বাংলাদেশের রাজনীতির পরিচ্ছন্ন পুরুষ বি. চৌধুরী : মেজর মান্নান
সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং বাংলাদেশের বরেণ্য চিকিৎসাবিদ অধ্যাপক ড. এ. কিউ. এম. বদরুদ্দোজা চৌধুরীর রাজনৈতিক দল ‘বিকল্পধারা বাংলাদেশ’।
১ ও ২ সেপ্টেম্বর তাদের দল দুই দিনের বর্ধিত আলোচনা সভার আয়োজন করেছেন নেতা, কমী ও শুভাকাংখীদের নিয়ে।
এই সভার সভাপতি ছিলেন প্রতিষ্ঠাতা ও বরেণ্য চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ. কিউ. এম. বদরুদ্দোজা চৌধুরী।
আজ বিকাল ৩টায় সভার শেষদিনের কাযর্ক্রম শুরু হয়। সন্ধ্যা ৬টায় শেষ।
শেষ দিনের আলোচনা সভার সভাপতি বিকল্পধারার মহাসচিব ও বিখ্যাত শিল্পপতি মেজর (অব.) আবদুল মান্নান এম.পি তাদের দলকে একটি ‘প্রতিবাদী দল’ হিসেবে জানিয়েছেন।
তিনি আরো বলেছেন, ‘বিএনপি শহীদ প্রেসিডেন্ট ও মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার, সাবেক সেনাবাহিনী প্রধান মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান, বীরউত্তমের আদর্শ থেকে বিচ্যুত হওয়ার প্রতিবাদ করেই আমরা আমাদের দল থেকে পদত্যাগ করে বিকল্পধারা গঠন করেছি। আমাদের দল আন্দোলনের নামে জ্বালাও, পোড়াও ও দেশ ধ্বংসের রাজনীতি চায় না।’
দলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ অধ্যাপক ডা. এ. কিউ. এম, বদরুদ্দোজা চৌধুরী আজকের সভায় ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেছেন।
তার বিষয়ে মহাসচিব মেজর (অব.) মান্নান বলেছেন, ‘আমাদের দলের সভাপতি ও বাংলাদেশের রাজনীতির পরিচ্ছন্ন পুরুষ-সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ডা. এ. কিউ.এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী সারাজীবন সরল ও সৎ থেকেছেন। তিনি নীতি-আদর্শ রক্ষা করেছেন। আপস করেননি। বিএনপি তাকে অন্যায়ভাবে রাষ্ট্রপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে আদর্শ বিসর্জন না দিয়ে ও কোনো সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি না করে তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন।’
বিকল্পধারার মহাসচিব বলেছেন, ‘বিএনপি দলের অন্যতম প্রধান নেতা সারা দেশে বিখ্যাত বি. চৌধুরীকে বহিস্কার করার সুযোগ পায়নি। বরং তিনিই বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে ভিন্নধারার রাজনৈতিক দলটি প্রতিষ্ঠা করেছেন।’
মেজর (অব.) আবদুল মান্নান দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতি প্রতিরোধে সরকারকে পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি দলীয় কর্মীদের নিবিড়ভাবে রাজনৈতিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণের করার আহ্বান জানিয়েছেন ও বলেছেন, ‘বাংলাদেশে যেকোনো মূল্যে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। আন্দোলনের নামে জ্বালাও, পোড়াও ও দেশ ধ্বংসের রাজনীতি আমরা কখনো কেউ চাই না।’
এই সভায় আরো অংশ নিয়েছেন এবং বক্তব্য দিয়েছেন বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য মজহারুল হক শাহ চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. রফিকুল ইসলাম চৌধুরী; জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি মো. মহসিন চৌধুরী, ভূদেব চক্রবর্তী, মাহমুদা চৌধুরী, ওবায়েদুর রহমান মৃধা; যুগ্ম মহাসচিব এনায়েত কবির, সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার ওমর ফারুক, অধ্যাপক বি.চৌধুরীর পক্ষে মেয়ে ডা. শায়লা চৌধুরী।
আরো বক্তৃতা দিয়েছেন বিকল্প যুবধারার সভাপতি আসাদুজ্জামান বাচ্চু, শ্রমজীবীধারার সভাপতি আইনুল হক ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুল হক সুমন; স্বেচ্ছাসেবক ধারার সভাপতি আবুল বাশার, যুবধারার জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম নিশি, সহ-সভাপতি সম্রাট ইকবাল হোসেন ভূঁইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম শিহাব, শওকত হোসেন মাসুম; বি. চৌধুরীর পাঁচবার নির্বাচিত হবার রাজনৈতিক এলাকা মুন্সিগঞ্জের সিরাজদী খান থানা বিকল্পধারার যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান চন্দন, শ্রীনগর উপজেলা যুবধারার আহ্বায়ক আনোয়ার হোসোন; মেজর মান্নানের নির্বাচনী এলাকা নোয়াখালী বিকল্পধারার আহ্বায়ক শাহাদাৎ হোসেন।
আরো বক্তব্য দিয়েছেন নাটোর বিকল্পধারার রাকিব হোসেন, টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলা বিকল্পধারার আহ্বায়ক আবুল হাসেম দুর্জয়, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
ওএফএস।