শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০২৪ | ২২ কার্তিক ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বিরোধীশক্তির মধ্যে মতবিরোধ তৈরি করলে তা হবে আত্মঘাতী: মান্না

 

নির্বাচনকালীন সরকার প্রসঙ্গে বিরোধীশক্তির মধ্যে মতবিরোধ তৈরি করলে তা আত্মঘাতী হবে বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।

তিনি বলেন, বর্তমান অবৈধ ক্ষমতাসীন সরকারকে অপসারণ করতে প্রয়োজন সব বিরোধীশক্তির ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন। সেই আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচারের পতন নিশ্চিত করে আন্দোলনকারী শক্তি পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে পরবর্তী সরকারের কাঠামোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। এ মুহূর্তে পরবর্তী সরকারের রূপরেখা নিয়ে বিরোধীশক্তির মধ্যে মতবিরোধ তৈরি করলে তা হবে আত্মঘাতী; যা কেবলমাত্র স্বৈরাচার সরকারের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে সহায়ক হবে।'

তোপখানাস্থ নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সোমবার (৪ এপ্রিল) কেন্দ্রীয় কমিটির জরুরি সভা সভায় দলের সভাপতি এসব কথা বলেন। এতে দেশের সার্বিক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, 'নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সামাজিক সংগঠন ভিন্ন ভিন্ন মতামত দিয়েছেন। নাগরিক ঐক্য মনে করে বর্তমান স্বৈরাচার সরকারের পদত্যাগের পর এমন একটি সরকার গঠন করতে হবে, যারা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সব স্তরকে ঢেলে সাজাবে, দুর্নীতি রোধ করবে, রাষ্ট্রের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বাধীন এবং নিরপেক্ষভাবে কাজ করার উপযোগী করবে। একই সঙ্গে জনগণের সাংবিধানিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অধিকার ফিরিয়ে দেবে। কেবল তখনই একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।'

মান্না বলেন, বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। ২০১৮ সালের ভোটবিহীন নির্বাচন এবং ২০১৮ সালের মধ্য রাতের ভোট ডাকাতির নির্বাচন তার প্রমাণ। অবৈধ ক্ষমতাসীন সরকার গত ১৩ বছরে দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিয়েছে৷ তারা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সম্পূর্ণ দলীয়করণ করেছে, রাষ্ট্রের সব সাংবাবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে, লুটপাট-দুর্নীতির মহোৎসব চালাচ্ছে।

'একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য প্রথম প্রয়োজন সব বিরোধীশক্তির ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে বর্তমান ক্ষমতাসীনদের পদত্যাগে বাধ্য করা৷ নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা কী হবে তা আন্দোলনকারী শক্তি আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করবে।'

এসএন

Header Ad

হামাস-হিজবুল্লাহর হাতেই ইসরায়েলি দখলদারিত্বের সমাপ্তি হবে: খামেনি

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা সাইয়েদ আলি খামেনি। ছবি: সংগৃহীত

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা সাইয়েদ আলি খামেনি হিজবুল্লাহর প্রয়াত মহাসচিব শহিদ সাইয়েদ হাসান নাসরুল্লাহর সাহস এবং কৌশলগত দূরদর্শিতার প্রশংসা করেছেন, যা লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠীটির উল্লেখযোগ্য শক্তি এবং প্রভাবের জন্ম দিয়েছে।

তিনি বলেন, ‘হাসান নাসরুল্লাহর আল্লাহর ওপর নির্ভরশীলতা এবং তার সাহস, জ্ঞান এবং ধৈর্যের কারণে হিজবুল্লাহ অসাধারণভাবে সমৃদ্ধ হয়েছে’।

বৃহস্পতিবার তেহরানে ইরানের অ্যাসেম্বলি অব এক্সপার্টস সদস্যদের সঙ্গে এক বৈঠকে খামেনি এ কথা বলেন।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, হিজবুল্লাহ এমন এক শক্তি হয়ে উঠেছে, যাকে শত্রুরা পরাজিত করতে পারেনি। যদিও তারা সমস্ত সামরিক, মিডিয়া এবং রাজনৈতিক সম্পদ ব্যবহার করে ফায়দা নিচ্ছে।

তিনি বলেন, সাইয়েদ নাসরুল্লাহ ‘একটি স্থায়ী উত্তরাধিকার রেখে গেছেন। আর তা হলো- হিজবুল্লাহ’। যা গত চার দশকে একটি ছোট যোদ্ধা দল থেকে একটি শক্তিশালী শক্তিতে পরিণত হয়েছে এবং একাধিকবার ইসরাইলি দখলদারিত্বকে লেবাননের এলাকা থেকে প্রত্যাহার করতে বাধ্য করেছে।

খামেনি বলেন, ‘কেউ যদি মনে করে যে, হিজবুল্লাহ দুর্বল হয়ে গেছে, তারা ভুলের মধ্যে আছে। একদিন গোটা পৃথিবী দেখবে- কিভাবে এই প্রতিরোধ যোদ্ধারা দখলদার ইসরাইলকে পরাজিত করবে’।

তিনি আরও বলেন, ‘শত্রু এই সংগঠনকে পরাজিত করতে পারেনি এবং ইনশাআল্লাহ তারা কখনও পারবেও না। একদিন বিশ্ব দেখবে যে, ইসরাইলি দখলদাররা এই যোদ্ধাদের হাতেই পরাস্ত হবে’। সূত্র: আল-মায়াদিন

Header Ad

শহীদ নাফিজের দেহ বহনকারী সেই রিকশাটি গণভবনের জাদুঘরে

ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ গোলাম নাফিজের দেহ বহনকারী রিকশাটি জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘরে স্মৃতিচিহ্ন হিসাবে রাখা হবে। বৃহস্পতিবার গণভবনে নাফিজের দেহ বহনকারী রিকশাটি দেখতে এসে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম এ কথা বলেন।

গণভবনে রিকশা হস্তান্তরের সময় উপদেষ্টা রিকশাচালক নূর মোহাম্মদকে তাঁর সাহসিকতার জন্য ধন্যবাদ জানান এবং আর্থিক সহায়তার আশ্বাস দেন।

গত ৫ নভেম্বর ‘নাফিজের নিথর দেহ পড়ে থাকা রিকশাটি বিক্রি করে দিয়েছেন নুরু’ শীর্ষক সংবাদ প্রকাশ করে একটি গণমাধ্যম। পরে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম তাৎক্ষণিক রিকশা ও রিকশাচালককে খুঁজে বের করার জন্য তাঁর দপ্তরের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা প্রদান করেন।

উপদেষ্টার নির্দেশনা অনুযায়ী রিকশাচালক নূর মোহাম্মদ ওরফে নুরুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি তা (রিকশা) ৩৫ হাজার টাকায় লন্ডনপ্রবাসী আহসানুল কবীর সিদ্দিকী কায়সারের নিকট বিক্রি করেছেন বলে জানান। পরবর্তী সময় আহসানুল কবীর সিদ্দিকীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি রিকশাটি জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘরে হস্তান্তর করার ইচ্ছা পোষণ করেন। সে অনুযায়ী বৃহস্পতিবার রিকশাটি জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘরের যুগ্ম-আহ্বায়ক ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলমের নিকট হস্তান্তর করা হয়।

উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ৪ আগস্ট বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ফার্মগেটের পথচারী-সেতুর নিচে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী গোলাম নাফিজ। গুলিবিদ্ধ নাফিজকে পুলিশ যখন রিকশার পাদানিতে তুলে দেন, তখনো তিনি রিকশার রডটি হাত দিয়ে ধরে রেখেছিলেন। রিকশাচালক তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি। পরবর্তী সময় এই রিকশার ছবি কাঁদিয়েছে পুরো বাংলাদেশকে।

Header Ad

২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ৭ জনের মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এ সময় নতুন করে এক হাজার ২০৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়াদের মধ্যে ঢাকা সিটি করপোরেশনের ৪০৬ জন এবং বাকিরা ঢাকার বাইরের। এ সময়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন এক হাজার ১০৮ জন।

চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬৯ হাজার ৪৫৬ জন। এর মধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৬৪ হাজার ৭৯৩ জন। মারা গেছেন ৩৩৭ জন।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে দেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী আক্রান্ত এবং ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

হামাস-হিজবুল্লাহর হাতেই ইসরায়েলি দখলদারিত্বের সমাপ্তি হবে: খামেনি
শহীদ নাফিজের দেহ বহনকারী সেই রিকশাটি গণভবনের জাদুঘরে
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ৭ জনের মৃত্যু
পদত্যাগ করলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান
শেখ হাসিনাকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে উল্লেখ করল ভারত
চুয়াডাঙ্গার দর্শনা বাজারে ভোক্তা অধিকারের অভিযান, খাবার হোটেলে জরিমানা
ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জামায়াতের অভিনন্দন
২০ বাংলাদেশিকে ফেরত দিলো আরাকান আর্মি
সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলের নীতিগত সিদ্ধান্ত
‘দেশের মানুষের কাছে এই মুহূর্তে সংস্কারের চেয়ে নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ’
নিজেকে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করে ট্রাম্পকে শেখ হাসিনার অভিনন্দন
‘বিশ্বই যেন বাংলাদেশের কাছে আসে সেভাবেই দেশকে গড়তে হবে’
ভাগ্য খুলতে পারে ২৭তম বিসিএসে বাদপড়াদের
স্মার্টফোনে ইন্টারনেটের গতি কম? জেনে নিন বাড়ানোর কৌশল
সালমানের পর এবার শাহরুখকে হত্যার হুমকি
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর চালু হলো বেনাপোল পৌর বাস টার্মিনাল, যানজট নিরসনে আশাবাদ
ট্রাম্পের জয়ে বাড়ল ডলারের দর, বিটকয়েনের দামে নতুন রেকর্ড
বিচারহীনতার ৯ বছর পেরিয়েও বিচার পায়নি গোবিন্দগঞ্জের সাঁওতালরা
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে ৫ বাংলাদেশির জয়
প্রতারণা বন্ধে প্রায় ২ লাখ অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ ও ৪ লাখ অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত করেছে ইমু