সরকারের মন্ত্রী-নেতারা কেবল লিপ সার্ভিসেই ব্যস্ত: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতি ও লকডাউনে অনেক শ্রমিক-কর্মচারী, দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষ বেকার হয়ে পড়েছে, তারা অনাহার, অর্ধাহারে নিদারুণ কষ্টে দিনযাপন করছে। কিন্তু এসব সমস্যা সমাধানে কোনো কার্যকর উদ্যোগ না নিয়ে বর্তমান সরকারের মন্ত্রী-নেতারা কেবল লিপ সার্ভিসেই ব্যস্ত রয়েছেন। যার ফলে ভুক্তভোগীদের কষ্টের সীমা তীব্র মাত্রায় উপনীত হয়েছে।
তিনি বলেন, সব শ্রমজীবী-কর্মজীবী মানুষের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়। তাদের অধিকার ও মর্যাদা সুরক্ষায় আমরা সর্বদা সচেতন ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। সমাজ প্রগতির পতাকাবাহী শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে আমরা সংকল্পবদ্ধ। শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষায় বিএনপি সবসময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। আগামীতেও আমরা একইভাবে শ্রমজীবী-কর্মজীবী মানুষের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাব।
শনিবার (৩০ এপ্রিল) মহান মে দিবস উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।
বাণীতে বলা হয়, বিশ্ব ইতিহাসে মে দিবস দীর্ঘ সংগ্রামের ইতিহাস, অনেক রক্তঝরার কাহিনী। শ্রমিকের ন্যায্য দাবি ও শ্রমের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে আমেরিকায় শিকাগো শহরে ১৮৮৬ সালের মে মাসে রচিত হয়েছিল এক রক্তমাখা ইতিহাস। শোষকদের বিরুদ্ধে শোষণ ও বঞ্চনার শিকার প্রতিবাদী শ্রমিকদের আত্মাহুতির রক্তাক্ত পথে সারাবিশ্বে শ্রমিকদের দৈনিক ৮ ঘণ্টা কাজের ন্যায্য অধিকার স্বীকৃতি পেয়েছিল। তাই মে দিবস দুনিয়ার শ্রমিকদের এক হওয়ার ব্রত। মে দিবস আন্তর্জাতিক সংগ্রাম আর ভ্রাতৃত্বের দিন।
মির্জা ফখরুল বলেন, মে দিবস শ্রমজীবী মানুষের উৎসব, জাগরণ, ঐক্য ও প্রেরণার দিন। সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান বীর উত্তম নিজেকে সবসময় একজন শ্রমিক হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ব ও স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন। শ্রমিকদের দুটো হাতকে তিনি উন্নয়নের চাবিকাঠি ভাবতেন। মহান মে দিবস উপলক্ষে আমি বাংলাদেশ ও বিশ্বের সব শ্রমজীবী মেহনতি মানুষকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। তাদের সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করি।
একই সঙ্গে আজকের এ মহান দিনে শ্রমিক স্বার্থ রক্ষায় সবাইকে দায়িত্বশীল ও উদ্যোগী হওয়ার জন্য আমি আহ্বান জানাই।
এমএইচ/এসএন