রবিবার, ১৯ মে ২০২৪ | ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
Dhaka Prokash

বিরোধীশক্তির মধ্যে মতবিরোধ তৈরি করলে তা হবে আত্মঘাতী: মান্না

 

নির্বাচনকালীন সরকার প্রসঙ্গে বিরোধীশক্তির মধ্যে মতবিরোধ তৈরি করলে তা আত্মঘাতী হবে বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।

তিনি বলেন, বর্তমান অবৈধ ক্ষমতাসীন সরকারকে অপসারণ করতে প্রয়োজন সব বিরোধীশক্তির ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন। সেই আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচারের পতন নিশ্চিত করে আন্দোলনকারী শক্তি পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে পরবর্তী সরকারের কাঠামোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। এ মুহূর্তে পরবর্তী সরকারের রূপরেখা নিয়ে বিরোধীশক্তির মধ্যে মতবিরোধ তৈরি করলে তা হবে আত্মঘাতী; যা কেবলমাত্র স্বৈরাচার সরকারের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে সহায়ক হবে।'

তোপখানাস্থ নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সোমবার (৪ এপ্রিল) কেন্দ্রীয় কমিটির জরুরি সভা সভায় দলের সভাপতি এসব কথা বলেন। এতে দেশের সার্বিক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, 'নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সামাজিক সংগঠন ভিন্ন ভিন্ন মতামত দিয়েছেন। নাগরিক ঐক্য মনে করে বর্তমান স্বৈরাচার সরকারের পদত্যাগের পর এমন একটি সরকার গঠন করতে হবে, যারা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সব স্তরকে ঢেলে সাজাবে, দুর্নীতি রোধ করবে, রাষ্ট্রের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বাধীন এবং নিরপেক্ষভাবে কাজ করার উপযোগী করবে। একই সঙ্গে জনগণের সাংবিধানিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অধিকার ফিরিয়ে দেবে। কেবল তখনই একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।'

মান্না বলেন, বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। ২০১৮ সালের ভোটবিহীন নির্বাচন এবং ২০১৮ সালের মধ্য রাতের ভোট ডাকাতির নির্বাচন তার প্রমাণ। অবৈধ ক্ষমতাসীন সরকার গত ১৩ বছরে দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিয়েছে৷ তারা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সম্পূর্ণ দলীয়করণ করেছে, রাষ্ট্রের সব সাংবাবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে, লুটপাট-দুর্নীতির মহোৎসব চালাচ্ছে।

'একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য প্রথম প্রয়োজন সব বিরোধীশক্তির ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে বর্তমান ক্ষমতাসীনদের পদত্যাগে বাধ্য করা৷ নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা কী হবে তা আন্দোলনকারী শক্তি আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করবে।'

এসএন

Header Ad

দুই বাংলাদেশিকে অপহরণ করেছে আরসা

ছবি: সংগৃহীত

সন্ত্রাসী গোষ্টি আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) সদস্যরা দুই বাংলাদেশিকে অপহরণ করেছে বলে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগীদের পরিবার।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুর ২টার দিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং নাফনদী ৫ নম্বর স্লুইস গেইট এলাকা থেকে তাদের অপহরণ করলেও পরিবার বিষয়টি প্রকাশ করে শনিবার।

অপহৃতরা হলেন টেকনাফের হোয়াইক্যং ৪ নম্বর ওয়ার্ড লম্বাঘোনা মৃত ওচামং চাকমার ছেলে ছৈলা মং চাকমা (২৯) ও মংথাইংছিং তঞ্চঙ্গ্যা চাকমার ছেলে ক্যমংখো এ তঞ্চঙ্গ্যা (২৫)।

টেকনাফ থানা ও ২ বিজিবি বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন অপহৃত ক্যমংখো তঞ্চঙ্গ্যার মা ছুছিং ছা তঞ্চঙ্গ্যা।

অভিযোগে তিনি বলেন, আমার ছেলে ও নাতি নাফ নদীতে কাঁকড়া আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার ১৬ মে সকাল ৯টার দিকে কাঁকড়া ধরার জন্য নাফনদীতে যায়। সন্ধ্যায় বাড়িতে না আসলে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে জানতে পারি নাফ নদী থেকে আরসা সংগঠনের সদস্যরা ছেলে ও নাতিকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে। তিনদিন ধরে তারা আরসার সদস্যদের কাছে জিম্মি রয়েছে।

অপহৃত ছৈলা মং চাকমার বড় ভাই সালাও মং চাকমা বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো মুক্তিপণ দাবি বা কেউ যোগাযোগ করেনি।

এ ব্যাপারে টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গণি বলেন, দুইজন চাকমা যুবক বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।

টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা খোঁজ-খবর রাখছি। তাদের কারা তুলে নিয়ে গেছে সে বিষয়টি যাচাই করা হচ্ছে।

কিরগিজস্তানে হামলা, সাহায্য চাইলেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা

ছবি: সংগৃহীত

কিরগিজস্তানের রাজধানী বিশকেকে সহিংস জনতার হামলার শিকার হয়েছেন অধ্যয়নরত বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের শিক্ষার্থীরা।

জানা গেছে, শুক্রবার (১৭ মে) রাতে বিশকেকের কয়েকটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে হামলা করে সহিংস জনতা । যেখানে বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের শিক্ষার্থীরা থাকেন।

কিরগিজ সরকার জানিয়েছে, ১৭-১৮ মে রাতে বিশকেকে জনতার সহিংসতায় বেশ কয়েকজন বিদেশিসহ কমপক্ষে ২৮ জন আহত হওয়ার পর চারজন বিদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এই সহিংসতার বিষয়ে ইতোমধ্যে কূটনৈতিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে পাকিস্তান ও ভারত। নিজেদের নিরাপত্তার জন্য শনিবার ইউএনবির কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেছেন বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী।

রেডিও ফ্রি ইউরোপ জানিয়েছে, ১৩ মে মিশরের মেডিকেল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কিরগিজ শিক্ষার্থীদের বিবাদের একটি ভিডিও অনলাইনে ব্যাপকভাবে শেয়ার হওয়ার জেরে এই সহিংসতা শুরু হয়। যাদের মারধর করা হয়েছে তারা কিরগিজ যুবক বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দাবি করার পর শুক্রবার রাতে বিশকেকের বেশ কয়েকটি স্থানে জড়ো হয় উত্তেজিত জনতা। ১৮ মে হামলার শিকার হন দেশটিতে অধ্যয়নরত বিদেশি শিক্ষার্থীরা।

কিরগিজস্তানের ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অব মেডিসিনের বাংলাদেশি শিক্ষার্থী সামিয়া কবির শনিবার সন্ধ্যায় ইউএনবিকে বলেন, আমরা এখানে পাঁচজন বাংলাদেশি মেয়ে আছি। আমরা এখন আমাদের অ্যাপার্টমেন্টের ভেতরে আছি। আমাদের অ্যাপার্টমেন্টের সামনে কিছু লোক জড়ো হচ্ছে। দয়া করে আমাদের সাহায্য করুন।

সামিয়া আরও বলেন, কর্তৃপক্ষ আমাদের ভেতরে থাকতে বলেছে। আমরা কাছাকাছি অন্যান্য অ্যাপার্টমেন্ট থেকে কিছু আওয়াজ শুনতে পাচ্ছি। সেখানে কিছু পাকিস্তানি থাকতে পারে।

এ ব্যাপারে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেন, আমরা শিগগির একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন শেয়ার করব। উজবেকিস্তানে আমাদের মিশন বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। এখন পর্যন্ত কোনো বাংলাদেশির হতাহতের খবর আমরা পাইনি। আমরা আমাদের মিশনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।

এদিকে কিরগিজ প্রজাতন্ত্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, বর্তমানে বিশকেকের পরিস্থিতি পুরোপুরি শান্ত এবং সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে গণমাধ্যমের প্রতিনিধি, ব্লগিং সম্প্রদায় এবং বিদেশি সহকর্মীদের শুধুমাত্র কিরগিজ প্রজাতন্ত্রের উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পাওয়া সরকারি এবং যাচাইকৃত তথ্যের ভিত্তিতে খবর পরিবেশন করতে বলা হয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে।

সৌদি আরবে আরও এক বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু

একজন হাজির পুরোনো ছবি । সংগৃহীত

হজ করতে গিয়ে সৌদি আরবে আরও এক বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল ১৮ মে মো. মোস্তফা নামের এ হজযাত্রী মক্কায় মারা যান। তার পাসপোর্ট নম্বর-ইজি ০৭৪০৮৪৭।

এর আগে, গত ১৫ মে চলতি হজ মৌসুমে সৌদি আরবে প্রথম বাংলাদেশি একজন হজযাত্রী মারা যান। ওইদিন মো. আসাদুজ্জামান মদিনায় মৃত্যুবরণ করেন।

রোববার (১৯ মে) রাত ২টার হজ পোর্টালে আইটি হেল্প ডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

হজ ফ্লাইট শুরু হওয়ার পর গত রাত ২টা পর্যন্ত ২৮ হাজার ৭৬০ জন হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রী ৩ হাজার ৭৪৭ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রী ২৫ হাজার ১৩ জন। এখন পর্যন্ত সৌদি আরব যাওয়ার ফ্লাইট পরিচালিত হয়েছে ৭২টি। এরমধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ২৫টি, সৌদি এয়ারলাইন্সের ২৩টি ও ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স পরিচালিত ফ্লাইট সংখ্যা ২০টি।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন এবারের হজ অনুষ্ঠিত হবে। হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাওয়ার ফ্লাইট গত ৯ মে শুরু হয়। আগামী ১০ জুন পর্যন্ত যাওয়ার ফ্লাইট চলবে। হজ শেষে ২০ জুন ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে। দেশে ফেরার ফ্লাইট শেষ হবে আগামী ২২ জুলাই।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী এখন পর্যন্ত ৮১ হাজার ৮৬২ জন হজযাত্রীর ভিসা হয়েছে। এবার বছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনা মিলিয়ে মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজ করতে যাবেন। সেই হিসাবে এখনো ৩ হাজার ৩৯৫ জন হজযাত্রীর ভিসা হয়নি।

এবার বাংলাদেশ থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার ৫৬২ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এজেন্সির মাধ্যমে ৮০ হাজার ৬৯৫ জন হজ করতে যাবেন।

 

সর্বশেষ সংবাদ

দুই বাংলাদেশিকে অপহরণ করেছে আরসা
কিরগিজস্তানে হামলা, সাহায্য চাইলেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা
সৌদি আরবে আরও এক বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু
দুপুরের মধ্যে ১০ জেলায় ঝড়ের আশঙ্কা
বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টির আভাস, যা জানাল আবহাওয়া অফিস
‘বিদেশ ভ্রমণের প্রলোভন দেখিয়ে নারী খেলোয়াড়দের ধর্ষণ করতো’
তথ্য দিতে ৩ জন মুখপাত্র নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক
আবারও বাড়ল সোনার দাম, কাল থেকে কার্যকর
যে কারণে ডিবিতে গিয়েছিলেন মাওলানা মামুনুল হক
টুইটারের ঠিকানা বদলে আনুষ্ঠানিকভাবে এখন এক্স ডটকম
প্রতিবন্ধী সন্তানকে বিষ খাইয়ে হত্যা করলেন মা-বাবা
সুবর্ণচরে ট্রাক্টরের চাপায় শিশুর মৃত্যু
হঠাৎ ডিবিতে মাওলানা মামুনুল হক
অভিমানে গলায় ফাঁস দিয়ে কৃষকের আত্মহত্যা
ট্রোল কখনো পাত্তা দেই না : জেফার
পলাশবাড়ীতে চাচার ছুরিকাঘাতে ভাতিজির মৃত্যু
নরসিংদীতে বজ্রপাতে মা-ছেলেসহ ৪ জন নিহত
সদস্যপদ ফিরে পেলেন জায়েদ খান, বাতিল হতে পারে নিপুণের
অস্থির ডিমের বাজার, প্রতি ডজনে বেড়েছে ৩০ টাকা
মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ গেল কলেজছাত্রের