

বুধবার (৫ মার্চ) দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে। 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সেতু মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন  
প্রোটিয়াদের হারিয়ে ফাইনালে ভারতের সঙ্গী নিউজিল্যান্ড  
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মাসুদ তালুকদারের পদ স্থগিত
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়: স্নাতক পাশ না করেও পেল প্রথম শ্রেণীর চাকরী  
সরকারি যানবাহনের চালকরা ট্রাফিক আইন অমান্য করছে : ডিএমপি  
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পরকীয়ার জেরে জোড়া খুন আদালতে দায় স্বামীর স্বীকারোক্তি  
টাঙ্গাইলে পাহাড়ের লাল মাটি কাটার অভিযোগে লাখ টাকা জরিমানা  
জাতিসংঘ মৃত্যুদণ্ডের পক্ষে নয়, তবে বিচার হতে হবে : ভলকার তুর্ক  
রমজানে চুয়াডাঙ্গায় নিয়মিত বাজার মনিটরিং প্রয়োজন: ক্যাব
পবিত্র রমজানে কুবিতে মিলছে ১০ টাকায় ইফতার
নিত্যপণ্যের দাম আগের বছরের চেয়ে বাড়েনি: অর্থ উপদেষ্টা  
জোটে যাবে না এনসিপি, ৩০০ আসনে দেবে প্রার্থী
ফের রিমান্ডে সাবেক বিচারপতি মানিক
শ্রম আইন সংস্কার করে বিশ্বমানের করার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
শিগগিরই গঠন করা হবে জাতীয় নাগরিক পার্টির যুব উইং
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের সুখবর দিলেন বিদায়ী শিক্ষা উপদেষ্টা
মহানবী (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তি, রাবির ছাত্রলীগ নেতা আটক
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আটক
নারী-পুরুষ ছাড়া অন্য লিঙ্গের ঠাঁই হবে না যুক্তরাষ্ট্রে : ট্রাম্প
লালন স্মরণোৎসবে গাঁজা ও মাদক নিষিদ্ধ