ইসি গঠনে সংলাপ সময়ের অপচয়: বিএনপি
নিরপেক্ষ প্রশাসনের সাংবিধানিক নিশ্চয়তা ছাড়া নির্বাচন কমিশনের গঠন নিয়ে সংলাপ শুধু সময়ের অপচয় বলে মনে করছে বিএনপি।
দলটির মতে, রাষ্ট্রপতি নিজেই বলেছেন তার কোনও ক্ষমতা নেই পরিবর্তন করার। সে কারনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপ কোনো ইতিবাচক ফলাফল আনতে পারবে না। বিএনপি অর্থহীন কোন সংলাপে অংশগ্রহণ করবে না।
বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকের পর এমন এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
গত ২৭ ডিসেম্বর বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির এক ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য যথাক্রমে-ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
স্থায়ী কমিটির সভায়, নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে নিবন্ধনকৃত বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, বিএনপি মনে করে বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন এবং নিরপেক্ষ প্রশাসনের সাংবিধানিক নিশ্চয়তা ছাড়া নির্বাচন কমিশনের গঠন নিয়ে সংলাপ শুধু সময়ের অপচয়।
গত দুইটি নির্বাচন কমিশন গঠনের পূর্বে রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণে নিবন্ধণকৃত রাজনৈতিক দল গুলো অংশ নিয়ে তাদের মতামত দিয়েছিল। বিএনপি নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রক্রিয়া নিয়ে সুস্পষ্ট প্রস্তাব লিখিত ভাবে রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দিয়েছিল। কিন্তু সব উদ্যোগই ব্যর্থ হয়েছে নির্বাচনকালীন সময়ে আওয়ামী লীগের দলীয় সরকার ক্ষমতায় থাকার কারণে। রাষ্ট্রযন্ত্রকে বেআইনি ব্যবহার, নির্বাচন কমিশনের চরম ব্যর্থতা, অযোগ্যতার কারনে নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস হয়েছে।
বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেন, ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট প্রদান প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে। নির্বাচন কমিশন আওয়ামী লীগের দলীয় সংগঠনে পরিণত হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপ কোনো ইতিতবাচক ফলাফল আনতে পারবে না। বিএনপি অর্থহীন কোন সংলাপে অংশগ্রহণ করবে না।
এনএইচ/এমএমএ/