প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে কথা বলতে চান না ফখরুল
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর নিয়ে কথা বলতে চান না বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর) খালেদা জিয়ার গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে সমাধান একটাই, সেটা হচ্ছে এই সরকারকে অবশ্যই সরে যেতে হবে। তাদের সরে গিয়ে নির্দলীয় নিরক্ষেপ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। সংসদ বিলুপ্তি করতে হবে। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে তাদের অধীনে নির্বাচন হতে হবে। আমরা সেই লক্ষ্যে এগুচ্ছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অনির্বাচিত আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতায় টিকে থাকার একমাত্র উপায় হচ্ছে সন্ত্রাস সৃষ্টি করা। ভয়-ভীতি গুম খুন হত্যা করে এখন ক্ষমতায় ঠিকে আছে তারা। বিএনপির কর্মসূচিতে জনসম্পৃক্ততা দেখে আওয়ামী লীগ ভীত হয়ে পড়েছে। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে এখন থেকেই বিরোধীদলমুক্ত নির্বাচনী মাঠ গড়তে সারাদেশে বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাচ্ছে। আমাদের স্পষ্ট কথা— নির্বাচন নির্বাচন খেলার প্রয়োজন কী… নির্বাচন বাদ দিয়ে সরাসরি উত্তর কোরিয়ার মতো ঘোষণা দিয়ে দেন। এক দল, এক ব্যক্তি ক্ষমতায় থাকবে। তাহলে তো দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় কারো প্রাণ দেওয়ার প্রয়োজন নাই।’
বাংলাদেশের ভেতরে মিয়ানমারের মর্টার সেল পাওয়া গেছে এমন প্রশ্নে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘অনির্বাচিত সরকার হলে প্রতিবাদ করতে তাদের সেই শক্তি থাকে না। এই সরকারের কোনো শক্তি নেই। এরা টিকে আছে অন্যের শক্তি দিয়ে, তাই নিজের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ভূমিকা নিতে পারে না, বিদেশির উপর নির্ভর করে থাকতে হয়। এদের নতজানু পররাষ্ট্র নীতি। হয়ত এবার বলবে আমরা মিয়নমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে কঠোর ভাষায় বিষয়টি তাদের সরকারকে অবহিত করেছি।’
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এই বিষয়ে আমি কথা বলব না।’
তিনি বলেন, ‘কনক নামে একজন পুলিশ কর্মকর্তা চাইনিজ রাইফেল দিয়ে দলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর র্যালীতে অংশ নেওয়া যুবদল কর্মী শাওন প্রধানকে গুলি করে হত্যা করেছে। এরা কথা কথায় গুলি করে, আইন বলতে তারা কিছু মানে না। প্রধানমন্ত্রী আবার বলছেন, আক্রান্ত হলে পুলিশ কী বসে থাকবে। আমি বলতে চাই, তদন্ত করে দেখুন। কে কার দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছে, আর কার উপর গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে।
পুলিশের গুলিতে নিহত যুবদল কর্মী শাওন প্রধানের হত্যার নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রতিটি হত্যা মামলা বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালিয়ে যাব। আমরা প্রতিটি হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি, জড়িতদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, সারাদেশে দলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন তিন জন, আহত দুই হাজারের অধিক, গ্রেপ্তার দুইশর অধিক, নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়েছে চার হাজার ৮১ জনের অধিক নেতাকর্মীকে, অজ্ঞাত আসামি ২০ হাজার, বাড়িঘরে হামলা হয়েছে ৫০ স্থানে।
এমএইচ/আরএ/