আওয়ামী লীগ নেতাকে মারধর করলেন বদি, ভিডিও ভাইরাল
টেকনাফ পৌর আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভায় জেলা নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে দুই নেতাকে ব্যাপক মারধর করেছেন কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি ও তার ভাই আবদুস শুক্কুর। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এমনই একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। দলীয় নেতাকর্মী সূত্রে জানা গেছে, বদির কথার বিরোধীতা করায় এই দুই নেতাকে মারধর করা হয়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও উখিয়া-টেকনাফের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক টিমের প্রধান রাজা শাহ আলম সহ অন্যান্যদের উপস্থিতিতে এই মারধরের ঘটনা ঘটে। এতে মারধরের শিকার হয়েছেন, টেকনাফ পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. ইউছুফ মনো এবং পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মো. ইউছুফ ভুট্টো। তবে এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন শাহ আলম।
শুক্রবার (২২ এপ্রিল) টেকনাফ পৌর আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভা চলাকালিন ইফতারের আগে এ ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার টেকনাফ পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. ইউছুফ মনো সম্পর্কে সাবেক এমপি বদির আপন মামতো ভাই। তিনি বলেন, বর্ধিত সভা চলাকালীন সাবেক সংসদ সংসদ বদি পৌর কমিটিকে ডিঙিয়ে বারবার ওয়ার্ড কমিটিকে প্রাধান্য দিয়ে কথা বলছিলেন। পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হিসেবে আমি তার বক্তব্যের প্রতিবাদ করায় সেখানে বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে বদি মঞ্চ থেকে নেমে তার ক্যাডার বাহিনীকে ডেকে এনে আমাকে কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। এ সময় আমাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসা যুগ্ম সম্পাদক ইউছুফ ভুট্টোকেও একইভাবে মারধর করেন বদি ও তার লোকেরা। এ ঘটনায় তিনি এবং ভুট্টো আহতাবস্থায় এখন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
টেকনাফ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি জাবেদ ইকবাল চৌধুরী জানান, পৌর আওয়ামী লীগের সম্মেলনের জন্য জেলা সাংগঠনিক টিমের নেতাদের উপস্থিতিতে পূর্ব নির্ধারিত বর্ধিত সভা হওয়ার ছিল শুক্রবার। এতে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাহ আলম রাজা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. রণজিত দাশ, ইউনুস বাঙালী, উপজেলা সভাপতি মাস্টার জাহেদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক নুরুল বশরসহ জেলা-উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এসময় একটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে বলে স্বীকার করেন তিনি।
টেকনাফ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল বশর জানান, টেকনাফ পৌর আওয়ামীলীগের কমিটি হয়েছে ১৩ বছর আগে। আর এদের অধিনে ৯ টি ওয়ার্ডের কমিটি হয়েছে ২ বছর অতিক্রম করেছে। ওয়ার্ড কমিটি গুলো একটিও পূর্ণাঙ্গ হয়নি। ফলে এই কমিটি দিয়ে সম্মেলন করা নিয়ে সন্দিহান নেতা-কর্মীরা। বর্ধিত সভায় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি করে সম্মেলনের দাবি উঠে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে এমপি বদি, তার ভাই শুক্কুর সহ অন্যান্যরা ২ নেতাকে মারধর করেছে।
তবে বিষয়টি অস্বীকার করেন জেলা সাংগঠনিক টিম লিডার (উখিয়া-টেকনাফ) শাহ আলম রাজা। জানতে চাইলে তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে সভা শেষ হয়েছে। বাইরে কোনো কিছু ঘটে থাকলে সেটা আমার জানা নেই।
বিষয়টি নিয়ে আলাপ করার জন্য সাবেক এমপি আবদুর রহমান বদির সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
তাট্র/এএস