বিরোধীদলীয় চিফ হুইপের চেয়ার নিয়ে রাঙ্গার দৌড়ঝাঁপ
সব জল্পনা-কল্পনা শেষে বিরোধীদলীয় উপনেতার আসনেই বসেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের। পাশাপাশি বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ হিসেবে নিজের আসনে বসেছেন জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কৃত মশিউর রহমান রাঙ্গা।
রবিবার (৩০ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৪টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশন শুরু হয়। ঘড়ির কাঁটা ঠিক ৪টা ৩০ মিনিটের অল্প কিছুক্ষণ আগে সংসদ অধিবেশনে নিজের আসনে বসেন সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর ৪টা ৩৩ মিনিটে স্পিকার সংসদ অধিবেশন কক্ষে প্রবেশ করেন। এর আগেই বিরোধীদলের মশিউর রহমান রাঙ্গা নিজের আসনে বসেন।
অধিবেশন শুরু হওয়ার পর একে একে বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্যরা অধিবেশন কক্ষে প্রবেশ করেন। রাঙ্গাকে একটি কাগজ ও পেন্সিল নিয়ে নেতাদের কাছে কিছু একটা বলতে দেখা যায়। প্রথমে সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার কাছে কিছু একটা বলেন বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ রাঙ্গা। মুখে কথা না বলে মাথা নাড়িয়ে 'না' সুযোগ জবাব দেন আবুল হোসেন। এরপর জাতীয় পার্টি প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদের কাছে একইভাবে কিছু বলতে চান রাঙ্গা। আবারও একইভাবে মাথা নেড়ে না সূচক জবাব দেন তিনি। একইভাবে না করেন জাতীয় কঠিন মহাসচিব ও সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু।
সংসদে বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্যদের আসন বণ্টন অনুযায়ী প্রথম সারির প্রথম চেয়ারটি বিরোধীদলীয় নেতার, সেই আসল ফাঁকা রেখে পরের আসনে বসেন জিএম কাদের। তার পাশে বসেন আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, এরপর বসেন কাজী ফিরোজ রশীদ।
তাদের পেছনের সারির প্রথম চেয়ারে বসেন বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মশিউর রহমান। তার বাম পাশে বসে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক, এরপর বসেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম। অন্য সংসদ সদস্য তাদের নিজ নিজ আসনে বসেছিলেন।
অধিবেশন শুরুর আগে বিরোধীদলীয় উপনেতার কার্যালয়ে জাতীয় পার্টির সংসদের দলের একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের সভায় সভাপতিত্ব করেন। জাতীয় পার্টির সংসদীয় দলে অধিকাংশ সংসদ সদস্য থাকলেও ছিলেন না চিফ হুইপ রাঙ্গা। নিজের রুমে বসে ছিলেন মশিউর রহমান রাঙ্গা।
সেখানে ঢাকাপ্রকাশ-এর এক প্রশ্নের জবাবে মশিউর রহমান বলেন, আমাকে দ্রুত লবিতে যেতে হবে। আসনে বসতে হবে। আজকের দিনটি আমার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু তারা আমাকে চিফ হুইপ পদ থেকে বহিষ্কার করেছে গণমাধ্যমে এসেছে। তবে আমি এখনো চিফ হুইপ। তাই শোক প্রস্তাবের উপর কারা বক্তব্য রাখবে তাদের নামের তালিকাটি করতে হবে।
তার এই কথার সূত্র ধরে বলা যায় বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্যদের কাছে তিনি বক্তব্য রাখার বিষয় জানতে চেয়েছিলেন। তিনি (রাঙ্গা) তালিকা দিয়েছি কি না নিশ্চিত না। তবে তিনিসহ জাতীয় পার্টির একাধিক সংসদ সদস্য শোক প্রস্তাবের উপর আলোচনা করেছেন।
সংসদ অধিবেশন শুরুর আগে জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে মশিউর রহমান রাঙ্গাকে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ পদ থেকে বাদ দেয়। তবে সেই চিঠি স্পিকারের কাছে দেননি। অন্যদিকে বেশ কিছুদিন ধরেই রওশন এরশাদকে বাদ দিয়ে জিএম কাদেরকে বিরোধীদলীয় নেতা করার জন্য স্পিকারের কাছে চিঠি দিয়েছিল জাতীয় পার্টির সংসদীয় দল। তবে সেই চিঠির জবাব এখনো স্পিকার দেননি।
এসএম/এসজি