জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধে সন্ত্রাসীরা পরাজিত হবে: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, 'সমস্যা হচ্ছে—সবকিছুর মধ্যেই একটা অবৈধ মুনাফা করতে চায় তারা, জনগণের ন্যূনতম প্রয়োজন খাদ্য মেটানো এটাকেও জিম্মি করে তারা মুনাফা নিতে চায়, লুট করতে চায়। ৭৪ সালের দুর্ভিক্ষের সময় শুধু খাদ্য সংকট ছিল তা নয়, তখন দুর্নীতি ও দুঃশাসনের ফলেই দুর্ভিক্ষ হয়েছিল। আজকে একইভাবে সাধারণ মানুষের যেটা বেশি দরকার সেই নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়ানো হচ্ছে। মূলত সরকার দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে আর্টিফিশিয়াল ক্রাইসিস তেরি করছে। কারণ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করছে সরকার নিজেই। ফলে দ্রব্য মূল্যবৃদ্ধি ও জনগণের দুর্ভোগ হচ্ছে।'
তিনি বলেন, 'মানুষ এই ফ্যাসিবাদী সরকারের দুঃশাসনে অতিষ্ঠ হয়ে প্রতিবাদ শুরু করেছে বলেই ছাত্রলীগ পরিকল্পিতভাবে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলা চালিয়েছিল। খালেদা জিয়াকে হত্যার উদ্দেশে তাদের নেতৃত্বের যে সমস্ত উক্তি করা হয়েছিল সেই উক্তির প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণ মিছিলে ছাত্রলীগ হামলা চালিয়েছে।'
বৃহস্পতিবার (২ জুন) হেলথ এইড ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছাত্রলীগের হামলায় আহত ছাত্রদল নেতাকর্মীদের দেখতে এসে মির্জা ফখরুল এ সব কথা বলেন।
সঙ্গে ছিলেন বিএনপি স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা রফিকুল ইসলাম, সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক ইউনুস মৃধা ও চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবির খান প্রমুখ।
মির্জা ফখরুল বলেন, 'ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের উপর ছাত্রলীগের হামলায় আবার প্রমাণিত যে, জনগণের ভালোবাসার মধ্য দিয়ে নয় আওয়ামী লীগ তাদের ছাত্র সংগঠনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মধ্যদিয়েই ক্ষমতা ধরে রাখতে চায়। এটা হচ্ছে তাদের মৌলিক চরিত্র। শুধু আজকে কিংবা বাড়ি নয় আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বলা যেতে পারে তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়েই তাদের রাজনীতিকে এখানে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছে।'
তিনি বলেন, 'আওয়ামী লীগ এখন পরিষ্কার বুঝে গেছে যে জনগণের সমর্থন তারা সম্পূর্ণ হারিয়ে ফেলেছে। তাই সন্ত্রাস করে ভয়-ভীতি দেখিয়ে গোটা দেশের মানুষকে পিয়ানো পবিয়ার মধ্যে রেখে তারা আবারও আগামীতে যে নির্বাচন করতে চায়, সেই নির্বাচনে তারা পার হতে চায়। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ এইবার তো অবশ্যই সেই নির্বাচন হতে দেবে না।'
বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'বাংলাদেশের মানুষ মনে করে যে, আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রেখে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া সম্ভব নয়। তাদের ক্ষমতা থেকে সরে যেতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের মাধ্যমে জনগণের অংশগ্রহণে নির্বাচন হতে হবে, এই ব্যাপারে বাংলাদেশের মানুষ একমত। কোনো রকমের সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দেবে না, জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের মধ্য দিয়েই এই সন্ত্রাস কে পরাজিত করে জনগণের বিজয় অর্জিত হবে।'
এমএইচ/আরএ/