গণমাধ্যমকর্মীদের পড়াশোনা করার তাগিদ ফখরুলের
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আপনারা পড়াশোনা করেন, আমার অনুরোধ থাকবে কিছু মনে করবেন না। যদি ইতিহাস দেখেন তাহলে দেখবেন যে, আমি যে কথা বলেছি সেটা সত্য। এরমধ্যে এতটুকু বিভ্রান্তি নেই। যারা এই নিয়ে কথা বলছে-এই অবস্থা আপনাদের চ্যানেলের দর্শক-শ্রোতা বাড়ানোর জন্য রাজনৈতিক সত্যটাকে বিকৃতি করা সঠিক হবে না।’
মঙ্গলবার (৭ জুন) গুলশানে খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পদ্মা সেতু বিএনপির শাসনামলে ভিত্তিপ্রস্তর করা হয়ে থাকলে তথ্যপ্রমাণ দেওয়ার কথা বলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘দেশের প্রতিটি কনটেইনার ডিপোর জন্য কিছু রুলস রেজুলেশন আছে এটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে এবং তার উপর সরকারের কন্ট্রোলিং অথরিটি আছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এগুলো কেউ মনিটরিং করে না। যাদের দায়িত্ব আছে এগুলো সমন্বয় করার কিন্তু তারাও করে না। কারণ এই সরকারের প্রধান সমস্যা হচ্ছে-যেহেতু এই সরকারকে সাধারণ জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হয় না।’
সংসদে কোনো উত্তর দিতে হয় না। সংসদ তাদের নিজেদের মতো তৈরি করা। কোথাও কোনো কিছুর জন্য জবাব দিতে হয় না। এ কারণেই তারা বলগাহীনভাবে যা খুশি তাই করে চলেছে। যাদের কে তারা দায়িত্ব দিয়েছে তারাও এখন সরকারের কাছে জবাব দেয় না-সরকারও জবাব নেয় না। মূল কথা রাষ্ট্র কাজ করছে না, রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ করছে না। যে কথাটা আমি প্রায়ই বলি-এটা একটা ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। যার ফলে আজকে এই অবস্থা তৈরি হয়েছে। আমরা বলছি- আসলে সবচেয়ে বড় প্রয়োজন জবাবদিহিমূলক সরকার। যারা জবাব দিতে বাধ্য, সংসদে জবাব দিবে, জনগণের কাঝে জবাব দিবে, মিডিয়ার কাছে জবাব দিবে। আপনারা কিছু কথা জিজ্ঞাসা করেন তারপর কিছু সত্য বেরিয়ে আসে। অবশ্য সেখানেও সাড়াশি আক্রমণ করছে, যোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘সরকারের জবাবদিহি করার প্রয়োজন নাই তাকে নির্বাচনও করতে হয় না। বিগত দিনে অগ্নিকাণ্ডের কোনো ঘটনায় কারও বিচার হয়নি। ভবিষ্যতে যাতে এই ধরণের ঘটনা না ঘটে সে ব্যাপারেও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি সরকার। এখন দেখা যাচ্ছে সীতাকুণ্ডে অত্নিবিস্ফোরণ ডিপোর লাইসেন্সও নবায়ন করা হয়নি। গতকাল সংসদে আমাদের দলের সংসদ রুমিন ফারহানা সত্য কথা বলেছেন যে, এদের ডিপো বিস্ফোরণে জড়িতদের (সরকার) কে হত্যার অভিযোগ এনে তাদের ট্রায়াল হওয়া উচিত। আমি অবিলম্বে সীতাকুণ্ডে ডিপো বিস্ফোরণ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তাতারের মাধ্যমে দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে এসেছে বিচারের মুখোমুখি করা উচিত।’
তারেক রহমান বিদেশের নাগরিক ওবায়দুল কাদেরের দেওয়া বক্তব্যের তীব্র সমালোচনায় মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তারেক রহমান জন্মগতভাবে বাংলাদেশের নাগরিক এবং অ্যে কোনো দেশের নাগরিকত্বের জন্য আবেদনও করেননি।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে আওয়ামী লীগ সরকারের চক্রান্তের ফলে তিনি নির্বাসিত অবস্থায় বৈধভাবেই যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন। জনাব কাদেরর বক্তব্যে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও রাজনৈতিকহীন উদ্দেশ্য প্রণোদিত। তার বক্তব্যে অসত্য তথ্য প্রদানের জন্য বক্তব্যে প্রত্যাহার করে জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত।’
এমএইচ/এমএমএ/