রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

আওয়ামী লীগ আমাদের ক্রীতদাস বানাতে চাচ্ছে: জিএম কাদের

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গিয়ে জাতীয় পার্টিকে অঙ্গ সংগঠন বানাতে চেয়েছে। এরপর তারা আমাদের চাকর বানাতে চেয়েছে, এখন রাজনীতিতে আমাদের ক্রীতদাস বানাতে চাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের।

তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি কারও নিয়ন্ত্রণে রাজনীতি করবে না। আমরা কারও কৃতদাস হতে রাজনীতি করছি না। আমরা দেশ ও দেশের মানুষের মুক্তির জন্য রাজনীতি করছি। কারও চাকর বা কৃতদাস হয়ে রাজনীতি করব না আমরা। রাজনীতিতে আমরা বন্ধুত্বের হাত বাড়াতে পারি, বন্ধু হয়ে রাজনীতি করতে পারি। রাজনীতিতে জাতীয় পার্টি কারও গোলামী করবে না।

শনিবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে জামালপুরের মির্জা আজম অডিটোরিয়ামে জামালপুর জেলা জাতীয় পার্টির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গোলাম মোহাম্মদ কাদের এসব কথা বলেন।

সম্মেলনে জামালপুর জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক মোস্তফা আল মাহমুদ-কে সভাপতি ও সদস্য সচিব মো. জাকির হোসেন খানকে সাধারণ সম্পাদক এবং কাজী খোকন খান-কে সাংগঠনিক সম্পাদক ঘোষণা করেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান।

এসময় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের আরও বলেন, দুর্নীতি, দুঃশাসন, লুটপাট ও হাওয়া ভবন চাইনি বলেই ১৯৯৬ সালে আমরা আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিয়েছিলাম। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গিয়ে আমাদের দলে বিভেদ সৃষ্টি করতে চেয়েছে। আমাদের দুর্বল করতে চেয়েছে আওয়ামী লীগ। তাই ২০০১ সালের নির্বাচনে আমরা আওয়ামী লীগকে সমর্থন করিনি। আবার দেশের রাজনীতির স্বার্থে, গণতন্ত্র সুপ্রতিষ্ঠিত করতে এবং দলবাজী, টেন্ডারবাজী ও চাঁদাবাজি রোধ করতে ২০০৮ সালে আমরা আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিয়েছিলাম। আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় গিয়ে ২০০৮ সালের পর থেকে প্রথমে জাতীয় পার্টিকে অঙ্গ সংগঠন বানাতে চেয়েছে। এরপর তারা আমাদের চাকর বানাতে চেয়েছে এখন রাজনীতিতে আমাদের ক্রীতদাস বানাতে চাচ্ছে। আমরা কারো ক্রীতদাস হতে রাজনীতি করছি না। আমরা দেশ ও দেশের মানুষের মুক্তির জন্য রাজনীতি করছি। দেশের মানুষ আমাদের সঙ্গে আছেন।

জিএম কাদের বলেন, জাতীয় পার্টিকে আবারও দুর্বল করতে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। লোভ লালসা দিয়ে আমাদের মাঝে দালাল সৃষ্টি করতে চেষ্টা করছে। অত্যাচার-অবিচার শুরু হয়েছে আমাদের বিরুদ্ধে। আমরা কোন অত্যাচারে মাথা নত করব না। দেশের মানুষ আমাদের বিশ্বাস করে। দেশের মানুষ আমাদের ওপর ভরসা রাখতে চায়। কোন জুলুম-নির্যাতন আমাদের লক্ষ্যচ্যুত করতে পারবে না। দেশের মানুষ জানে শুধু জাতীয় পার্টিই দেশে গণতন্ত্র ও সুশাসন দিতে পারবে। যা আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দেশের মানুষকে দিতে পারেনি।

তিনি বলেন, দেশে গণতন্ত্র নেই। দেশের মানুষ প্রতিবাদ করতে পারে না। এমন দুঃশাসন থেকে দেশের মানুষ মুক্তি চায়। গণতন্ত্র নেই বলেই দেশের কোথাও জবাবদিহিতা নেই।

এসময় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপণার কারণে দেশ শ্রীলংকার পথে হাটছে। ব্যর্থরাষ্ট্র হতে চলছে দেশ। আইএমএফ, বিশ্ব ব্যাংক ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক আমাদের ঋণ দিতে চাচ্ছে না। কারণ, আমাদের রির্জাভের হিসেবে গরমিল আছে।

তিনি বলেন, এক বছর আগেও আমাদের ৪৮ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ ছিলো। রির্জাভ থেকে খরচ করার কারণে আমাদের রিজার্ভ এখন ২৭ বিলিয়নে দাঁড়িয়েছে। আগামী বছর থেকে সুদ ও আসল হিসেবে বিদেশি ঋণ পরিশোধ করতে হবে ২২ বিলিয়ন ডলার। তাই, আগামী বছর থেকে দেশ মারাত্মক অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হতে পারে। রির্জাভের টাকা খরচ করে বিমান বন্দরে প্রকল্প, পায়রা সমুদ্র বন্দর, রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল এবং শ্রীলংকায় বিনিয়োগ করা হয়েছে। আসলে রির্জাভের টাকা লুটপাট করা হয়েছে।

গোলাম মোহাম্মদ কাদের আরও বলেন, দেশের মানুষ ভালো নেই। দেশের ৭০ থেকে ৮০ ভাগ মানুষ অনাহারে ও অর্ধাহারে আছে। প্রতিদিন লাগামহীনভাবে বাড়ছে দ্রব্যমূল্য। কলকারখানা বন্ধ হয়ে বাড়ছে বেকারের সংখ্যা। অন্যদিকে মানুষের আয় বাড়েনি মোটেও। দেশের মানুষের কষ্ট দেখার যেনো কেউ নেই।

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, পশ্চিম পাকিস্তান আমাদের দেশের মানুষের সাথে বৈষম্য সৃষ্টি করেছিলো। আর সেই বৈষম্য থেকেই আমাদের মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম হয়েছিল। কিন্তু ১৯৯০ সালের পর থেকে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দেশের মানুষের সাথে বৈষম্য সৃষ্টি করেছে। যারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকবে তাদের জন্য ব্যবসা, চাকরি এবং সকল সুযোগ সুবিধা। কিন্তু দেশের সাধারণ মানুষের জন্য কোন সুযোগ নেই। সাধারণ মানুষের হাতে টাকা নেই, তারা সংসার চালাতে পারছে না। অপর দিকে দেশের একটি শ্রেণির এত টাকা, তাদের দেশে টাকা রাখার জায়গা নেই। তারা হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে দিচ্ছে। যখন, মেগা প্রকল্পের নামে হাজার কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে, তখন এক বছরেই শুধু সুইস ব্যাংকে ৪ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে বাংলাদেশ থেকে।

এসময় জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে হবে। তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো শক্তিশালী করতে হবে। উন্নয়ণের নামে গণতন্ত্র সংকুচিত করা যাবে না। আমরা উন্নয়ন চাই এবং গণতন্ত্রও চাই।

নির্বাচন কমিশনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, একটি নির্বাচনই আপনারা সুষ্ঠুভাবে করতে পারলেন না, তাহলে ৩০০ আসনে কিভাবে নির্বাচন করবেন? পুলিশ ও প্রজাতন্ত্রের কর্মচারিদের নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে হবে। ১৫ মাসের মধ্যে জাতীয় পার্টিকে আরও শক্তিশালী করতে নেতা-কর্মীদের প্রতি আহবান জানান তিনি।

এসময় জাতীয় পার্টি মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি বলেন, বিএনপির অভিযোগ, তাদের মহাসমাবেশে বাধা দিচ্ছে আওয়ামী লীগ। তিনি বলেন, এটা দুঃখজনক এবং গণতান্ত্রিক অধিকারের পরিপন্থি। তিনি বলেন, দেশে বিএনপিই প্রথম মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ক্ষুন্ন করেছে। তিনি বলেন, ১৯৯১ থেকে ৯৬ সাল পর্যন্ত বিএনপির হামলায় জাতীয় পার্টি কোন সভা-সমাবেশ করতে পারেনি।

কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দেশে দুর্নীতি ও দুঃশাসন প্রতিষ্ঠা করেছে। তিনি বলেন, পাচার হওয়া হাজার কোটি টাকা ফিরিয়ে আনতে হবে। তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি হচ্ছে দেশের রাজনীতির নিয়ামক শক্তি। জাতীয় পার্টিকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশে কেউ সরকার গঠন করতে পারবে না।

সম্মেলনে বক্তব্য জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, প্রেসিডিয়াম সদস্য ফখরুল ইমাম, এটিইউ তাজ রহমান, সোলায়মান আলম শেঠ, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, জহিরুল ইসলাম জহির, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা নূরুল ইসলাম তালুকদার, ইলিয়াস উদ্দিন, ভাইস-চেয়ারম্যান মো. আরিফুর রহমান খান, আহসান আদেলুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম পাঠান, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হেলাল উদ্দিন, যুগ্ম শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মীর সামসুল আলম লিটন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোখলেছুর রহমান বস্তু, ছাত্র নেতা আশরাফ খান ও কাজী খোকন খান।

এসএম/এএস

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে বিশাল নিয়োগ, পদ ৬০৮

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির সদস্যভুক্ত বিভিন্ন ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জনবল নিয়োগের বড় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। এ নিয়োগে ৭ ধরনের পদে মোট ৬০৮ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা অনলাইনের মাধ্যমে অবেদন করতে পারবেন।

পদের নাম: প্রোগ্রামার।
পদসংখ্যা: ২টি।
ব্যাংক: বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: কম্পিউটার সায়েন্স/ কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং/ ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং/ ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজিতে স্নাতক বা সমমান।
বেতন: ৩৫,৫০০-৬৭,০১০ টাকা।

পদের নাম: সিনিয়র অফিসার (আইটি)।
পদসংখ্যা: ১৬৬টি।
ব্যাংক: সোনালী ব্যাংক।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: কম্পিউটার সায়েন্স/ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং/কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি।
বেতন: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা।

পদের নাম: অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রোগ্রামার।
পদসংখ্যা: ৩৫টি।
ব্যাংক: সোনালী ব্যাংকে ৩১টি, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকে ২টি, বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনে ১টি ও কর্মসংস্থান ব্যাংকে ১টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: কম্পিউটার সায়েন্স/কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং/ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি।
বেতন: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা।

পদের নাম: অ্যাসিস্ট্যান্ট মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার/অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার (আইটি)।
পদসংখ্যা: ৬৯টি।
ব্যাংক: সোনালী ব্যাংকে ৪৭টি, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকে ২টি ও প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে ২টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: কম্পিউটার সায়েন্স/কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং/ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ন্যূনতম স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি।
বেতন: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা।

পদের নাম: অ্যাসিস্ট্যান্ট ডাটাবেজ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর।
পদসংখ্যা: ২টি।
ব্যাংক: সোনালী ব্যাংক।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: কম্পিউটার সায়েন্স/কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং/ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ন্যূনতম স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি।
বেতন: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা।

পদের নাম: অফিসার (আইটি)।
পদসংখ্যা: ৩৩২টি।
ব্যাংক: সোনালী ব্যাংকে ১৮৩টি, জনতা ব্যাংকে ১০০টি, অগ্রণী ব্যাংকে ৪৩টি, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে ৬টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: কম্পিউটার সায়েন্স/ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং/কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ন্যূনতম স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি।
বেতন: ১৬,০০০-৩৮,৬৪০ টাকা।

পদের নাম: অ্যাসিস্ট্যান্ট নেটওয়ার্ক সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার।
পদসংখ্যা: ২টি।
ব্যাংক: রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: কম্পিউটার সায়েন্স/কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং/ইলেকট্রিকাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ন্যূনতম স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি।
বেতন: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা।

আবেদনের পদ্ধতি: আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে এখানে ক্লিক করুন

আবেদনের ফি: ২০০ টাকা। তবে অনগ্রসর গোষ্ঠীর নাগরিকদের জন্য আবেদনের ফি ৫০ টাকা।

আবেদনের শেষ সময়: আগামী ২১ মে, ২০২৫।

Header Ad
Header Ad

ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় ফ্যাসিবাদী শাসক পালাতে বাধ্য হয়েছে: আলী রীয়াজ

অধ্যাপক আলী রীয়াজ। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, ‍ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমেই ফ্যাসিবাদী শাসক পালাতে বাধ্য হয়েছে। এই ঐক্য ধরে রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, "এটা শুধু অঙ্গীকার নয়, এটা আমাদের দায়।”

রবিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় সংসদ ভবনের এলডি হলে গণসংহতি আন্দোলনের সঙ্গে সংলাপের সময় আলী রীয়াজ এসব কথা বলেন।

তিনি জানান, পুঞ্জীভূত সংকট থেকে উত্তরণে সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন ইতোমধ্যে এসেছে। এবার দ্রুত সময়ের মধ্যে ‘জুলাই সনদ’ চূড়ান্ত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

আলী রীয়াজ বলেন, “গত ৫৩ বছর ধরে যারা গণতন্ত্র ও অংশগ্রহণমূলক রাষ্ট্রের জন্য লড়াই করেছেন, তাদের প্রতি আমাদের দায় আছে। এই ঐক্য বজায় না রাখতে পারলে সব অর্জন হারিয়ে যাবে।”

তিনি আরও বলেন, “সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নই শেষ কথা নয়, প্রয়োজন গণতান্ত্রিক কাঠামো গড়ে তোলা এবং গণতন্ত্রচর্চার মাধ্যমে রাজনৈতিক শক্তিগুলোর ঐক্য অটুট রাখা।”

সংলাপে অংশ নিয়ে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকী বলেন, “অংশীজনদের ঐকমত্যের ভিত্তিতেই জুলাই সনদ গঠিত হবে। আর দ্বিমতের বিষয়গুলো জনগণের সামনে তুলে ধরাই হবে আমাদের দায়িত্ব।”

এর আগেও বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ কয়েকটি দলের সঙ্গে সংলাপ করেছে ঐকমত্য কমিশন। আজ বিকেলে জেএসডির সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে।

উল্লেখ্য, অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে রাষ্ট্র সংস্কারে ১১টি কমিশন গঠিত হয়েছে। এসব কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতেই জাতীয় ঐকমত্য গঠনের উদ্দেশ্যে ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কাজ শুরু করেছে এই কমিশন, যার নেতৃত্বে রয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

Header Ad
Header Ad

মহেশপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত

ছবি: সংগৃহীত

ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন দুই বাংলাদেশি যুবক। রোববার (২৭ এপ্রিল) ভোররাতে উপজেলার মধুপুর সীমান্তের ওপারে, ভারতের অংশে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন মোহাম্মদ মিকাইল (২২) ও মো. ওবায়দুল (২৩)। তারা দুজনই মহেশপুর উপজেলার গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা।

স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, রোববার ভোরে যাদবপুর সীমান্তের ওপার থেকে গুলির শব্দ শোনা যায়। এরপর কয়েকজন গ্রামবাসী সীমান্তের কাছাকাছি গিয়ে ভারতীয় ভূখণ্ডে পড়ে থাকা দুটি মরদেহ দেখতে পান। তারা দাবি করেন, মরদেহ দুটি গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গেছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসমিন মনিরা। তবে বিএসএফের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ ঘটনায় সীমান্ত এলাকাজুড়ে উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত চলছে এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে মরদেহ উদ্ধারের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে বিশাল নিয়োগ, পদ ৬০৮
ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় ফ্যাসিবাদী শাসক পালাতে বাধ্য হয়েছে: আলী রীয়াজ
মহেশপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত
যেকোনো মূল্যে নিজের পানির অধিকার রক্ষা করবে পাকিস্তান: ‍শেহবাজ শরীফ
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম নির্বাসিত কবি দাউদ হায়দার মারা গেছেন
পাকিস্তানে সেনাবাহিনী-সন্ত্রাসী গোলাগুলি, দুই সেনাসদস্যসহ নিহত ১৭
টাঙ্গাইলে ট্রাক-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে চালকসহ নিহত ২
হজের ফ্লাইট শুরু মঙ্গলবার, উদ্বোধন করবেন ধর্ম উপদেষ্টা
ইরানের বন্দরে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে ১৪, আহত সাড়ে ৭ শতাধিক
ধর্ষণের শিকার জুলাই আন্দোলনে শহীদের মেয়ের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
সিন্ধুর পানি ছাড়ল ভারত, হঠাৎ বন্যায় ডুবলো পাকিস্তানের কাশ্মীর
রিয়ালের হৃদয়ভাঙা রাত, কোপা দেল রে চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা
উত্তরায় সেলফি তুলতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় তরুণ-তরুণীর মৃত্যু
জাতীয় গ্রিডে যান্ত্রিক ত্রুটিতে ১০ জেলায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট
আবারও দুই ধাপে ৬ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা
পাকিস্তানি হামলার আশঙ্কায় বাঙ্কারে আশ্রয় নিচ্ছেন ভারতীয়রা
চীনা প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করলো বিএনপি
আওয়ামী লীগ ভারতের গোলামী করা দল : নুরুল হক নুর
ইরানের রাজাই বন্দরে শক্তিশালী বিস্ফোরণ, আহত ৫১৬ জন
প্রায় দুই ঘণ্টা পর মেট্রোরেল চলাচল স্বাভাবিক