হাসিনাকে বিদায় করতে না পারলে এই দেশের স্বাধীনতা বিপন্ন হবে: ফখরুল
এই সরকারকে বিদায় করতে না পারলে এই দেশের সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার বিকালে ঠাকুরগাঁও শহরের পাবলিক ক্লাব মাঠে বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও বিদেশে সুচিকিৎসার দাবিতে সমাবেশে বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
এ সময় ফখরুল বলেন, ‘এই সরকার জনগণের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। এই সরকার বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। এই সরকার মানুষের অধিকারকে ধ্বংস করে দিয়েছে। তাই গণতন্ত্রকে উদ্ধারের জন্য, দেশনেত্রীর মুক্তির জন্য, তরুণ নেতা তারেক রহমানকে ফিরিয়ে আনার দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।’
এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘এই ৩০শে ডিসেম্বর ভোট না করেই এই সরকার ক্ষমতায় এসেছিল। আজকের এই দিনকে আমরা ভোটাধিকার হরণ দিবস হিসেবে পালন করি। আমাদের ভোটের অধিকার আমরা ফেরত পেতে চাই। আমাদের পত্রিকায় লেখার অধিকার আমরা ফেরত পেতে চাই। এই যে সাংবাদিক ভাইয়েরা এখানে আছে তারা সব কিছু লিখতে পারবে না। কারণ তাদের ওপর দেওয়া আছে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন। কিছু বললেই মামলা দিয়ে সাংবাদিককে জেলে দেওয়া হয়।’
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, আজ র্যাবকে ও পুলিশের প্রধানকে আমেরিকায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এটি আমাদের জন্য লজ্জার। আজকে এর জন্য প্রধানমন্ত্রীকে লজ্জা পাওয়া দরকার। আজকে সরকার বিচার বিভাগকে ধ্বংস করে দিয়েছে। প্রশাসনকে দলীয়করণ করেছে। আবার নতুন কৌশল করেছে সরকার প্রিজাইডিং অফিসারকে দিয়ে ভোট চুরি। এই সরকারকে তাড়াতাড়ি বিদায় করতে না পারলে এই দেশের মানুষ স্বাধীনতা পাবে না।’
ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির যুন্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহাবুব উদ্দিন খোকন, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবীব দুলু, সহ-সম্পাদক কেন্দ্রীয় কমিটি ও সাধারণ সম্পাদক মুন্সিগঞ্জ জেলা বিএনপি কামরুজ্জামান রতন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, সাবেক ছাত্রনেতা ও নির্বাহী সদস্য কেন্দ্রীয় কমিটি সাঈদ সোহরাব, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কেন্দ্রীয় কমিটি ও মেয়র দিনাজপুর পৌরসভা সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, সহ সভাপতি কৃষক দল কেন্দ্রীয় কমিটি জামাল উদ্দিন খান মিলন, আহব্বায়ক পঞ্চগড় জেলা বিএনপি জাহিরুল ইসলাম কাচ্চু, পৌর বিএনপি সভাপতি ও জেলা আইনজীবি সমিতি সভাপতি আব্দুল হালিম, জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী ফোরাতুন নাহার প্যারিস, ছাত্র দলের সভাপতি কায়েস প্রমুখ।
/এএন