বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১৩ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

আস্থা ও মনেবলে অটুল থাকলে বিনা যুদ্ধে জয়লাভ করা যাবে: গয়েশ্বর

অঙ্গীকারের প্রতি দেশের জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক শক্তির সাহস, আস্থা ও মনোবল অটুল থাকলে বিনা যুদ্ধে সরকারের বিরুদ্ধে জয় লাভ করা যাবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
তিনি বলেন, এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না বলে দেশের গণতান্ত্রিক ও জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দল ও শক্তিসমূহ অঙ্গীকার করেছেন। এই অঙ্গীকারের প্রতি দেশ ও জনগণের কথা মাথায় রেখে আস্থা, বিশ্বাস এবং মনোবল ঠিক রাখা গেলে সরকারের বিরুদ্ধে বিনাযুদ্ধে আমরা জয়লাভ করতে পারব।

শনিবার ৪ জুন জাতীয় প্রেসক্লাবে শ্রমিক দলের উদ্যোগে ‘বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রয়াত জিয়াউর রহমানের ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকীর আলোচনা সভায় গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এসব কথা বলেন।

ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশ্যে গয়েশ্বরচন্দ্র রায় বলেন, ১৯৭১ সালে ১৬ ডিসেম্বর সকাল বেলাও সৈনিকরা জানত না একটু পরে পাকিস্তান আত্মসমর্পন করতে যাচ্ছে। ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা জানত না এরশাদকে পদত্যাগ করতে হবে। আজকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নিচের দিকের নেতা-কর্মীদের যে আষ্ফালন দেখে মনে হচ্ছে তারাও জানেন না তাদের নেত্রী কখন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মতো কখন আত্মসমার্পন করে এরশাদের মতো পদত্যাগ করবেন। এই অবুঝ আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের বলি রাস্তায় নেমে আমাদের ওপর আক্রমণ, অথবা মারামারি ও গোলাগুলি করার আগে আপনার নেত্রীর কাছে কানে কানে জিজ্ঞাস করেন, তিনি কি আত্মসমর্পন করবেন না? যদি করে কখন? তারিখটা খুব কাছাকাছি। ১৩ বছর যেহেতু আমরা অপেক্ষা করছি, কয়েকটা দিন বা মাস এটা তো অনেক দিন না?

তিনি বলেন, কারণ, রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য বড় শক্তি অর্থনৈতিক ম্যানেজমেন্ট। এর মধ্যে দেখা গেছে ১০ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে সাড়ে ছয়’শ কোটি টাকা নেই, শেয়ার মার্কেট থেকে প্রায় ৯০ লাখ কোটি টাকা নাই-এভাবে অর্থনৈতিক অবস্থা শূন্য হয়ে গেছে। আগে তো তলাবিহীন ঝুঁড়ি ছিল, এখন হয়ত দেখা যাবে তলা আছে ঝুঁড়ি-ই নেই। সুতরাং এই অবস্থার মধ্যদিয়ে দেশ পরিচালনা করা খুব কষ্টের।

গয়েশ্বর বলেন, অর্থনীতির স্বাভাবিক একটা সূচক আছে, আমদানি রপ্তানির ক্ষেত্রে ৪ অথবা ৫ মাসের রিজার্ভ থাকলে তা ইতিবাচক বলা যায়। কিন্তু তা নেই। যদি থাকত তাহলে ব্যবসায়ীদের এলসি খুলতে ৭০ শতাংশ মার্জিন দিতে হতো না। আবার ব্যাংকের যে ডলারের মূল্য, তার সাথে বাইরের যে মূল্য ছিল দুই-তিন টাকা কমবেশি। কিন্তু এখন ব্যাংকের চেয়ে বাইরে ১২ টাকা কমবেশি। এই অবস্থায় বাইরে থেকে ডলার কিনে ৭০ শতাংশ মার্জিন দিয়ে এলসি খোলা হয় স্বাভাবিকভাবে পন্যের দাম ২০ শতাংশ বেড়ে যায়। সে কারনে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি এবং শ্রমিক ছাটাই। নতুন কোনো উৎপাদন ক্ষেত্র বা শিল্প কলকারখানা হচ্ছে না। অর্থনৈতিকভাবে এই সরকার দেউলিয়া অনেকটা।

তিনি বলেন, যত টাকা ধার করে উন্নয়নের নামে যার সিংগভাগ টাকা পাচার করা হয়েছে, সেই ধারের টাকার সুদ দিতে হবে দুই বছর পরে। এই সুদের টাকা এই সরকারের পক্ষে পরিশোধ করা সম্ভব হবে না। এ কারণে জিনিসপত্রের দাম কমানো যাবে না, মানুষের হাহাকার এবং অভাব-অটন দেখা দিয়েছে এটা তীব্র থেকে তীব্র হবে।

নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমাদের ওপর আঘাতের পর আঘাত করা,পুলিশ দিয়ে দমন করাও সম্ভব হবে না। এই সরকারের পক্ষে দেশ পরিচালনা করা সম্ভব নয়।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম বক্তব্যের রেশ ধরে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, সালাম সাহেব বলেছেন, এই সরকারের অধীনে আমরা কোনো নির্বাচনে যাব না। এটাই পুরো কথা নয়। পুরো কথা হচ্ছে, এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাব না, যে পার্লামেন্ট আছে তা বলবদ রেখেও আমরা নির্বাচনে যাব না। তাহলে কী করতে হবে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, পার্লামেন্ট বিলুপ্ত করতে হবে। নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের দিয়ে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গড়তে হবে। স্বাধীন এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন দরকার হবে। আমাদের নেতা খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দীদের নিশর্ত মুক্তি দিতে হবে। এটা আমাদের অঙ্গীকার।

গয়েশ্বর বলেন, আমাদের এই অঙ্গীকারের সাথে অন্যান্য জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দল যারা এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাব না অঙ্গীকার করেছেন সবাই যদি বাড়িতে ঘুমিয়েও থাকি তারপরও শেখ হাসিনা সরকারে থাকতে পারবে না। কারণ তার পক্ষে আরেকটি নির্বাচন করা সম্ভব নয়।

তিনি বলেন, আমরা আওয়ামী লীগের মতো জ্বালাও পোড়াও, হরতাল, অবরোধ না-ই করলাম, কিছুই দরকার নেই। এই সরকারের অধীনে শুধুমাত্র গণতন্ত্রমনা মানুষ অংশগ্রহণ না করলে হেলিকপ্টারে করে দেশ ত্যাগে বাধ্য হবে শেখ হাসিনাকে। তাই, সবাইকে ভোটাধিকারের আন্দোলনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইনের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম, হুমায়ুন কবির খান প্রমুখ।

 

এমএইচ/

Header Ad
Header Ad

ছোট অপরাধ বাড়লেও কমেছে বড় অপরাধ: আসিফ মাহমুদ  

ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ছবিঃ সংগৃহীত

রাজধানীতে সাম্প্রতিক সময়ে বড় ধরনের অপরাধ উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে, তবে ছোটখাটো অপরাধ কিছুটা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে বিজয় সরণিতে ঢাকা মহানগরের বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া জানান, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এখনও পুরোপুরি আগের অবস্থানে ফিরে আসেনি। এটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। তবে বাহিনীকে পুনর্গঠনের জন্য নতুন নিয়োগ ও প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে। আশা করা যায়, দ্রুতই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হবে।

সাম্প্রতিক অপরাধ দমনে পুলিশের পাশাপাশি সামরিক বাহিনীর সহযোগিতায় বিশেষ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর আওতায় চিহ্নিত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।

ছিনতাই ও ছোট অপরাধ বেড়েছে স্বীকার করে আসিফ মাহমুদ বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ছিনতাইসহ ছোটখাটো অপরাধ কিছুটা বেড়েছে। তবে এরই মধ্যে বিশেষ টহল ও চেকপোস্ট স্থাপনের মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে।

'আমরা বিভিন্ন এলাকার মোড়ে মোড়ে পুলিশের উপস্থিতি নিশ্চিত করেছি। সেনাবাহিনী ও অন্যান্য বাহিনীর সহায়তায় ব্লক রেইড ও নজরদারি চালানো হচ্ছে। আশা করছি দ্রুতই পরিস্থিতির উন্নতি হবে' বলেন উপদেষ্টা।

তিনি আরও বলেন, যে কোনও দেশেই অপরাধ থাকে, তবে সেটি নিয়ন্ত্রণে রাখা সরকার ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্ব। বড় ধরনের অপরাধ যেমন, খুন, ডাকাতি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে এসেছে, তবে সাম্প্রতিক সময়ে ছিনতাই কিছুটা বেড়েছে। আশা করছি, এটিও দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসবে।

সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া বিভিন্ন অপরাধের ভিডিও নিয়ে তিনি বলেন, একটি ঘটনা ভাইরাল হলে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়, যা বাস্তব পরিস্থিতির চেয়ে বেশি মনে হতে পারে। অপরাধের প্রকৃত চিত্র বুঝতে পরিসংখ্যানের ওপর নির্ভর করা উচিত।

চাঁদাবাজি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর দেখা গেছে, আগের চাঁদাবাজদের জায়গায় নতুনরা এসেছে। তাদের পেছনে রাজনৈতিক ইন্ধনও রয়েছে। আমরা রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতাদের আহ্বান জানাই, যেন তারা এসব অপরাধকে প্রশ্রয় না দেন।

তিনি বলেন, আমরা দেখেছি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা প্রকাশ্যে অস্ত্র হাতে চাঁদাবাজির ঘোষণা দিচ্ছে। এটি দুঃখজনক। সরকার চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে।

জামিনে মুক্ত হয়ে আসা অপরাধীদের বিষয়ে তিনি বলেন, আগে যারা অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল, তারা এখনও তাদের সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকার চেষ্টা করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের নজরদারিতে রেখেছে এবং প্রয়োজনে আবারও গ্রেফতার করা হবে।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী ও ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।

Header Ad
Header Ad

নায়িকার মামলায় জাজের আজিজের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা  

জাকিয়া জামাল মুন ও জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার আবদুল আজিজ। ছবিঃ সংগৃহীত

ঢালিউডের নবাগত নায়িকা জাকিয়া কামাল মুনের দায়েরকৃত প্রতারণার মামলায় প্রযোজনা সংস্থা জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার আবদুল আজিজের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

গত রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ এহসানুল ইসলামের আদালত তাকে গ্রেপ্তারের আদেশ দেন।

মামলার নথি থেকে জানা গেছে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এক লিখিত চুক্তির মাধ্যমে ‘পাপ’ সিনেমা নির্মাণে সহযোগিতার জন্য প্রযোজক আবদুল আজিজকে এককালীন ৬০ লাখ টাকা প্রদান করেন নায়িকা জাকিয়া কামাল মুন। একই বছরের মার্চের মধ্যেই সিনেমার কাজ শেষ করার কথা ছিল।

চুক্তিনামার শর্ত অনুযায়ী বিনিয়োগকৃত টাকা ফেরত দেননি আবদুল আজিজ। এ ব্যাপারে বারবার আইনজীবীর মাধ্যমে নোটিশ করা হলেও তা উপেক্ষা করেছেন তিনি। বিপরীতে গত বছরের মে মাসে ‘পাপ’ সিনেমাটি একটি ওটিটি প্ল্যাটফর্মে এক কোটি ১০ লাখ টাকায় বিক্রি করেন জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার আবদুল আজিজ।

আরও জানা গেছে, আবদুল আজিজ টাকা ফেরত প্রদানে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। এমনকি হুমকি দিয়েছেন যে, বেশি বাড়াবাড়ি করলে বাদীর ক্যারিয়ার ধ্বংস করে দেবেন।

এদিকে এ ব্যাপারে অভিনেত্রী মুন বলেছেন, আমি বারবার টাকা ফেরত চেয়েছি। কিন্তু তিনি দেননি। এমনকি আমার ফোনও ধরছেন না তিনি। বরং আমাকে আরও ভয়-ভীতি দেখাচ্ছেন। এ কারণে বাধ্য হয়েই মামলা করেছি আমি।

অন্যদিকে মামলার ব্যাপারে জানার জন্য সংবাদমাধ্যম থেকে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি আবদুল আজিজের।

২০১২ সালে জাজ মাল্টিমিডিয়ার প্রথম সিনেমা ‘ভালোবাসার রঙ’ মুক্তি পায়। পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠানটির ব্যানারে একাধিক সুপারহিট সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। যা দর্শকমহলে ব্যাপক প্রশংসিতও।

Header Ad
Header Ad

মধুর ক্যান্টিনে বিকেলে যাত্রা শুরু করবে সমন্বয়কদের নতুন ছাত্রসংগঠন

ছবিঃ সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধীদের নতুন ছাত্রসংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটতে যাচ্ছে আজ। বিকেল ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করবে সংগঠনটি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে বেরিয়ে নতুন ছাত্রসংগঠন করতে যাচ্ছে জুলাই অভ্যুত্থানে সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের একটি অংশ।

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নতুন ছাত্রসংগঠনের সঙ্গে যুক্ত আল মাশনুন নামের এক শিক্ষার্থী এ তথ্য জানান।

সূত্র জানায়, সংগঠনটির বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির সমন্বয়ে গঠিত রাজনৈতিক দল বা মূল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক থাকবে না। দলটি কোনো লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতিতে জড়িত হবে না। কোনো ‘মাদার সংগঠন’-এর অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়ন বা কোনো রাজনৈতিক দলের কথামতো তারা সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করবে না। বলা হচ্ছে সংগঠনটির আয়ের উৎস হবে অভ্যন্তরীণ নেতাকর্মীদের মাসিক চাঁদা। প্রয়োজন মাফিক শুভাকাঙ্ক্ষীদের থেকেও অনুদান সংগ্রহ করা হতে পারে।

সংগঠনটির নির্বাচনে ‘টপ টু বটম’ গণতান্ত্রিক পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে। তাছাড়া সংগঠনের সম্ভাব্য কর্মপদ্ধতি অনুযায়ী বয়স নির্ধারিত থাকবে। কোনো শিক্ষার্থী সংগঠনটিতে আসতে চাইলে তার বয়স সর্বোচ্চ ২৮ হতে পারবে।

আবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির ক্ষেত্রে তার অনার্সে ভর্তির পর থেকে সাত বছর সময় হতে পারবে। তার মানে ছাত্র ব্যতীত কেউ এ সংগঠনের কমিটিতে আসার সুযোগ পাবে না।

তাছাড়া মূলধারার রাজনৈতিক পরিসরে নারীদের যে অনুপস্থিতি রয়েছে সেটিকে চিহ্নিত করে নারীর রাজনৈতিক মানদণ্ড বিনির্মাণ করা, রাজনৈতিক চর্চার পরিবেশ তৈরি করা এবং রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে নারীবান্ধব করে তোলার মাধ্যমে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলের জন্য সমান সুযোগের সৃষ্টি করার লক্ষ্যে সংগঠনটি কাজ করে যাবে বলেও প্রত্যাশা রাখেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

সূত্রে জানা যায়, আত্মপ্রকাশ করতে যাওয়া সংগঠনটির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হওয়ার দৌড়ে আলোচনায় আছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার। অন্যদিকে ঢাবির আহ্বায়ক পদের আলোচনায় রয়েছেন ৯ দফার ঘোষক আব্দুল কাদের।

অন্যদিকে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে নতুন একটি রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে। ২৮ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদ ভবন সংলগ্ন মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে নতুন রাজনৈতিক দলটি আত্মপ্রকাশ করবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ছোট অপরাধ বাড়লেও কমেছে বড় অপরাধ: আসিফ মাহমুদ  
নায়িকার মামলায় জাজের আজিজের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা  
মধুর ক্যান্টিনে বিকেলে যাত্রা শুরু করবে সমন্বয়কদের নতুন ছাত্রসংগঠন
১৩ মার্চ ঢাকায় আসছেন জাতিসংঘ মহাসচিব  
গোল উৎসবে নিষ্প্রাণ বার্সার রক্ষণ, সেমিফাইনালের প্রথম লেগ ড্র
ইসরায়েলি কারাগারে কমপক্ষে ৫৯ ফিলিস্তিনি বন্দির মৃত্যু  
পল্টনের জামান টাওয়ারের আগুন নিয়ন্ত্রণে  
ভোরে হঠাৎ পুলিশের টহল কার্যক্রম পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা  
কেরানীগঞ্জে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে নারী নিহত
নওগাঁয় যৌথ বাহিনীর টহল সন্দেহ হলেই করা হচ্ছে জিজ্ঞাসাবাদ
সরকারের কারও কারও বক্তব্যে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে: তারেক রহমান
বারিন্দ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ, আটক ৪
জুলাইয়ে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে ঢাকায় আসবে পাকিস্তান
টাঙ্গাইল পৌরসভায় দুদকের অভিযান
ডিআইজি-এসপিসহ পুলিশের ৮২ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে ওএসডি
অনির্দিষ্টকালের জন্য কুয়েট বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ
পদোন্নতি পেয়ে সচিব হলেন ৭ জন অতিরিক্ত সচিব
দেশজুড়ে ডেভিল হান্টে আরও ৬৩৯ জন গ্রেপ্তার
এআই প্ল্যাটফর্ম সালামা: ২০ সেকেন্ডে মিলবে দুবাইয়ের ভিসা
অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচ পণ্ড হওয়ায় যেমন দাঁড়ালো ‘বি’ গ্রুপের সমীকরণ