শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

জাতীয় পার্টির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি নিয়ে গোলক ধাঁধায় নেতা-কর্মীরা

জাতীয় পার্টির উপদেষ্টা ও জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদের (এমপি) নেতৃত্বাধীন একাংশ এবং চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের (এমপি) নেতৃত্বাধীন টাঙ্গাইল জেলা জাতীয় পার্টির বিবাদমান দুইটি সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি নিয়ে গোলক ধাঁধায় পড়েছেন জেলা-উপজেলার নেতা-কর্মীরা। এর ফলে আলাদা দুইটি সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি দেওয়ায় দলের তৃণমূল নেতা-কর্মীদের মধ্যে হতাশা, অনৈক্য ও বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে।

জানা গেছে, চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম চাকলাদারকে আহ্বায়ক ও মুহাম্মদ মোজাম্মেল হককে সদস্য সচিব করে ১২৩ সদস্য বিশিষ্ট সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির অনুমোদন দেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের (এমপি) ও মহাসচিব মজিবুল হক চুন্নু (এমপি)।

অপরদিকে গত বছরের ১৮ নভেম্বর ইঞ্জিনিয়ার মো. লিয়াকত আলীকে আহ্বায়ক ও আজিজুর রহমানকে সদস্য সচিব করে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির অনুমোদন দেন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক নুরুল ইসলাম নুরু। ওই কমিটিতে সংসদে বিরোধী দলীয় নেতার মুখপাত্র গাজী মো. মামুনুর রশীদ ও জাতীয় পার্টির জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব গোলাম মসীহ সাক্ষর করেন।

তৃণমূল নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, টাঙ্গাইল জেলা জাতীয় পার্টির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠন স্থানীয় নেতা-কর্মীদের কাছে আহ্বায়ক কমিটির নামান্তর বলে বিবেচিত। জেলায় ইঞ্জিনিয়ার মো. লিয়াকত আলী ও আজিজুর রহমানের নেতৃত্বাধীন সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি কালিহাতী উপজেলার দুইটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় পার্টির কমিটি গঠন করেছে।

গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর জেলা জাতীয় পার্টির কমিটি গঠনে সম্মেলন করার তারিখ প্রাথমিকভাবে ঘোষণা করা হলেও কেন্দ্রীয় নির্দেশে তা স্থগিত করা হয়। আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি কালিহাতী উপজেলায় আরও একটি ইউনিয়ন কমিটি গঠনের প্রস্তুতি চলছে।

তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা জানান, অল্প সময়ের ব্যবধানে আলাদা দুইটি সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি দেওয়ায় স্থানীয় নেতা-কর্মীরা কোনদিকে ভিড়বেন বুঝে উঠতে পারছেন না। তারা জানান, দ্বন্দ্বটা মূলত কেন্দ্রীয় জাতীয় পার্টির। সেখানে সমস্যার সমাধান না করে জেলায় আলাদা কমিটি দিয়ে বিভ্রান্ত ছড়ানো হচ্ছে। রওশন-কাদের দ্বন্দ্বের অবসান না হওয়া পর্যন্ত জেলায় আবার কমিটি দেওয়া যুক্তিযুক্ত হয়নি।

রওশন এরশাদের সমর্থক আহ্বায়ক কমিটির একাধিক নেতা জানান, অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম চাকলাদারকে আহ্বায়ক ও মুহাম্মদ মোজাম্মেল হককে সদস্য সচিব করে গত ৭ ফেব্রুয়ারি যে কমিটি দেওয়া হয়েছে সেই কমিটির বিষয়ে টাঙ্গাইল জেলা জাতীয় পার্টির অধিকাংশ নেতা-কর্মী কিছুই জানেন না। এ ছাড়া যাদেরকে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে তাদের কোনো কার্যক্রম জেলা জাতীয় পার্টির রাজনীতিতে বর্তমানে দৃশ্যমান নয়। এর আগে তারা জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক এমপি মো. আবুল কাশেমসহ সিনিয়র নেতাদের হেনস্থা করেছে।

ওই কমিটির সদস্য সচিব আজিজুর রহমান, যুগ্ম-আহ্বায়ক আ. রাজ্জাক, আ. হালিম জানান, সদস্য এখলাছ মন্ডল, আউয়াল সিকদার, খন্দকার মনোয়ারা জানান, গত বছরের ১৮ নভেম্বরের কমিটি থাকা অবস্থায় নতুন করে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি দেওয়ায় পার্টির তৃণমূলে অনৈক্য ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। নেতা-কর্মীরা প্রকাশে কিছু না বললেও আড়ালে কেন্দ্রীয় নেতাদের অদূরদর্শীতাকে দূষছেন।

এ বিষয়ে জেলা জাতীয় পার্টির (জিএম কাদের) অংশের সদস্য সচিব মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক জানান, ৭ ফেব্রুয়ারি সম্মেলন প্রস্তুতির নয়া কমিটি দেওয়ার পর নভেম্বরে দেওয়া কমিটি এমনিতেই বিলুপ্ত হয়ে যাবে।

তিনি আরও জানান, নেতা-কর্মীদের মধ্যে কোনো হতাশা নেই বরং নতুন প্রস্তুতি কমিটি পেয়ে তারা আগের চেয়ে বেশি উজ্জীবিত। এই কমিটি দলকে আরও শক্তিশালী করবে। এ ছাড়াও দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই কমিটি জেলায় একটি পূর্ণাঙ্গ ও সক্রিয় কমিটি গঠন করতে পারবে বলে বিশ্বাস করেন তিনি।

এ ব্যাপারে জেলা জাতীয় পার্টির (রওশন) আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার মো. লিয়াকত আলী জানান, টাঙ্গাইল জেলা জাতীয় পার্টিকে উজ্জীবিত করতে রওশন এরশাদের অনুমতিক্রমে যে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়েছে সেই কমিটির মাধ্যমে বিভিন্ন ইউনিয়ন, পৌরসভা ও উপজেলা পর্যায়ে নতুনভাবে ঢেলে সাজানোর চেষ্টা চলছে। ইতিমধ্যে কালিহাতী উপজেলার দুইটি ইউনিয়ন ও একটি পৌর কমিটি বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে গঠন করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, জাতীয় পার্টি কীভাবে ও কার নেতৃত্বে চলবে তা কেন্দ্রীয় নেতারা ঠিক করবেন। কেন্দ্রীয় পর্যায়ে বিরোধ বা বিভক্তি না থাকলে জেলায়ও কোনো দ্বন্দ্ব থাকবে না। এছাড়া তিনি সবেমাত্র সাংগঠনিক কাজ শুরু করেছেন। ধীরে ধীরে জেলার সকল নেতা-কর্মী তাকে সহযোগিতা করবেন।

টাঙ্গাইল জেলা জাতীয় পার্টির (কাদের) আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম চাকলাদার জানান, টাঙ্গাইল জাতীয় পার্টি জিএম কাদেরের সঙ্গে রয়েছে- সেটাই মূল জাতীয় পার্টি বলে তারা মনে করেন। তাই টাঙ্গাইলে পার্টির উপদেষ্টা রওশন এরশাদের নেতৃত্বাধীন যে কমিটি রয়েছে সেটাকে তারা আমলে নিচ্ছেন না। জেলা জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ ছিল এবং আছে।

জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক এমপি শিল্পপতি মো. আবুল কাশেম জানান, টাঙ্গাইল জেলা সম্মেলন প্রস্তুতির জন্য গত ৭ ফেব্রুয়ারি যে কমিটি দেওয়া হয়েছে সেই বিষয়ে পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি পার্টির মহাসচিব মজিবুল হক চুন্নু এমপিকে মৌখিকভাবে ওই প্রস্তুতি কমিটির কার্যক্রম আপাতত স্থগিত রাখতে বলে দিয়েছেন। এ ছাড়া গত বছরের ১৮ নভেম্বর যে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি দেওয়া হয়েছে সেটিরও কোনো ভিত্তি নেই।

এসআইএইচ

 

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত