আমরা গণমানুষের রাজনীতি করছি: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেন, কারও স্বার্থ রক্ষার জন্য আমরা রাজনীতি করি না। আমাদের রাজনীতি জনগণের স্বার্থ রক্ষার জন্য। জনগণের পছন্দের জনপ্রতিনিধি হতে হবে। আমরা জনগণের সব অধিকার রক্ষা করতেই রাজনীতি করছি। আমরা কোনো দলের বি-টিম নয়। আমরা গণমানুষের টিম হতে রাজনীতি করছি।
তিনি বলেন, আমরা লাখ-কোটি টাকা ব্যয়ে খেলনা বানাচ্ছি। দেশের মানুষের আয় বাড়ছে না কিন্তু প্রতিদিনই দ্রব্যমূল্য বেড়েই চলছে। সাধারণ মানুষ সংসার চালাতে পারছে না। এখন ২৫০ গ্রাম মাংস বিক্রি হচ্ছে কিন্তু ক্রেতা নেই। গরুর মাংস প্রায় ৮০০ টাকা হয়েছে। অথচ পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সময়ে ২৫-৩০ টাকা কেজি গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে। আমদান্নিকারকরা চিনির কেজি ৫০০ টাকা ঘোষণা করলে, সেই দামেই চিনি কিনতে হবে। সরকার সিন্ডিকেট ভাঙতে পারছে না। গ্রামের মানুষ বাজার করতে পারছে না। খুব সামান্য মানুষ ভালো আছেন। দেশের বেশিরভাগ মানুষই অবর্ণনীয় কষ্টে আছেন।
সোমবার (৬ মার্চ) জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানীর কার্যালয় মিলনায়তনে জাতীয় তরুণ পার্টির সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, দুর্নীতির কারণেই হজযাত্রীদের জন্য জনপ্রতি প্রায় ৭ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যান্য খরচসহ এই খরচ ৯-১০ লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। আগে হজে নিবন্ধনের জন্য মানুষ তদবির করত, এখন হাজার হাজার মানুষ নিবন্ধন বাতিল করছে। ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মাত্র ১৭ হাজার মানুষ নিবন্ধন করেছিল হজের জন্য। সময় বাড়ানোর কারণে এখন মাত্র ৫০ হাজারের কিছু বেশি মানুষ নিবন্ধন করেছে। অথচ পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে প্রায় অর্ধেক খরচে সেদেশের মানুষ হজ পালন করতে পারছেন।
জিএম কাদের বলেন, আমরা চাই ১ লাখ ২৭ হাজার জনই যেন নির্বিঘ্নে হজে যেতে পারেন। প্রয়োজনে ভর্তুকি দিতে হবে হজের জন্য। হজ ফান্ড করতে হবে। আমরা সবাই হজ ফান্ডে টাকা দিতে চাই। দেশের মানুষ হজের জন্য ফান্ডে টাকা দিতে প্রস্তুত আছে। দেশের মানুষ সাধ্যমতো সহায়তা দিতে রাজি আছেন। দেশের মানুষ যেন অর্ধেক খরচে হজে যেতে পারেন সে উদ্যোগ সরকারকেই নিতে হবে।
জাতীয় তরুণ পার্টির আহ্বায়ক জাকির হোসেন মৃধার সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব মোড়ল জিয়াউর রহমানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, জহিরুল ইসলাম জহির, ভাইস চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান খান, সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম রব্বানী।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মো. সেলিম উদ্দিন, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন মঞ্জু, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হুমায়ুন খান, আনোয়ার হোসেন তোতা, দপ্তর সম্পাদক-২ এমএ রাজ্জাক খান, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল হক নুরু, মামুনুর রহিম সুমন, যুগ্ম শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মীর সামসুল আলম লিপ্টন, কেন্দ্রীয় নেতা জাকির হোসেন খান, জহিরুল ইসলাম মিন্টু, ইঞ্জিনিয়ার এলাহান উদ্দিন, শামীম আহমেদ রিজভী, মো. আব্দুর রহিম, তরুণ পার্টির নেতাদের মধ্যে জাহাঙ্গীর আলম, মাইনুদ্দিন মন্ডল খোকা, আব্দুল হালিম, লিটন আলী, হুমায়ুন কবির, আমিনুল ইসলাম রিয়াদ, মাকসুদুর রহমান, মো. রুম্মন, মামুনুর রশীদ, মো. সুজন, জীবন শাহ, সাগর, আলতাফ হোসেন, আকাশ কুমার, এসএম আবুজার গিফ্ফারী, মোহাম্মদ শেখ কামাল উদ্দিন, আবু ইউসুফ, জাতীয় পার্টি নেতা খলিলুর রহমান খলিল।
এমএইচ/এসজি