শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ সাক্ষাৎকার

স্বাধীনতা বিরোধীদের প্রধান টার্গেট ছাত্রলীগ: লেখক

আজ ৪ জানুয়ারি ২০২২ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। ১৯৪৮ সালের এই দিনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছাত্রদের নেতৃত্বদানকারী সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের এই অঙ্গ সংগঠনটি। নানা সমালোচনা ঝড়ঝাণ্ড পেরিয়ে ছাত্রলীগের এই পদচারণা কেমন ছিল। ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি দাঁয়িত্ব নেওয়ার পর নেতিবাচক সমালোচনা থেকে ছাত্রলীগ কি ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছে? ছাত্রলীগ কি তার আদর্শের জায়গায় রয়েছে? এসব প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য্য।

ঢাকাপ্রকাশ: ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় নানা অভিযোগ ওঠে এবং নানা নেতিবাচক সমালোচনা হয় বিষয়টি কীভাবে দেখছেন?

লেখক ভট্টাচার্য্য: যারা আওয়ামী লীগের বিরোধী তারা বাংলাদেশের রাষ্ট্রের বিরোধী। বাংলাদেশের মূলনীতি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র বিরোধী যারা তারা কিন্তু প্রথম টার্গেট হিসেবে ছাত্রলীগকে বেছে নেয়। তারা সব সময় ছাত্রলীগকে বিতর্কিত করার জন্য, ছাত্রলীগকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য, বিভিন্ন বিতর্কের জন্ম দেয়। যখনই কোনো উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বা  ইতিবাচক কর্মকাণ্ড জনগণের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বড় পদক্ষেপ সরকার গ্রহণ করে, তখনই এই স্বার্থন্বেষী মহল স্বাধীনতা বিরোধরা ছাত্রলীগের বিপক্ষে অবস্থান নেয়। উন্নয়ন প্রকল্পগুলো যাতে না হয়, উন্নয়ন কাজ যেন বানচাল করতে পারে। যারা সরকারকে এবং বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র করতে কাজ করে, তারাই ছাত্রলীগকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য বড় ভূমিকা রাখে।

ছাত্রলীগ যেভাবে পরিচালিত হয় সেখানে ছাত্রলীগের কারো ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত বা স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করার সুযোগ নেই। যেখানে আমরা নতুন কমিটি করি না কেন, আমরা যাচাই বাছাইয়ের মাধ্যমে গঠণতন্ত্র অনুসরণ করে কমিটি গঠন করে থাকি। বিতর্কিতদের কেন নেব? তাদের নিলে সংগঠনই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সংগঠন ক্ষতিগ্রস্ত হলে নেতৃত্ব প্রশ্নবিদ্ধ হবে। আমরা আমাদের নেতৃত্বের জন্য হলেও এই চেয়ারের মর্যাদা বজায় রাখার জন্য হলেও আমাদের জ্ঞানত কোন ধরনের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড যারা করে তাদের প্রশ্রয় দেই না। কিংবা বিতর্কিত কাউকে আমরা কোনো পদে না দেয়ারই সর্বোচ্চ চেষ্টা করে থাকি। কিন্তু সবখানে কমিটি করার ক্ষেত্রে একের অধিক যোগ্য প্রার্থী থাকে। যেহেতু সকলেই সভাপতি সেক্রেটারি হতে চায়। এই দুইটা পদ যেহেতু সবাইকে দেওয়া সম্ভব না। তাছাড়া দেখবেন প্রত্যেকটা ইউনিটে ১০ জনের বেশি যোগ্য প্রার্থী থাকে। আমাদের সাংগঠনিক নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যেসকল নির্দেশনা দেয়, সেই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করার জন্য যেমন সদিচ্ছা দরকার তেমন কিন্তু সেই ক্ষমতা বা যোগ্যতাও থাকা দরকার। সেই যোগ্যতাগুলোকে প্রাধান্য দেই আমরা। স্থানীয় আওয়ামী লীগসহ সংসদ সদস্য কিংবা আওয়ামী লীগের যারা অভিভাবক আছেন, সাবেক নেত্রীবৃন্দ আছেন, তাদের সঙ্গে কথা বলে সঙ্গে সমন্বয় করে কমিটি ঘোষণা করি। যেখানে বিতর্কিত কেউ আসার সুযোগ নেই। যারা কাঙ্খিত পদ পায় না, তারাই অপরাজনীতি করে। তাদের প্রভাবে বিভিন্ন ধরণের প্রচারণা করা হয়, যেন ছাত্রলীগকে একটু বিতর্কিত করা যায়। যেন তারা তাদের সুদুর প্রসারী যে ষড়যন্ত্র সেটা বাস্তবায়ন করতে পারে।

ঢাকাপ্রকাশ: ছাত্রলীগ কি বিতর্কিত অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছে?

লেখক ভট্টাচার্য্য: আমরা যখন দায়িত্ব পাই তখন দেখেছি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কিছু কর্মকাণ্ড বা ছাত্রলীগের তৎকালিন নেতৃত্বের কিছু প্রশ্নবিদ্ধ আচারণ। যেগুলো বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে এবং সর্বোপরি শুধু মাত্র আওয়ামী লীগের বাইরের লোকজনই না, আওয়ামী লীগের ভেতরের লোকজনও এমনকি ছাত্রলীগের লোকজনও সেসব কর্মকাণ্ড নিয়ে বিভিন্ন সময় প্রশ্ন তুলেছে। যেসব কারণে ছাত্রলীগ বিতর্কিত হয়েছিল যেসব কারণে বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিয়ে মানুষ সমালোচনা করার সুযোগ পেয়েছিল সেই কারণগুলোকে চিহ্নিত করে আমরা দায়িত্ব পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সমাধান করতে চেষ্টা করেছি এবং আমি মনে করি সেটা সাফল্যের সাথেই করতে পেরেছি। কিন্তু সাংগঠনিক কাঠামো মজবুত করার জন্য কিংবা তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত সম্পূর্ণভাবে সাংগঠনিক পদ্ধতি অবলম্বন করে তৃণমূল পর্যন্ত বাস্তবায়ন করা আমাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি। করোনা মহামারীর কারণে যখন সবকিছু বন্ধ, তখন তো কিছুই করতে পারিনি। ছাত্রলীগ হচ্ছে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের নিয়ে ছাত্র সংগঠন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যখন বন্ধ থাকে, হলগুলো বন্ধ ছিল যে কারণে আমরা কোনো নির্দেশনা দিতে পারি নাই। গ্রামে যে যেখানে ছিল সেখান থেকেই ছাত্রলীগের মাধ্যমে সমন্বয় করে সেই এলাকার মানুষের সমস্যাগুলো সমাধানে কাজ করেছি। এখন যেহেতু করোনা মহামারী মোকাবিলা করে আবার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিয়ে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ক্যাম্পাসগুলো আবার শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখোরিত হয়েছে। এখন আবার প্রচলতিন নিয়মানুসারে আমাদের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড শুরু করেছি। ইতোমধ্যে কয়েকটি সম্মেলন করেছি। চলতি মাসে (জানুয়ারি) এবং সামনের মাসেও (ফেব্রুয়ারি) অনেকগুলো তারিখও নির্ধারণ করা আছে। সুতরাং বাংলাদেশ ছাত্রলীগ যেভাবে চালালে সাংগঠনিক দক্ষতা বৃদ্ধি পায় এবং আমাদের কর্মী বাহিনী এবং সাধারণ জনগণের কাছে ছাত্রলীগ যেন প্রশংসা পায় কোন বিতর্কের জন্ম না দেয় সেই আশা নিয়ে সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছি।

ঢাকাপ্রকাশ: ছাত্রলীগ কী শিক্ষার্থীদের কাছে অনুকরণীয় সংগঠন?

লেখক ভট্টাচার্য্য: অবশ্যই। বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের অনুকরণীয় সংগঠন যদি থেকে থাকে সেটা হচ্ছে ছাত্রলীগ। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ একমাত্র সংগঠন যেটা ঐতিহ্যগতভাবে এবং ঐতিহাসিকভাবে বাংলাদেশের পক্ষে, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সংগঠন। ছাত্রলীগ এই দেশের কাজ করার জন্য কিংবা ভবিষ্যত প্রজন্মের নেতৃত্ব তৈরি করার জন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সব থেকে বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ প্লাটফর্ম হিসেবে আমরা বিবেচনা করি। ছাত্রলীগের মাধ্যমেই কেবলমাত্র একটি ছাত্র তার রাজনৈতিক চর্চার মাধ্যমে নিজেকে পূর্ণ নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার সর্বোচ্চ সুযোগ ছাত্রলীগের মাধ্যমে পায়। সেজন্য আমি মনে করি ছাত্রলীগ শিক্ষাথীদের কাছে অনুকরণীয়।

ঢাকাপ্রকাশ: কোনো কোনো সংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ সংগঠন করার জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কাছে আবেদন করার চিন্তা করছে? এবিষয়ে আপনাদের অবস্থান কী?

লেখক ভট্টাচার্য্য: ২০১৩ সালে যখন গণজাগরণ মঞ্চ সৃষ্টি হয়েছিল। যখন বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পক্ষে ছাত্রলীগসহ প্রগতিশীল মানুষ, অসাস্প্রদায়িক মানুষ যখন মাঠে নেমেছিল কিংবা তাদের অনলাইন প্লাটফর্মে বা বিভিন্ন ব্লগের মাধ্যমে হোক যারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পক্ষে বা রায় বাস্তবায়নের পক্ষে কাজ করেছে ওই সময়ও এই গোষ্ঠি একই কাজ করেছে। তারা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বিভিন্ন বানোয়াট তথ্য এবং বিভিন্ন প্রেক্ষাপট তুলে জাতিসংঘের উদ্দেশে পিটিশন রিট করেছিল যে ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে যেন প্রমাণিত করা হয়। কিন্তু আমরা দেখতে পারি যে তার কিছুদিন পরেই বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘ থেকে। সুতরাং এটা অনেকেই চেষ্টা করবে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে যারাই অবস্থান করার চেষ্টা করুক তাদেরকে আগে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে অবস্থান করতে হবে, তারপর তারা আওয়ামী লীগ কিংবা রাষ্ট্রীয় স্বার্থে বিরুদ্ধে দাঁড়ায়। সুতরাং ছাত্রলীগ সকলের প্রধান টার্গেট। এজন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধীরা একটু বেশি বিচলিত। তারা তাদের অপকর্মগুলো যেভাবে চালাবে আমরাও সেটা সংঘবদ্ধভাবে মোকাবিলা করব এবং তাদের এই পায়তারা কোন দিনই বাস্তবায়ন হতে দেব না।

ঢাকাপ্রকাশ: ছাত্রলীগকে কেউ কেউ গুন্ডাবাহিনী বলে এর কারণ কী?

লেখক ভট্টাচার্য্য: ৫০ লাখ নেতাকর্মীদের একটা সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগ আসলে যদি গুন্ডাবাহিনী হয়, ছাত্রলীগ যদি আসলেই চায় ভিপি নুরু কিংবা যেই হোক, যত বড় ব্যক্তিই হোক বাংলাদেশে সে রাজনীতি করতে পারবে না। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ যদি মনে করে রাষ্ট্রের বিপক্ষে অবস্থান করার কারণে তার অধিকার নেই বাংলাদেশে থাকার কিংবা বাংলাদেশে রাজনীতি করার তাহলে মনে হয় বাংলাদেশের মাটিতে কেউ কোনো ধরণের সুযোগ পাবে না।

সে যত বড় ক্ষমতাধরই হোক ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে কেউ কখনও দাঁড়াতে পারেনি, এটা পাকিস্তানিরাও পারেনি, আমেরিকাও পারেনি। অনেকেই চেষ্টা করেছে কেউ কোনো দিন পারেনি। এরাতো (ভিপি নুর) পারবেই না, তাদের আদর্শেরই কোন ভিত্তি নেই। তারা নিজেদের মধ্যেই মারামারি করে ছাত্রলীগের উপর দায় চাপাতে পারে। কারণ ছাত্রলীগের নামটার সঙ্গে থাকলে কিংবা ছাত্রলীগের কাছ থেকে যদি প্রতিরোধের শিকার হয় তাহলে সেটা তাদের জন্য প্লাস পয়েন্ট হিসেবে কাজ করে। সেজন্য তারা এসব ধরণের মন্তব্য করে। এগুলো ভিত্তিহীণ বানোয়াট পুরোপুরি মিথ্যা। আমি আহ্বান করব বাংলাদেশের নাগরিকরা যেন এসব মিথ্যাচার থেকে বিরত থাকে। আন্দোলনের নামে যেনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠা না খুলে। বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতির ইমেজকে কাজে লাগিয়ে যেন রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অবস্থান করার জন্য বা অর্থ সংগ্রহের জন্য যেন কেউ বাংলাদেশের বিপক্ষে না দাঁড়ায়। দীর্ঘ দিন পর ডাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে যারা নেতৃত্ব নির্বাচিত হয়েছিল ২৮ বছর পর আবারও ডাকসুকে কলঙ্কিত করেছে ভিপি নুর। 

ঢাকাপ্রকাশ: দীর্ঘ সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। 

লেখক ভট্টচার্য: আপনাকেও ধন্যবাদ।

জেডএকে/এএস

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত