‘ভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধি সরকারের চরম দায়িত্বহীনতার পরিচয়’
ভোজ্যতেলের দাম এক লাফে লিটারপ্রতি ৩৮ টাকা বৃদ্ধির সরকারি সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। জোটের নেতারা ভোজ্যতেলের দাম লিটারে ৩৮ টাকা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত জনগণের প্রতি সরকারের চরম দায়িত্বহীনতার পরিচয় বলে উল্লেখ করেন।
শুক্রবার (৬ মে) বিকালে বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা এক বিবৃতিতে এ সব কথা বলেন।
বাম জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সমন্বয়ক ও ইউসিএলবির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার এবং জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সদস্য সিপিবির সভাপতি শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা শিশু, ওয়ার্কার্স পার্টি (মার্কসবাদী) সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবীর জাহিদ, বাসদ (মার্কসবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা ও সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের সভাপতি হামিদুল হক এই যুক্ত বিবৃতি দেন।
জোটের নেতারা মনে করেন, ঈদের আগে থেকেই সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা বাজারে ভোজ্যতেলের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে। দোকানে কোনো তেল না পাওয়ার চিত্র দেখা যায়। ঈদের পর সংকট আরও তীব্র হয়। বাজারে এমন সংকটের মধ্যেই ভোক্তা স্বার্থ না দেখে বাণিজ্যসচিব ব্যবসায়ীদের মুনাফার স্বার্থে বোতলজাত সয়াবিন তেল ৩৮ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল ৪৪ টাকা লিটার প্রতি বৃদ্ধির ঘোষণা দেন। এতে জনজীবনে দুর্ভোগ আরও বেড়ে যাবে। ভোজ্যতেলের দাম লিটারে ৩৮ টাকা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত জনগণের প্রতি সরকারের চরম দায়িত্বহীনতার পরিচয়।
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধির কথা বলে ব্যসায়ীদের দাবির মুখে সরকার দাম বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছে। অথচ আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমলে তখন দাম কমানো হয় না।
বিবৃতিতে নেতারা আরও বলেন, এমনিতেই ২ বছর ধরে করোনা মহামারির সময়ে দেশবাসী চাকরি হারিয়ে, আয় কমে গিয়ে তীব্র আর্থিক সংকটে ভুগছে। সে সময়ে ভোজ্যতেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য ক্রমাগত বৃদ্ধিতে জীবন জীবকা অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। এমতাবস্থায় প্রয়োজনে ভর্তুকী দিয়ে হলেও দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল ও জনগণের ক্রয় ক্ষমতার আওতায় রাখার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান নেতারা।
বিবৃতিতে চাল, ডাল, তেল, চিনি, আটা, লবনসহ নিত্যপণ্যের বেসরকারি বাণিজ্য বন্ধ করে সরকারি উদ্যোগে আমদানি ও বিতরণের ব্যবস্থা করার দাবি জানান। বিবৃতিতে বাজার নিয়ন্ত্রণে ভোক্তাদের সমন্বয়ে বাজার তদারকি জোরদার ও সর্বজনীন রেশনিং ব্যবস্থা চালুরও দাবি জানান।
এসএম/আরএ/