বর্তমান শাসন মাফিয়াদের: রিজভী
বর্তমান সরকারের শাসন পদ্ধতি মাফিয়াদের মতো এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, তারা (সরকার) সারাদেশে স্বাভাবিক পরিস্থিত রাখতে চায় না। তাদের শাসন পদ্ধতি মাফিয়াদের মতো। মাফিয়ারা যেমন কোনো নিয়ম কানুন এবং আইনের তোয়াক্কা করে না তাদের কোনো স্বার্থে আঘাত আসলে গুলি পর্যন্ত করে। এই সরকার পুরোপুরিভাবে মাফিয়াদের বৈশিষ্ট সম্বলিত। গোটা দেশটাকে তারা দখল করে দেশের মানুষকে পরাধীন করে রেখেছে।
শনিবার (৪ জুন) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে বিরোধীদলের সভা-সমাবেশের কোন অধিকার নেই। বিএনপি কোন সমাবেশ করতে গেলে প্রেসক্লাবের সামনে চারদিক ঘেরা স্থানে অনুমনি দেওয়া হয়। অথচ আজ গণমাধ্যমে দেখলাম রাজধানীর ৭টি বড় পয়েন্টে আওয়ামী লীগ সমাবেশ করছে। এক দেশে দুই আইন চলছে।
রিজভী বলেন, সরকারের মন্ত্রীদের নির্দেশেই বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের উপর একের পর এক হামলা করা হচ্ছে। ঢাবিতে ছাত্রদলের উপর ছাত্রলীগের সশস্ত্র হামলার পর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছাত্রলীগকে বাহবা দিয়েছেন। তাদেরকে ভবিষ্যতে আরও হামলা করার জন্য উৎসাহিত করেছেন।
বিএনপির এই মুখপাত্র অভিযোগ করে বলেন, খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ওয়াদুদ ভূইয়াকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার বাসভবনে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের মিছিল থেকে হামলা চালিয়ে তার বাড়ির আসবাবপত্র, গাড়ী ভাংচুর করে এবং ৪টি মটর সাইকেল জ্বালিয়ে দেয়। এছাড়াও আশেপাশের বিএনপি সমর্থিত ব্যবসায়ীদের অন্তত ২৫টির অধিক দোকান ভাংচুর ও লুটপাট করে এবং আওয়ামী সন্ত্রাসীরা পুলিশের সহযোগিতায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের উপর হামলা করে, একই সময় বাংলাভিশন টেলিভিশনের রিপোর্টার এইচ এম প্রফুল্লোর বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে।
নোয়াখালী জেলাধীন বেগমগঞ্জ উপজেলায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু ও স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা দুস্থ ও অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্য বিরতণ করার সময় আওয়ামী, যুবলীগ ও ছাত্রলদীগের সন্ত্রাসীরা অতর্কিত হামলা চালিয়ে ও ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে দুস্থ মানুষের খাদ্য ছিনিয়ে নেয় এবং বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর হামলা করে।
এসময় বিএনপির প্রায় ৫০ জনের অধিক নেতাকর্মী আহত হয়। সেখানে সাংবাদিকরা ভিডিও ফুটেজ ধারণ করতে গেলে এক সাংবাদিকের উপর আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ব্যাপক চড়াও হয়ে তাকে মারধর করে মুঠো ফোন ছিনিয়ে নেয়। এসময় তিনি বিভিন্নস্থানে বিএনপির কর্মসূচিতে হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। একই সঙ্গে হামলায় জড়িত সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল খালেক, মোঃ মুনির হোসেন, তারিকুল ইসলাম তেনজিং,আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এএজেড