গণতন্ত্রের পথে না এলে পরিণতি হবে ভয়াবহ: মির্জা ফখরুল
গণতন্ত্রের পথে না এলে আওয়ামী লীগের পরিণতি হবে ভয়াবহ হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার (৩ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে সতর্ক করে দিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ৭৪ সালে খাদ্যশস্যের দাম, দুর্ভিক্ষ হয়েছিল। তাই হুমকি না দিয়ে, উল্টাপাল্টা কথা না বলে গণতন্ত্রের পথে আসুন, মানুষ হত্যা বন্ধ করুন- তা না হলে আপনাদের পরিণতি হবে ভয়াবহ। সেই ভয়াবহ পরিণতি যাতে না হয় সেজন্য খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন, জনগণকে মুক্তি দিন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগের অধীনে আর কোনো নির্বাচন হবে না। তাদের অবশ্যই সরে যেতে হবে। নির্দলীয় সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের মাধ্যমে সেই সরকারের অধীনে নির্বাচনে জনগণের প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার গঠন করা হবে। আমাদের অন্য কোনো শক্তি নেই, আমাদের একমাত্র শক্তি হচ্ছে জনগণের শক্তি। তাই জোর করে বসে থাকা অনির্বাচিত সরকারকে জনগণের শক্তি দিয়ে পতন ঘটিয়ে সেই দাবি আদায় করতে হবে।
সব রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব বলেন, চলমান প্রক্রিয়ায় কে ডান কে বাম মুখ্য বিষয় নয়, সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে সরকারের পতনের দাবিতে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। কারণ আমরা কেউ নিরাপদ নই। আওয়ামী লীগ জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলতে চায়। এটা সম্ভব নয় কারণ তিনি ঐতিহাসিক মুহূর্তে ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করে মানুষের হৃদয়ে ঠাঁই করে নিয়েছেন। তাই আসুন গণতান্ত্রিক অধিকারসহ ভোটাধিকার ফিরে পেতে মানুষকে মুক্ত করতে সেই যুদ্ধে একজোটে ঝাঁপিয়ে পড়ি।
তিনি বলেন, আজ মন্ত্রী স্বীকার করছে সিন্ডিকেটের কারণে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি হচ্ছে, তাহলে আপনাদের কাজটা কী? সরকারের মদদ ছাড়া কোনো সিন্ডিকেট গড়ে উঠতে পারে না। তাই বলছি শুধু সরকারের কারসাজি নয়, সরকারের সরাসরি সম্পৃক্ততায় দ্রব্যমূল্য ও চালের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগের সবচেয়ে দুঃখ তাদের ৭২ থেকে ৭৫ সরকারের ছিল, ওই সময়টা ছিল বাংলাদেশের সবচেয়ে দুঃসময়। ফলে তারা সেই সময়ের কথা বলে না অথচ গণতন্ত্রের কথা বলতে গিয়ে তখন অনেক তরুণকে জীবন দিতে হয়েছে। তাদের সরকারের নানা অনিয়ম ও দুঃশাসনে দেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছে।
এসএন