শুধু সরকার পরিবর্তনে আন্দোলন নয়: সাইফুল হক
বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘দেশ এখন যে জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে- বাস্তবে ২০১৪, ২০১৮ সালের মতো আরেকটা ব্যর্থ নির্বাচনের দায় জনগণ গ্রহণ করতে পারবে না। বাংলাদেশের রাজনীতিতে যে চলমান সংস্কৃতি বিশেষকরে গত দুটি জাতীয় নির্বাচনের অভিজ্ঞতার পরে দলীয় সরকারের অধীনে কোনো গ্রহণযোগ্য- নিরপেক্ষ-বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের সুযোগ দেশে নেই। এই বিশ্বাসেই দেশের সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতির আলোকে পর্যালোচনা করেছি, একমত হয়েছি।’ বুধবার ১ জুন রাজধানীর তোপখানা রোড়ে বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাইফুল হক এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি নির্বাচনের আগে অবশ্যই বর্তমান সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। পদত্যাগের মধ্যে দিয়ে নির্বাচনকালিন একটি তদারকি সরকার গঠন করতে হবে। আলোচনায় আমরা একমত হয়েছি যে, সরকারের পদত্যাগের পর সংসদকে বিলুপ্তি ঘোষণা করতে হবে। তবে আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে গণআন্দোলন-সংগ্রামে যদি এই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা না যায়, তাহলে মানুষের ভোটাধিকার-গণতান্ত্রিক অধিকার-একটা তদারকি সরকার যার অধীনে অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে, দেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যত কোনোটাই বাস্তবে নিশ্চিত করা যাবে না।’
সংবিধান সংস্কারের বিষয়ে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির মতামত তুলে ধরে সাইফুল হক বলেন, ‘শুধুমাত্র দল কিংবা সরকার পরিবর্তনের জন্য আমাদের এই আন্দোলন নয়। পুরো রাষ্ট্র ও সরকার ব্যবস্থা, বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার, পরিবর্তন, একই সাথে সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের সংস্কারসহ রাষ্ট্র প্রশাসনের গণতান্ত্রিক যে সংস্কার, বিভিন্ন ক্ষেত্রে রাষ্ট্র যেভাবে নাগরিকদের ওপরে একটা সহিংস ভূমিকায় আবির্ভুত হয়। রাষ্ট্রীয় বাহিনীগুলোকে যেভাবে দলীয় বাহিনী হিসেবে ব্যবহার করা হয়-এই জায়গাগুলোর ক্ষেত্রে সংস্কার প্রয়োজন।’
তিনি বলেন, ‘সামগ্রিকভাবে নির্বাহী বিভাগ এখন বিচার বিভাগ বা আইন প্রণয়ন বিভাগসহ বিভিন্ন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের ওপরে যেভাবে তারা (সরকার) কর্তৃত্ব করে এটা আধুনিক রাষ্ট্রের যে ভারসাম্য তার পরিপন্থি। এই সমস্ত বিষয়ে আমরা গুনগত পরিবর্তন, সাধারণ নির্বাচনের পাশাপাশি সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের বিষয়েও আমরা আলোচনা করেছি। পুরো রাষ্ট্র ও সরকার ব্যবস্থার একটা গণতান্ত্রিক সংস্কার প্রয়োজন। আলোচনায় সংকট উত্তরণে আমাদের দলের পক্ষ থেকে ৩১ দফা বিএনপির নেতৃ্বৃন্দের কাছে পেশ করেছি।’ গত ২৪ মে বিএনপি নাগরিক ঐক্যের সঙ্গে এবং ২৭ মে ২০ দলীয় জোটের শরিক বাংলাদেশের লেবার পার্টির সঙ্গে সংলাপ করেছে বিএনপি। গতকাল করেছে গণসংহতি আন্দোলনের সঙ্গে সংলাপ করে তারা।
এএজেড