জাতীয় সরকারের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে: রব
আ স ম রব। ফাইল ফটো
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) সভাপতি আসম আবদুর রব বলেছেন, ‘একাত্তর সালের মুক্তিযুদ্ধে যে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি হয়েছিল আওয়ামী লীগ তাকে হত্যা করেছে। আজকে ৫০ বছরেও দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হয়নি। একটা কথা পরিষ্কার আমরা এখানে যারা উপস্থিত আছি কেউ এই সরকারের অধীনে নির্বাচন করব না, এই প্রশ্নে কোনো দ্বিমত নেই।’
বুধবার (২৭ এপ্রিল) রাজারবাগের হোয়াইট হাউজ রেস্টুরেন্টে নাগরিক ঐক্যের এক ইফতারপূর্ব আলোচনা সভায় তিনি এ কথা জানান।
‘আমাদের কথা স্পষ্ট এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। সেজন্য এদের হটাতে আন্দোলনের কোনো বিকল্প পথ নেই। তবে এই সরকারকে বিদায়ের পর কোন সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে সেটা আমাদের আগেই ঠিক করতে হবে। সেই সরকারটি অবশ্যই এমন সরকার হতে হবে যারা নিরপেক্ষ ও অবাধ একটি নির্বাচন করতে পারবে। সেজন্যই জেএসডি মনে করে একটি জাতীয় সরকারের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। কারণ বর্তমান সরকার যেভাবে প্রশাসনকে দলীয়করণ করেছে তাতে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। সেজন্য একটা জাতীয় সরকার দরকার হবে।’
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘যারা যারা কথা বলেছেন সবার কথার মধ্যে এই প্রত্যয় ব্যক্ত হয়েছে যে, এই সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে না। আমরা যাব না। এই সরকার চলে যাওয়ার পরে যে সরকার হবে সেটা তো নির্বাচিত সরকার নয়।’
‘এই সরকার কেমন হবে। কেউ জাতীয় সরকার বলছেন, কেউ তত্ত্বাবধায়ক সরকার বলছেন, কেউ বলছেন, তদারকির সরকার। এ থেকে সরকার পক্ষের মিডিয়াগুলো মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াবার চেষ্টা করছে। ওরা পরের সরকারের ব্যাপারে একমত নয়, মতপার্থক্য আছে, ওদের ঐক্য হবে না। তাদের জন্য আমরা একটা ম্যাসেজ দিতে চাই— আমরা যে নামেই ডাকি না কেনো আমরা একটা অন্তবর্তীকালীন সরকার চাই, সেই সরকার পরবর্তী নির্বাচনকে সুগম, স্বচ্ছ, গ্রহণযোগ্য করে তুলতে পারে।’
বুধবার নাগরিক ঐক্যের আয়োজনে ‘এই সরকারের অধীনে নির্বাচনকে না বলুন’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা হয়। এতে বিএনপি, গণফোরাম, জেএসডি, গণসংহতি আন্দোলনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা অংশ নেন।
এমএইচ/আরএ/