মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ সাক্ষাৎকার

স্বাধীনতা বিরোধীদের প্রধান টার্গেট ছাত্রলীগ: লেখক

আজ ৪ জানুয়ারি ২০২২ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। ১৯৪৮ সালের এই দিনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছাত্রদের নেতৃত্বদানকারী সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের এই অঙ্গ সংগঠনটি। নানা সমালোচনা ঝড়ঝাণ্ড পেরিয়ে ছাত্রলীগের এই পদচারণা কেমন ছিল। ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি দাঁয়িত্ব নেওয়ার পর নেতিবাচক সমালোচনা থেকে ছাত্রলীগ কি ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছে? ছাত্রলীগ কি তার আদর্শের জায়গায় রয়েছে? এসব প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য্য।

ঢাকাপ্রকাশ: ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় নানা অভিযোগ ওঠে এবং নানা নেতিবাচক সমালোচনা হয় বিষয়টি কীভাবে দেখছেন?

লেখক ভট্টাচার্য্য: যারা আওয়ামী লীগের বিরোধী তারা বাংলাদেশের রাষ্ট্রের বিরোধী। বাংলাদেশের মূলনীতি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র বিরোধী যারা তারা কিন্তু প্রথম টার্গেট হিসেবে ছাত্রলীগকে বেছে নেয়। তারা সব সময় ছাত্রলীগকে বিতর্কিত করার জন্য, ছাত্রলীগকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য, বিভিন্ন বিতর্কের জন্ম দেয়। যখনই কোনো উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বা  ইতিবাচক কর্মকাণ্ড জনগণের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বড় পদক্ষেপ সরকার গ্রহণ করে, তখনই এই স্বার্থন্বেষী মহল স্বাধীনতা বিরোধরা ছাত্রলীগের বিপক্ষে অবস্থান নেয়। উন্নয়ন প্রকল্পগুলো যাতে না হয়, উন্নয়ন কাজ যেন বানচাল করতে পারে। যারা সরকারকে এবং বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র করতে কাজ করে, তারাই ছাত্রলীগকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য বড় ভূমিকা রাখে।

ছাত্রলীগ যেভাবে পরিচালিত হয় সেখানে ছাত্রলীগের কারো ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত বা স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করার সুযোগ নেই। যেখানে আমরা নতুন কমিটি করি না কেন, আমরা যাচাই বাছাইয়ের মাধ্যমে গঠণতন্ত্র অনুসরণ করে কমিটি গঠন করে থাকি। বিতর্কিতদের কেন নেব? তাদের নিলে সংগঠনই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সংগঠন ক্ষতিগ্রস্ত হলে নেতৃত্ব প্রশ্নবিদ্ধ হবে। আমরা আমাদের নেতৃত্বের জন্য হলেও এই চেয়ারের মর্যাদা বজায় রাখার জন্য হলেও আমাদের জ্ঞানত কোন ধরনের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড যারা করে তাদের প্রশ্রয় দেই না। কিংবা বিতর্কিত কাউকে আমরা কোনো পদে না দেয়ারই সর্বোচ্চ চেষ্টা করে থাকি। কিন্তু সবখানে কমিটি করার ক্ষেত্রে একের অধিক যোগ্য প্রার্থী থাকে। যেহেতু সকলেই সভাপতি সেক্রেটারি হতে চায়। এই দুইটা পদ যেহেতু সবাইকে দেওয়া সম্ভব না। তাছাড়া দেখবেন প্রত্যেকটা ইউনিটে ১০ জনের বেশি যোগ্য প্রার্থী থাকে। আমাদের সাংগঠনিক নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যেসকল নির্দেশনা দেয়, সেই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করার জন্য যেমন সদিচ্ছা দরকার তেমন কিন্তু সেই ক্ষমতা বা যোগ্যতাও থাকা দরকার। সেই যোগ্যতাগুলোকে প্রাধান্য দেই আমরা। স্থানীয় আওয়ামী লীগসহ সংসদ সদস্য কিংবা আওয়ামী লীগের যারা অভিভাবক আছেন, সাবেক নেত্রীবৃন্দ আছেন, তাদের সঙ্গে কথা বলে সঙ্গে সমন্বয় করে কমিটি ঘোষণা করি। যেখানে বিতর্কিত কেউ আসার সুযোগ নেই। যারা কাঙ্খিত পদ পায় না, তারাই অপরাজনীতি করে। তাদের প্রভাবে বিভিন্ন ধরণের প্রচারণা করা হয়, যেন ছাত্রলীগকে একটু বিতর্কিত করা যায়। যেন তারা তাদের সুদুর প্রসারী যে ষড়যন্ত্র সেটা বাস্তবায়ন করতে পারে।

ঢাকাপ্রকাশ: ছাত্রলীগ কি বিতর্কিত অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছে?

লেখক ভট্টাচার্য্য: আমরা যখন দায়িত্ব পাই তখন দেখেছি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কিছু কর্মকাণ্ড বা ছাত্রলীগের তৎকালিন নেতৃত্বের কিছু প্রশ্নবিদ্ধ আচারণ। যেগুলো বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে এবং সর্বোপরি শুধু মাত্র আওয়ামী লীগের বাইরের লোকজনই না, আওয়ামী লীগের ভেতরের লোকজনও এমনকি ছাত্রলীগের লোকজনও সেসব কর্মকাণ্ড নিয়ে বিভিন্ন সময় প্রশ্ন তুলেছে। যেসব কারণে ছাত্রলীগ বিতর্কিত হয়েছিল যেসব কারণে বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিয়ে মানুষ সমালোচনা করার সুযোগ পেয়েছিল সেই কারণগুলোকে চিহ্নিত করে আমরা দায়িত্ব পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সমাধান করতে চেষ্টা করেছি এবং আমি মনে করি সেটা সাফল্যের সাথেই করতে পেরেছি। কিন্তু সাংগঠনিক কাঠামো মজবুত করার জন্য কিংবা তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত সম্পূর্ণভাবে সাংগঠনিক পদ্ধতি অবলম্বন করে তৃণমূল পর্যন্ত বাস্তবায়ন করা আমাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি। করোনা মহামারীর কারণে যখন সবকিছু বন্ধ, তখন তো কিছুই করতে পারিনি। ছাত্রলীগ হচ্ছে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের নিয়ে ছাত্র সংগঠন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যখন বন্ধ থাকে, হলগুলো বন্ধ ছিল যে কারণে আমরা কোনো নির্দেশনা দিতে পারি নাই। গ্রামে যে যেখানে ছিল সেখান থেকেই ছাত্রলীগের মাধ্যমে সমন্বয় করে সেই এলাকার মানুষের সমস্যাগুলো সমাধানে কাজ করেছি। এখন যেহেতু করোনা মহামারী মোকাবিলা করে আবার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিয়ে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ক্যাম্পাসগুলো আবার শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখোরিত হয়েছে। এখন আবার প্রচলতিন নিয়মানুসারে আমাদের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড শুরু করেছি। ইতোমধ্যে কয়েকটি সম্মেলন করেছি। চলতি মাসে (জানুয়ারি) এবং সামনের মাসেও (ফেব্রুয়ারি) অনেকগুলো তারিখও নির্ধারণ করা আছে। সুতরাং বাংলাদেশ ছাত্রলীগ যেভাবে চালালে সাংগঠনিক দক্ষতা বৃদ্ধি পায় এবং আমাদের কর্মী বাহিনী এবং সাধারণ জনগণের কাছে ছাত্রলীগ যেন প্রশংসা পায় কোন বিতর্কের জন্ম না দেয় সেই আশা নিয়ে সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছি।

ঢাকাপ্রকাশ: ছাত্রলীগ কী শিক্ষার্থীদের কাছে অনুকরণীয় সংগঠন?

লেখক ভট্টাচার্য্য: অবশ্যই। বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের অনুকরণীয় সংগঠন যদি থেকে থাকে সেটা হচ্ছে ছাত্রলীগ। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ একমাত্র সংগঠন যেটা ঐতিহ্যগতভাবে এবং ঐতিহাসিকভাবে বাংলাদেশের পক্ষে, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সংগঠন। ছাত্রলীগ এই দেশের কাজ করার জন্য কিংবা ভবিষ্যত প্রজন্মের নেতৃত্ব তৈরি করার জন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সব থেকে বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ প্লাটফর্ম হিসেবে আমরা বিবেচনা করি। ছাত্রলীগের মাধ্যমেই কেবলমাত্র একটি ছাত্র তার রাজনৈতিক চর্চার মাধ্যমে নিজেকে পূর্ণ নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার সর্বোচ্চ সুযোগ ছাত্রলীগের মাধ্যমে পায়। সেজন্য আমি মনে করি ছাত্রলীগ শিক্ষাথীদের কাছে অনুকরণীয়।

ঢাকাপ্রকাশ: কোনো কোনো সংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ সংগঠন করার জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কাছে আবেদন করার চিন্তা করছে? এবিষয়ে আপনাদের অবস্থান কী?

লেখক ভট্টাচার্য্য: ২০১৩ সালে যখন গণজাগরণ মঞ্চ সৃষ্টি হয়েছিল। যখন বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পক্ষে ছাত্রলীগসহ প্রগতিশীল মানুষ, অসাস্প্রদায়িক মানুষ যখন মাঠে নেমেছিল কিংবা তাদের অনলাইন প্লাটফর্মে বা বিভিন্ন ব্লগের মাধ্যমে হোক যারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পক্ষে বা রায় বাস্তবায়নের পক্ষে কাজ করেছে ওই সময়ও এই গোষ্ঠি একই কাজ করেছে। তারা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বিভিন্ন বানোয়াট তথ্য এবং বিভিন্ন প্রেক্ষাপট তুলে জাতিসংঘের উদ্দেশে পিটিশন রিট করেছিল যে ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে যেন প্রমাণিত করা হয়। কিন্তু আমরা দেখতে পারি যে তার কিছুদিন পরেই বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘ থেকে। সুতরাং এটা অনেকেই চেষ্টা করবে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে যারাই অবস্থান করার চেষ্টা করুক তাদেরকে আগে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে অবস্থান করতে হবে, তারপর তারা আওয়ামী লীগ কিংবা রাষ্ট্রীয় স্বার্থে বিরুদ্ধে দাঁড়ায়। সুতরাং ছাত্রলীগ সকলের প্রধান টার্গেট। এজন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধীরা একটু বেশি বিচলিত। তারা তাদের অপকর্মগুলো যেভাবে চালাবে আমরাও সেটা সংঘবদ্ধভাবে মোকাবিলা করব এবং তাদের এই পায়তারা কোন দিনই বাস্তবায়ন হতে দেব না।

ঢাকাপ্রকাশ: ছাত্রলীগকে কেউ কেউ গুন্ডাবাহিনী বলে এর কারণ কী?

লেখক ভট্টাচার্য্য: ৫০ লাখ নেতাকর্মীদের একটা সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগ আসলে যদি গুন্ডাবাহিনী হয়, ছাত্রলীগ যদি আসলেই চায় ভিপি নুরু কিংবা যেই হোক, যত বড় ব্যক্তিই হোক বাংলাদেশে সে রাজনীতি করতে পারবে না। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ যদি মনে করে রাষ্ট্রের বিপক্ষে অবস্থান করার কারণে তার অধিকার নেই বাংলাদেশে থাকার কিংবা বাংলাদেশে রাজনীতি করার তাহলে মনে হয় বাংলাদেশের মাটিতে কেউ কোনো ধরণের সুযোগ পাবে না।

সে যত বড় ক্ষমতাধরই হোক ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে কেউ কখনও দাঁড়াতে পারেনি, এটা পাকিস্তানিরাও পারেনি, আমেরিকাও পারেনি। অনেকেই চেষ্টা করেছে কেউ কোনো দিন পারেনি। এরাতো (ভিপি নুর) পারবেই না, তাদের আদর্শেরই কোন ভিত্তি নেই। তারা নিজেদের মধ্যেই মারামারি করে ছাত্রলীগের উপর দায় চাপাতে পারে। কারণ ছাত্রলীগের নামটার সঙ্গে থাকলে কিংবা ছাত্রলীগের কাছ থেকে যদি প্রতিরোধের শিকার হয় তাহলে সেটা তাদের জন্য প্লাস পয়েন্ট হিসেবে কাজ করে। সেজন্য তারা এসব ধরণের মন্তব্য করে। এগুলো ভিত্তিহীণ বানোয়াট পুরোপুরি মিথ্যা। আমি আহ্বান করব বাংলাদেশের নাগরিকরা যেন এসব মিথ্যাচার থেকে বিরত থাকে। আন্দোলনের নামে যেনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠা না খুলে। বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতির ইমেজকে কাজে লাগিয়ে যেন রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অবস্থান করার জন্য বা অর্থ সংগ্রহের জন্য যেন কেউ বাংলাদেশের বিপক্ষে না দাঁড়ায়। দীর্ঘ দিন পর ডাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে যারা নেতৃত্ব নির্বাচিত হয়েছিল ২৮ বছর পর আবারও ডাকসুকে কলঙ্কিত করেছে ভিপি নুর। 

ঢাকাপ্রকাশ: দীর্ঘ সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। 

লেখক ভট্টচার্য: আপনাকেও ধন্যবাদ।

জেডএকে/এএস

Header Ad
Header Ad

নওগাঁয় ডাকাত দলের ৩ সদস্যসহ ৮ জন গ্রেপ্তার, উদ্ধার লুণ্ঠিত মালামাল

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁয় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৩ সক্রিয় সদস্যসহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। এদের মধ্যে বাকি ৫ জন চোরাই মালামাল ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত। গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ১টি অটো চার্জার ভ্যান এবং ১৯টি অটো চার্জার ভ্যানের ব্যাটারিসহ ১৫০ কেজি খুচরা যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা হয়েছে।

রোববার (২৭ এপ্রিল) নওগাঁ এবং রাজশাহীর জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে নওগাঁ জেলা পুলিশ কর্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) ফারজানা হোসেন এসব তথ্য জানান।

গ্রেপ্তারকৃত ডাকাত দলের সদস্যরা হলেন, জেলার পোরশা উপজেলার সোভাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে আব্দুল জব্বার (৪০) চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার পাথরপূজার গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে নুরুজ্জামান (৪০) এবং নওগাঁর সাপাহার উপজেলার ধবলডাঙ্গা গ্রামের ইব্রাহিমের ছেলে মোহাম্মদ সেলিম (৩০)।

গ্রেপ্তারকৃত চোরাই মালামাল ক্রয়-বিক্রয় চক্রের সদস্যরা হলেন, জেলার মান্দা উপজেলার উত্তর কাঞ্চন গ্রামের আলম খানের ছেলে শহিদ খান (৩৪) একই গ্রামের পরেশ আলী মৃধার ছেলে কাওছার আলী মৃধা (২৪), উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের তমিজউদদীন মোল্লার ছেলে আব্দুল মতিন মোল্লা (৫০), কামারকুড়ি গ্রামের মৃত ময়েন উদ্দিনের ছেলে জিয়াউর রহমান (৪২) এবং শ্রীরামপুর গ্রামের মৃত সোলায়মান মন্ডলের ছেলে আজিজুল মন্ডল(৬৪)।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারজানা হোসেন বলেন, বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাত অনুমানিক ৮ টার দিকে সাপাহার থানার নোচনাহার বাজার থেকে সাদিকুল ইসলাম (৩২) নামে এক অটো চার্জার ভ্যান চালক তার নিজের অটো চার্জার ভ্যান চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। ফেরার পথে সাপাহার থানাধীন ইলিমপুর মোড় হইতে হরিপুর বাজারগামী রোডে ইলিমপুর ব্রীজের নিকট পৌছাতেই রাস্তার পাশে ওৎপেতে থাকা ০৪ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি তার অটো চার্জার ভ্যান থামিয়ে তাকে ভ্যান থেকে টেনে নামায় এবং তার গলার চাকু ধরে হত্যার ভয় দেখিয়ে পাশের আম বাগানে নিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে মারপিট করে।

পরবর্তীতে তারা সাদিকুলের অটো চার্জার ভ্যানটি ছিনতাই করে নিয়ে যায়। অপর আরো একটি ঘটনায় একই ডাকাত দল গত শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৩ টার দিকে পোরশা থানার সরাইগাছি - আড্ডা আঞ্চলিক মহাসড়কের মশিদপুর এলাকায় এক অটো চার্জার ভ্যান চালককে আটক করে। তাকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে হত্যার ভয় দেখিয়ে তার অটো চার্জার ভ্যান ছিনতাই করে নিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, এই দুই ঘটনায় পোরশা এবং সাপাহার থানায় আলাদা দুইটি মমলা হয়। মামলার পর থেকেই পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবির) একটি বিশেষ টিম অভিযান অব্যাহত রাখে। গতকাল (২৭ এপ্রিল) নওগাঁ এবং রাজশাহী জেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ৩ জন ডাকাত এবং চোরাই ভ্যানের মালামাল ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত এমন ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ফারজানা হোসেন আরও বলেন, গ্রেফাতারকৃত ডাকাতদের মধ্যে মোহাম্মদ সেলিম (৩০) বহুল আলোচিত সাপাহার উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ হিল কাফি হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামী। সেলিমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৮টি চুরি এবং ডাকাতির মামলা রয়েছে। এছাড়াও ডাকাত আব্দুল জব্বারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১০ টি এবং ডাকাত নুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৪ টি চুরি এবং ডাকাতির মামলা রয়েছে। আসামীদের বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) সুমন রঞ্জন সরকার জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি ডিবি) আব্দুল মান্নানসহ পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

নিজের মূত্র পান করেছিলেন বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল

বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল। ছবি: সংগৃহীত

বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেতা পরেশ রাওয়াল সম্প্রতি এক বিস্ময়কর অভিজ্ঞতার কথা প্রকাশ করেছেন। ‘ঘাতক’ ছবির শুটিং চলাকালে হাঁটুর মারাত্মক আঘাতের পর দ্রুত সেরে ওঠার জন্য তিনি নিজের মূত্র পান করেছিলেন বলে জানিয়েছেন।

রাকেশ পান্ডের সঙ্গে একটি দৃশ্যের শুটিং চলাকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আঘাতের পর পরিচালক তিন্নু আনন্দ ও অভিনেতা ড্যানি দেনজোংপা তাকে দ্রুত মুম্বাইয়ের নানাবতী হাসপাতালে নিয়ে যান।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে গভীর উদ্বেগে ছিলেন পরেশ রাওয়াল। তখনই প্রয়াত অ্যাকশন ডিরেক্টর বীরু দেবগণ তাকে পরামর্শ দেন প্রতিদিন সকালে নিজের মূত্র পান করার জন্য। বীরু দেবগণের যুক্তি ছিল, বহু যোদ্ধা শরীরের দ্রুত আরোগ্যের জন্য এমন পদ্ধতি অনুসরণ করতেন। পরেশ রাওয়াল সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে জানান, তিনি তখন এমন এক মানসিক অবস্থায় ছিলেন যে সুস্থতার জন্য যেকোনো কিছু করতে রাজি ছিলেন।

 

বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল। ছবি: সংগৃহীত

নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে টানা ৩০ দিন নিজের মূত্র পান করেন পরেশ। পরে চিকিৎসকরা তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে চমকপ্রদ ফলাফল পান। চিকিৎসকদের মতে, তার চোট সারাতে যেখানে আড়াই মাস সময় লাগার কথা ছিল, সেখানে তিনি মাত্র দেড় মাসেই পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেন।

বর্তমানে পেশাগত জীবনেও ব্যস্ত সময় পার করছেন পরেশ রাওয়াল। শিগগিরই তিনি প্রিয়দর্শনের পরিচালনায় নির্মিত হরর-কমেডি 'ভূত বাংলা' ছবিতে অক্ষয়কুমার ও টাবুর সঙ্গে অভিনয় করবেন। পাশাপাশি ‘হেরা ফেরি ৩’-তেও পুরনো সহ-অভিনেতা অক্ষয়কুমার ও সুনীল শেঠির সঙ্গে আবার পর্দা ভাগ করবেন।

 

Header Ad
Header Ad

নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ

নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে উল্লেখ করেছেন এনসিপির মূখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে নাহিদ ইসলামের জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ফেসবুক পোস্টে হাসনাত আব্দুল্লাহ লেখেন, "শুভ জন্মদিন। বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী নাহিদ ইসলাম।" তার এই মন্তব্য সামাজিক মাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নওগাঁয় ডাকাত দলের ৩ সদস্যসহ ৮ জন গ্রেপ্তার, উদ্ধার লুণ্ঠিত মালামাল
নিজের মূত্র পান করেছিলেন বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল
নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
কিছু লোডশেডিং না হলে ভর্তুকি বেড়ে যাবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা
গণপিটুনির পর কারাগারে ইমামের মৃত্যু, গাজীপুরের পূবাইলে চাঞ্চল্য
ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে শপথ না পড়াতে লিগ্যাল নোটিশ
পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে ৭টি অস্ত্রবাহী বিমান পাঠালো তুরস্ক
বিএনপির ৩ সংগঠনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু
জামিন পেলেন মডেল মেঘনা আলম
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন করলো সরকার
নিরীহ কাউকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা যাবে না: আইজিপি
পাকিস্তানে সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত: নিউইয়র্ক টাইমস
ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকির অভিযোগ দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে (ভিডিও)
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ