সাহস থাকলে মাঠে আসুন খেলা হবে: ওবায়দুল কাদের
ফাইল ফটো
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘লং ডিসটেন্স থেকে রিমোট কন্ট্রোল লিডারশিপ ডাক দিলে বাংলাদেশের পদ্মা মেঘনা যমুনায় ঢেউ আসবে না, এই রাজপথে আন্দোলন হবে না, আন্দোলন যদি করতে চান, আপনাদের ভারপ্রাপ্ত নেতাকে বলেন, সৎ সাহস থাকলে মাঠে আসুন, মাঠে মোকাবেলা হবে, খেলা হবে। সেখানেই দেখা যাবে জনগণ কার সঙ্গে আছে’।
বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) দুপুরে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের হাজারীবাগ থানাধীন ১৪ ও ২২ ওয়ার্ডের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে এ সব কথা বলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
ওবায়দুল কাদের বলেন, যতই তারা বিষোদগার করুক, যতই মিথ্যাচার করুক, লং ডিসটেন্স থেকে রিমোট কন্ট্রোল লিডারশিপ ডাক দিলে বাংলাদেশের পদ্মা মেঘনা যমুনায় ঢেউ আসবে না, এই রাজপথে আন্দোলন হবে না মির্জা ফখরুল সাহেব? ১৩ বছরে বুঝেননি? কত ডাক দিলেন রোজার ঈদ, কোরবানির ঈদ, পরীক্ষার পর, আপনাদের ডাকে কি জনগণ সাড়া দিয়েছে? রিমোট কন্ট্রোল ডাকে আন্দোলন এদেশে হবে না।
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, আপনারা শুধু ধ্বংস দেখেন, আপনারা শুধু ব্যর্থতা দেখেন। যারা এদেশে ক্ষমতার রাজনীতিতে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে, আজকে তাদের নেতারা, তারা দেশ ভালো থাকলে তাদের মন কেন খারাপ হয়? এই প্রশ্নের জবাব আমি জানতে চাই দেশটা ভালো চললে তাদের কেন মন খারাপ হয়ে যায়? দেশের ভালো তারা চায় না। তারা চায় নিজেদের ভাগ্যের উন্নয়ন, নিজেদের পকেটের উন্নয়ন চায়। তারা চায় ক্ষমতায় আসলে আবারও হাওয়া ভবন। তারা চায় ক্ষমতায় আসলে আবারও মাইনরিটি নিপীড়ন, তারা চায় ক্ষমতায় আসলে আবারও হত্যা খুনের রাজনীতি, তারা চায় ক্ষমতায় আসলে আর একটা একুশে আগস্ট এ মাটিতে হবে। আর একটা ১৫ই আগস্টের ভয় দেখায়, হুমকি দেয় তারপরেও বলে সরকার তাদের কথা বলতে দেয় না। তারপরও বলে দেশে গণতন্ত্র নেই? কিভাবে গণতন্ত্র আসবে? স্থানীয় সরকার নির্বাচন করতে করতে এক পর্যায়ে বয়কট করলেন। দলের লোকেরা ঠিকই ঘোমটা পরে নামল, ঘোমটা পরে স্বতন্ত্র ইলেকশন কিন্তু তারা করেছে। এখনও নির্বাচনের বিরুদ্ধে নানা কথা বলছে।
তিনি বলেন, নির্বাচনে বিএনপি আসবে, আসতে হবে। অস্তিত্বের জন্য আসতে হবে। খাদের কিনারায় এসে গেছে, দলকে রক্ষা করতে হলে আসতে হবে। দলকে রক্ষা করতে হলে অস্তিত্ব রক্ষা করতে হলে তাদের নির্বাচনে আসতে হবে। ক্ষমতার পরিবর্তন এই দেশে নির্বাচন ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই। নির্বাচন করেই ক্ষমতার পরিবর্তন করতে হবে। যদি জনগণ তাদের চায় তারা বিজয়ী হবে। এই কথা আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা বারবার বলেছেন 'জনগণ না চাইলে আমরা বিদায় নেব'।
আওয়ামী সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশে পাওয়ার সংকট নেই, পাওয়ার সংকট যেটুকু আছে এটুকু সাময়িক। জ্বালানি খাদ্যের আমাদের অভাব নেই। আমাদের ক্রাইসিস ম্যানেজার, আমাদের ট্রাভেল সুটার শেখ হাসিনা আজকে পরিস্থিতি ভারসাম্যমূলকভাবে মোকাবিলা করে যাচ্ছেন। তিনি সামলিয়ে যাচ্ছেন। নেত্রীর উপর আস্থা রাখুন। তিনি যা বলেন তা করেন। ক্ষমতায় বসে নিজেদের ভাগ্য উন্নয়নের কোনো মানসিকতা নেই। বাংলাদেশে গত ৪৭ বছরে এমন সব নেতা শেখ হাসিনার মত এত পরিশ্রমী নেতা, এত ত্যাগী নেতা তিনি দিনরাত দেশের কথা ভাবেন। এরকম নেতা এদেশে আর আসেনি। তার সৎ সাহস আছে সত্য কথা বলেন। লোডশেডিং হবে সারাদেশে। কোথায় কি অবস্থা হবে কোনো প্রকার ভূমিকার আশ্রয় না নিয়ে আগেভাগেই সেটা সরকারের পক্ষ থেকে বলে দিয়েছেন। দেশের জনগণ নেত্রীকে বিশ্বাস করে, পদ্মা সেতু স্বপ্ন নয় দৃশ্যমান বাস্তবতা। শেখ হাসিনা যা করছেন সবই দৃশ্যমান বাস্তবতা। দেশের মানুষের চোখের সামনে সব।
তিনি আরও বলেন, আপনারা চোখে সরষে ফুল দেখছেন। শেখ হাসিনার এসব উন্নয়ন অর্জনের মানুষ যখন খুশি তখন আপনাদের বুকে বড় বেদনা, আপনাদের অন্তরের কষ্ট। এ কষ্ট আপনারা কিছুতেই ভুলতে পারছেন না।
দলের নেতা কর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ঢাকা মহানগর সত্যিকার অর্থে আওয়ামী লীগের ইঞ্জিন। ইঞ্জিন না চললে বগি চলে না। সেই ইঞ্জিনের রূপ অনেকদিন পর আওয়ামী লীগ ফিরে পেয়েছে। আওয়ামী লীগ নবরূপে বলিয়ান হয়েছে, নবশক্তিতে উজ্জীবিত হয়েছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে আওয়ামী লীগের অদম্য গতি কেউ রুখতে পারবে না।
এসএম/আরএ/